পবিপ্রবিতে গাড়ি পার্কিংয়ে যতো অনিয়ম

আশিকুর রহমান

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) দ্বিতীয় ফটক সংলগ্ন রাস্তার দুপাশে তৈরি হয়েছে অঘোষিত গাড়ি পার্কিং স্পেস।

পবিপ্রবির প্রথম ফটক এবং দ্বিতীয় ফটক দিয়ে সোজাসুজি অবস্থিত দীর্ঘ একটি রাস্তা রয়েছে। জানা যায়, রাস্তাটি দুমকি উপজেলা কতৃপক্ষের। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব রাস্তা না। লোকাল যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ, তার সাথে যাত্রী উঠানামাসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত রাস্তাটি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শিক্ষার্থীদের দ্রুত সময়ে ক্লাসে কিংবা পরীক্ষা দিতে যেতে বিঘ্ন ঘটে এবং ক্লাস শেষ করে কিংবা পরীক্ষা শেষ করে একসাথে যখন শিক্ষার্থীরা বের হয় তখনও সমস্যা দেখা দেয়। এমনকি দুর্ঘটনারও সম্মুখীন হতে হয়।

সাম্প্রতিক সময়ে যানজট কমানোর লক্ষ্যে গাড়ি পার্কিং বন্ধ এবং যাত্রী চাপ কমিয়ে শিক্ষার্থীদের চলাচলে সুন্দর পরিবেশ তৈরি করতে ‘সকল ধরনের যানবাহন পার্কিং নিষেধ’ লিখিত সাইনবোর্ড লাগানো হয়। কিন্তু সরেজমিনে দেখা যায়, সাইনবোর্ড নামমাত্র স্থাপন করা হয়েছে। দিনে কিংবা রাতে সাইনবোর্ডের চারদিকে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন পার্কিং করা রয়েছে। সুষ্ঠু তত্ত্বাবধানের অভাবে নিষেধ থাকা সত্ত্বে যত্রতত্রভাবে গাড়িগুলো পার্কিং করা হচ্ছে।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বললে, তাঁরা বিরূপ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। এনএফএস অনুষদের শিক্ষার্থী ফরিদুল ইসলাম বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল এবং এম কেরামত আলী হলের শিক্ষার্থী ক্লাস এবং পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে গেইটের সাথে যানবাহন পার্কিং করার ফলে আমরা নির্বিঘ্নে যাইতে পারি না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক শিক্ষার্থী বলেন, গাড়ি পার্কিং যদি বন্ধই না হয় তাহলে ওইখানে “সকল ধরনের যানবাহন পার্কিং করা নিষেধ” লেখা সাইনবোর্ড থাকাটা হাস্যকর এবং একইসাথে দুঃখজনক।

এবিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. সন্তোষ কুমার বসু  বলেন, রাস্তাটি যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অবস্থিত কিন্তু এটি পাবলিক রাস্তা, রাস্তাটি ইউনিয়ন পরিষদের। তবে এখানে গাড়ি পার্কিংয়ে শিক্ষার্থীদের চলাচলে সমস্যা হয়, সেদিক বিবেচনা করে আমরা সেখানে “সকল ধরনের যানবাহন পার্কিং নিষেধ” লিখিত সাইনবোর্ড স্থাপন করেছি এবং কর্মরত আনসার সদস্যেরও বিষয়টা গুরুত্বের সাথে দেখার জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু লোকাল গাড়ি চালকরা বিষয়টা মানতে চায়না, মাঝে মধ্যেই দেখা যায় তাঁরা আনসার সদস্যের সাথে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে।

আমি নিজেও অনেক সময় গিয়ে পার্কিংকৃত গাড়ি সরিয়ে দিয়েছি।বিশেষ করে বাজারের দিন সমস্যাটা বেশি হয় তাই আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ বাজার কমিটির সাথে কথা বলেছি, বাজারের দিন গেটটা বন্ধ রাখা যায় কি না তবে এতে লোকাল মানুষরা সমস্যা তৈরি করে কারণ অনেক এ দূর-দূরান্ত থেকে বাজার করতে আসে তাঁরা রিকশা নিয়ে যাইতে না পারলে রেগে যায়। তবে আমরা আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখছি দ্রুত সময়ে সমস্যাটা সমাধান হবে আশা করি।

