নোবিপ্রবি’র চলো পাল্টাই ফাউন্ডেশনের শীতবস্ত্র বিতরণ

আবদুল্লাহ আল-নোমান
শীতবস্ত্র বিতরণ করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। 

নোয়াখালীর খেটে-খাওয়া মানুষ ও হতদরিদ্রদের মাঝে প্রায় ৮০টি পরিবারের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(নোবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘চলো পাল্টাই ফাউন্ডেশন’। ৯ জানুয়ারি তিনদিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে উদ্বোধনী হিসেবে প্রথম দিন এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

বিতরণ কর্মসূচি ২০২২-২৩ আওতায় এবছর সর্বমোট ৬০০টি কম্বল ও ৫০টি সোয়েটার বিতরণ করা হবে। এর অংশ হিসেবে আজ নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পাশের ৫০টি অসহায় পরিবারের মাঝে কম্বল এবং নূর জাহান মেমোরিয়াল স্কুলের ৩০ জন অসচ্ছল শিশুদের মাঝে সোয়েটার বিতরণ করা হয়।

প্রথম ধাপ শেষে, দ্বিতীয় ধাপে চলো পাল্টাই ফাউন্ডেশন নোবিপ্রবির স্বেচ্ছাসেবী দল লক্ষ্মীপুরের আলেকজান্ডার, মুন্সীরহাটের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কম্বল বিতরণ সম্পন্ন করে। তৃতীয় ধাপে আজ ১০ জানুয়ারি নোয়াখালী এক্সপ্রেস ট্রেনে চড়বে চলো পাল্টাই ফাউন্ডেশন। স্বেচ্ছাসেবী দলটি প্রতিটি স্টেশনে ঘুমন্ত শীতার্ত মানুষদের উদ্দেশ্যে, সারারাত ব্যাপী চলবে কর্মসূচি। ১১ জানুয়ারি রাতে চতুর্থ ধাপে চলো পাল্টাই ফাউন্ডেশন যাবে নোয়াখালীর বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে।

ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে শীতবস্ত্র বিতরণকালে এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. দিদারুল আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল বাকী,নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর স্যার, চলো পাল্টাই ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ।

শীতবস্ত্র বিতরণ করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। 

চলো পাল্টাই ফাউন্ডেশন, নোবিপ্রবির সভাপতি শেখ আশিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের দেশে কনকনে শীত নেমেছে।সেই সাথে বেড়েছে গরিব-দুঃখী মানুষের দুর্ভোগ । তাই মানবিক আবেদনে সাড়া দিয়ে শীতার্তদের সহায়তায় সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানসহ সকলের এগিয়ে আসতে হবে। শীতবস্ত্রের অভাবে দরিদ্রদের ভোগান্তি সীমা নেই।এই শীতে শীতার্ত মানুষের প্রতি সমাজের সামর্থ্যবান ও বিত্তশালীদের সাহায্য এবং সহানুভূতির হাত সম্প্রসারিত করা জরুরি। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র সরবরাহ করে সাধ্যমতো শীতার্তদের পাশে এসে দাঁড়ানো দরকার। নিঃস্বার্থভাবে শীতার্ত মানুষের সাহায্য ও সেবায় এগিয়ে আসা এখন সময়ের দাবি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ দিদার-উল-আলম চলো পাল্টাই ফাউন্ডেশনের এমন উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন। ভবিষ্যতে এমন সব ভালো কাজের দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা দেশের মানুষের পাশে দাঁড়াবে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন উপাচার্য।

এমবিএইচ/এসএস

নোবিপ্রবি’র চলো পাল্টাই ফাউন্ডেশনের শীতবস্ত্র বিতরণ

আবদুল্লাহ আল-নোমান
শীতবস্ত্র বিতরণ করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। 

নোয়াখালীর খেটে-খাওয়া মানুষ ও হতদরিদ্রদের মাঝে প্রায় ৮০টি পরিবারের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(নোবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘চলো পাল্টাই ফাউন্ডেশন’। ৯ জানুয়ারি তিনদিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে উদ্বোধনী হিসেবে প্রথম দিন এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

বিতরণ কর্মসূচি ২০২২-২৩ আওতায় এবছর সর্বমোট ৬০০টি কম্বল ও ৫০টি সোয়েটার বিতরণ করা হবে। এর অংশ হিসেবে আজ নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পাশের ৫০টি অসহায় পরিবারের মাঝে কম্বল এবং নূর জাহান মেমোরিয়াল স্কুলের ৩০ জন অসচ্ছল শিশুদের মাঝে সোয়েটার বিতরণ করা হয়।

প্রথম ধাপ শেষে, দ্বিতীয় ধাপে চলো পাল্টাই ফাউন্ডেশন নোবিপ্রবির স্বেচ্ছাসেবী দল লক্ষ্মীপুরের আলেকজান্ডার, মুন্সীরহাটের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কম্বল বিতরণ সম্পন্ন করে। তৃতীয় ধাপে আজ ১০ জানুয়ারি নোয়াখালী এক্সপ্রেস ট্রেনে চড়বে চলো পাল্টাই ফাউন্ডেশন। স্বেচ্ছাসেবী দলটি প্রতিটি স্টেশনে ঘুমন্ত শীতার্ত মানুষদের উদ্দেশ্যে, সারারাত ব্যাপী চলবে কর্মসূচি। ১১ জানুয়ারি রাতে চতুর্থ ধাপে চলো পাল্টাই ফাউন্ডেশন যাবে নোয়াখালীর বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে।

ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে শীতবস্ত্র বিতরণকালে এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. দিদারুল আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল বাকী,নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর স্যার, চলো পাল্টাই ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ।

শীতবস্ত্র বিতরণ করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। 

চলো পাল্টাই ফাউন্ডেশন, নোবিপ্রবির সভাপতি শেখ আশিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের দেশে কনকনে শীত নেমেছে।সেই সাথে বেড়েছে গরিব-দুঃখী মানুষের দুর্ভোগ । তাই মানবিক আবেদনে সাড়া দিয়ে শীতার্তদের সহায়তায় সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানসহ সকলের এগিয়ে আসতে হবে। শীতবস্ত্রের অভাবে দরিদ্রদের ভোগান্তি সীমা নেই।এই শীতে শীতার্ত মানুষের প্রতি সমাজের সামর্থ্যবান ও বিত্তশালীদের সাহায্য এবং সহানুভূতির হাত সম্প্রসারিত করা জরুরি। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র সরবরাহ করে সাধ্যমতো শীতার্তদের পাশে এসে দাঁড়ানো দরকার। নিঃস্বার্থভাবে শীতার্ত মানুষের সাহায্য ও সেবায় এগিয়ে আসা এখন সময়ের দাবি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ দিদার-উল-আলম চলো পাল্টাই ফাউন্ডেশনের এমন উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন। ভবিষ্যতে এমন সব ভালো কাজের দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা দেশের মানুষের পাশে দাঁড়াবে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন উপাচার্য।

এমবিএইচ/এসএস