পছন্দের বিষয়ে পড়ার সুযোগ থাকা চাই

সুযোগ পেলে লেখাপড়ার যে নিয়ম বদলে দিতাম’ — এই বিষয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে লেখা আহ্বান করেছিলাম আমরা। পড়ুন নির্বাচিত লেখাগুলোর মধ্য থেকে একটি।

প্রতি বছর ‘ভর্তি যুদ্ধে’ অংশ নেয় হাজারো শিক্ষার্থী। পছন্দের বিষয় না পেলেও পড়তে হয় তাঁদের। ছবিটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার সময় রেলওয়ে স্টেশনে তোলা।ছবি: শহীদুল ইসলাম

লেখা: মাহবুবুল আলম, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

দক্ষিণ এশিয়ার ছোট্ট এই দেশে একসময় নিরক্ষরতাই প্রকট ছিল। শুনেছি, তখন শিক্ষিত ব্যক্তিদের খুঁজে খুঁজে চাকরি দেওয়া হতো। কালক্রমে প্রেক্ষাপট বদলেছে। এখন আমাদের দেশে সেই পুরোনো আমলের সিলেবাস অনুসরণ করে পড়ালেখা চলছে, কিন্তু অধিকাংশ শিক্ষিত মানুষই এই একাডেমিক জ্ঞান কাজে লাগিয়ে চাকরি জোটাতে পারছেন না। ফলে দেশে বাড়ছে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা। তাঁরা না পারছেন নিজের জন্য কিছু না করতে, না পারছেন দেশকে কিছু দিতে। পরিবারের কাছেও বোঝা হয়েই থাকতে হচ্ছে।

আমি মনে করি, শিক্ষার ক্ষেত্রে একটা বড় বাধা হলো, পছন্দসই বিষয়ে পড়তে না পারা। একজন শিক্ষার্থী হয়তো ছোটবেলা থেকে ছবি আঁকতে বা গান গাইতে পছন্দ করেন। পরিবারের চাপেই হোক, কিংবা ত্রুটিপূর্ণ পরীক্ষাব্যবস্থার কারণেই হোক, তাঁকে পড়তে হচ্ছে এমন এক বিভাগে, যে বিষয়ে তাঁর কোনো আগ্রহ নেই। অথচ ছবি আঁকা কিংবা সংগীত–সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়েও পড়ালেখা করা যায়। ফলে সে একটা ডিগ্রি অর্জন করছেন ঠিকই, কিন্তু সেটা তাঁর কোনো কাজে আসছে না। এভাবে একসময় এই শিক্ষার্থীরা হতাশায় ভুগতে থাকেন। অথচ গল্পটা ভিন্ন হতে পারত, যদি তিনি সঠিক দিকনির্দেশনা পেতেন। যদি পছন্দের বিষয়ে পড়তে পারতেন।

আমি সুযোগ পেলে তাই এমন শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলতাম, যেখানে শিক্ষার্থীরা নিজেরাই তাঁদের উচ্চশিক্ষার বিষয় বেছে নেবেন। সমাজ কিংবা পরিবার তাঁর ওপর চাপিয়ে দেবে না।

পছন্দের বিষয়ে পড়ার সুযোগ থাকা চাই

সুযোগ পেলে লেখাপড়ার যে নিয়ম বদলে দিতাম’ — এই বিষয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে লেখা আহ্বান করেছিলাম আমরা। পড়ুন নির্বাচিত লেখাগুলোর মধ্য থেকে একটি।

প্রতি বছর ‘ভর্তি যুদ্ধে’ অংশ নেয় হাজারো শিক্ষার্থী। পছন্দের বিষয় না পেলেও পড়তে হয় তাঁদের। ছবিটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার সময় রেলওয়ে স্টেশনে তোলা।ছবি: শহীদুল ইসলাম

লেখা: মাহবুবুল আলম, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

দক্ষিণ এশিয়ার ছোট্ট এই দেশে একসময় নিরক্ষরতাই প্রকট ছিল। শুনেছি, তখন শিক্ষিত ব্যক্তিদের খুঁজে খুঁজে চাকরি দেওয়া হতো। কালক্রমে প্রেক্ষাপট বদলেছে। এখন আমাদের দেশে সেই পুরোনো আমলের সিলেবাস অনুসরণ করে পড়ালেখা চলছে, কিন্তু অধিকাংশ শিক্ষিত মানুষই এই একাডেমিক জ্ঞান কাজে লাগিয়ে চাকরি জোটাতে পারছেন না। ফলে দেশে বাড়ছে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা। তাঁরা না পারছেন নিজের জন্য কিছু না করতে, না পারছেন দেশকে কিছু দিতে। পরিবারের কাছেও বোঝা হয়েই থাকতে হচ্ছে।

আমি মনে করি, শিক্ষার ক্ষেত্রে একটা বড় বাধা হলো, পছন্দসই বিষয়ে পড়তে না পারা। একজন শিক্ষার্থী হয়তো ছোটবেলা থেকে ছবি আঁকতে বা গান গাইতে পছন্দ করেন। পরিবারের চাপেই হোক, কিংবা ত্রুটিপূর্ণ পরীক্ষাব্যবস্থার কারণেই হোক, তাঁকে পড়তে হচ্ছে এমন এক বিভাগে, যে বিষয়ে তাঁর কোনো আগ্রহ নেই। অথচ ছবি আঁকা কিংবা সংগীত–সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়েও পড়ালেখা করা যায়। ফলে সে একটা ডিগ্রি অর্জন করছেন ঠিকই, কিন্তু সেটা তাঁর কোনো কাজে আসছে না। এভাবে একসময় এই শিক্ষার্থীরা হতাশায় ভুগতে থাকেন। অথচ গল্পটা ভিন্ন হতে পারত, যদি তিনি সঠিক দিকনির্দেশনা পেতেন। যদি পছন্দের বিষয়ে পড়তে পারতেন।

আমি সুযোগ পেলে তাই এমন শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলতাম, যেখানে শিক্ষার্থীরা নিজেরাই তাঁদের উচ্চশিক্ষার বিষয় বেছে নেবেন। সমাজ কিংবা পরিবার তাঁর ওপর চাপিয়ে দেবে না।