এমবিএইচ/এসএস

পবিপ্রবিতে গাড়ি পার্কিংয়ে যতো অনিয়ম

আশিকুর রহমান

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) দ্বিতীয় ফটক সংলগ্ন রাস্তার দুপাশে তৈরি হয়েছে অঘোষিত গাড়ি পার্কিং স্পেস।

পবিপ্রবির প্রথম ফটক এবং দ্বিতীয় ফটক দিয়ে সোজাসুজি অবস্থিত দীর্ঘ একটি রাস্তা রয়েছে। জানা যায়, রাস্তাটি দুমকি উপজেলা কতৃপক্ষের। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব রাস্তা না। লোকাল যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ, তার সাথে যাত্রী উঠানামাসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত রাস্তাটি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শিক্ষার্থীদের দ্রুত সময়ে ক্লাসে কিংবা পরীক্ষা দিতে যেতে বিঘ্ন ঘটে এবং ক্লাস শেষ করে কিংবা পরীক্ষা শেষ করে একসাথে যখন শিক্ষার্থীরা বের হয় তখনও সমস্যা দেখা দেয়। এমনকি দুর্ঘটনারও সম্মুখীন হতে হয়।

সাম্প্রতিক সময়ে যানজট কমানোর লক্ষ্যে গাড়ি পার্কিং বন্ধ এবং যাত্রী চাপ কমিয়ে শিক্ষার্থীদের চলাচলে সুন্দর পরিবেশ তৈরি করতে ‘সকল ধরনের যানবাহন পার্কিং নিষেধ’ লিখিত সাইনবোর্ড লাগানো হয়। কিন্তু সরেজমিনে দেখা যায়, সাইনবোর্ড নামমাত্র স্থাপন করা হয়েছে। দিনে কিংবা রাতে সাইনবোর্ডের চারদিকে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন পার্কিং করা রয়েছে। সুষ্ঠু তত্ত্বাবধানের অভাবে নিষেধ থাকা সত্ত্বে যত্রতত্রভাবে গাড়িগুলো পার্কিং করা হচ্ছে।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বললে, তাঁরা বিরূপ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। এনএফএস অনুষদের শিক্ষার্থী ফরিদুল ইসলাম বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল এবং এম কেরামত আলী হলের শিক্ষার্থী ক্লাস এবং পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে গেইটের সাথে যানবাহন পার্কিং করার ফলে আমরা নির্বিঘ্নে যাইতে পারি না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক শিক্ষার্থী বলেন, গাড়ি পার্কিং যদি বন্ধই না হয় তাহলে ওইখানে “সকল ধরনের যানবাহন পার্কিং করা নিষেধ” লেখা সাইনবোর্ড থাকাটা হাস্যকর এবং একইসাথে দুঃখজনক।

এবিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. সন্তোষ কুমার বসু  বলেন, রাস্তাটি যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অবস্থিত কিন্তু এটি পাবলিক রাস্তা, রাস্তাটি ইউনিয়ন পরিষদের। তবে এখানে গাড়ি পার্কিংয়ে শিক্ষার্থীদের চলাচলে সমস্যা হয়, সেদিক বিবেচনা করে আমরা সেখানে “সকল ধরনের যানবাহন পার্কিং নিষেধ” লিখিত সাইনবোর্ড স্থাপন করেছি এবং কর্মরত আনসার সদস্যেরও বিষয়টা গুরুত্বের সাথে দেখার জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু লোকাল গাড়ি চালকরা বিষয়টা মানতে চায়না, মাঝে মধ্যেই দেখা যায় তাঁরা আনসার সদস্যের সাথে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে।

আমি নিজেও অনেক সময় গিয়ে পার্কিংকৃত গাড়ি সরিয়ে দিয়েছি।বিশেষ করে বাজারের দিন সমস্যাটা বেশি হয় তাই আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ বাজার কমিটির সাথে কথা বলেছি, বাজারের দিন গেটটা বন্ধ রাখা যায় কি না তবে এতে লোকাল মানুষরা সমস্যা তৈরি করে কারণ অনেক এ দূর-দূরান্ত থেকে বাজার করতে আসে তাঁরা রিকশা নিয়ে যাইতে না পারলে রেগে যায়। তবে আমরা আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখছি দ্রুত সময়ে সমস্যাটা সমাধান হবে আশা করি।

এমবিএইচ/এসএস