পরীক্ষাকেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের মাথায় হেলমেট-ডিমের বাক্স, কিন্তু কেন

অনলাইন ডেস্ক

পরীক্ষায় অন্যের খাতা নকল ঠেকাতে অদ্ভুত সব হেডগিয়ার পরে আসে শিক্ষার্থীরা। ছবি: ম্যারি জয় মান্দানে অরটিজ.

কথায় বলে, ‘চুরি বিদ্যা মহা বিদ্যা যদি না পড়ো ধরা’। কিন্তু চুরিরই যদি কোনো সুযোগ না থাকে, সেখানে ধরা পড়ার প্রশ্ন আসবে না নিশ্চয়। সম্প্রতি ফিলিপাইনের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমন একটি অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে, যেখানে চুরি বা নকল করার কোনো সুযোগ নেই। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির নাম বাইকল ইউনিভার্সিটি কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিপাইনের লেগাজপি শহরের বাইকল ইউনিভার্সিটি কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষকেরা অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহে অনুষ্ঠিত এক মিড-টার্ম পরীক্ষায় অন্যের উত্তরপত্র নকল করা ঠেকাতে শিক্ষার্থীদের ‘হেডগিয়ার’ পরে পরীক্ষাকেন্দ্রে আসার নির্দেশ দেন। শিক্ষার্থীরাও এই সিদ্ধান্তে বেশ হাস্যরসাত্মক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তারা ডিমের বাক্স, কার্ডবোর্ডসহ অন্যান্য পুনর্ব্যবহারযোগ্য জিনিসপত্র দিয়ে হেডগিয়ার তৈরি করে পরীক্ষা দিতে আসে। কেউ কেউ আবার মোটরসাইকেলের হেলমেট পরেও পরীক্ষা দিতে এসেছিল!

পরীক্ষায় অন্যের খাতা নকল ঠেকাতে অদ্ভুত সব হেডগিয়ার পরে আসে শিক্ষার্থীরা। ছবি: ম্যারি জয় মান্দানে অরটিজপরীক্ষায় অন্যের খাতা নকল ঠেকাতে অদ্ভুত সব হেডগিয়ার পরে আসে শিক্ষার্থীরা। ছবি: ম্যারি জয় মান্দানে অরটিজকলেজটির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যক্ষ ম্যারি জয় মান্দানে অরটিজ বলেন, ‘পরীক্ষাকেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের মাঝে সততা ও বস্তুনিষ্ঠতা চর্চায় এই সিদ্ধান্তটি খুব মজার ও বেশ কার্যকরী ছিল। যদিও আমরা আশা করেছিলাম শিক্ষার্থীরা কাগজ দিয়ে তৈরি সাধারণ ডিজাইনের হেডগিয়ার নিয়ে আসবে।’ তবে এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতায় শিক্ষকেরা বেশ আনন্দ পেয়েছেন বলে উল্লেখ করেছে বিবিসি।

পরীক্ষায় অন্যের খাতা নকল ঠেকাতে অদ্ভুত সব হেডগিয়ার পরে আসে শিক্ষার্থীরা। ছবি: ম্যারি জয় মান্দানে অরটিজপরীক্ষায় অন্যের খাতা নকল ঠেকাতে অদ্ভুত সব হেডগিয়ার পরে আসে শিক্ষার্থীরা। ছবি: ম্যারি জয় মান্দানে অরটিজএদিকে কলেজটির শিক্ষকদের তোলা বেশ কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের তৈরি হাস্যকর সব হেডগিয়ার।

মান্দানে অরটিজ আরও বলেন, ‘কলেজ কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে এ বছর শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় বেশ ভালোই ফলাফল করছে। তারা অন্যের ওপর ভরসা না করে নিজেরাই পড়াশোনায় মনোযোগী হচ্ছে।’

পরীক্ষায় অন্যের খাতা নকল ঠেকাতে অদ্ভুত সব হেডগিয়ার পরে আসে শিক্ষার্থীরা। ছবি: ম্যারি জয় মান্দানে অরটিজপরীক্ষায় অন্যের খাতা নকল ঠেকাতে অদ্ভুত সব হেডগিয়ার পরে আসে শিক্ষার্থীরা। ছবি: ম্যারি জয় মান্দানে অরটিজএর আগে ২০১৩ সালে থাইল্যান্ডের ব্যাংককের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাকেন্দ্রের ছবি ভাইরাল হওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। সেখানে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা তাদের মাথার দুপাশে কাগজ ঝুলিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে যাতে কেউ অন্যের খাতা নকল করতে না পারে। সেখান থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্তে আসে বলে অরটিজ জানিয়েছেন।

পরীক্ষাকেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের মাথায় হেলমেট-ডিমের বাক্স, কিন্তু কেন

অনলাইন ডেস্ক

পরীক্ষায় অন্যের খাতা নকল ঠেকাতে অদ্ভুত সব হেডগিয়ার পরে আসে শিক্ষার্থীরা। ছবি: ম্যারি জয় মান্দানে অরটিজ.

কথায় বলে, ‘চুরি বিদ্যা মহা বিদ্যা যদি না পড়ো ধরা’। কিন্তু চুরিরই যদি কোনো সুযোগ না থাকে, সেখানে ধরা পড়ার প্রশ্ন আসবে না নিশ্চয়। সম্প্রতি ফিলিপাইনের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমন একটি অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে, যেখানে চুরি বা নকল করার কোনো সুযোগ নেই। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির নাম বাইকল ইউনিভার্সিটি কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিপাইনের লেগাজপি শহরের বাইকল ইউনিভার্সিটি কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষকেরা অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহে অনুষ্ঠিত এক মিড-টার্ম পরীক্ষায় অন্যের উত্তরপত্র নকল করা ঠেকাতে শিক্ষার্থীদের ‘হেডগিয়ার’ পরে পরীক্ষাকেন্দ্রে আসার নির্দেশ দেন। শিক্ষার্থীরাও এই সিদ্ধান্তে বেশ হাস্যরসাত্মক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তারা ডিমের বাক্স, কার্ডবোর্ডসহ অন্যান্য পুনর্ব্যবহারযোগ্য জিনিসপত্র দিয়ে হেডগিয়ার তৈরি করে পরীক্ষা দিতে আসে। কেউ কেউ আবার মোটরসাইকেলের হেলমেট পরেও পরীক্ষা দিতে এসেছিল!

পরীক্ষায় অন্যের খাতা নকল ঠেকাতে অদ্ভুত সব হেডগিয়ার পরে আসে শিক্ষার্থীরা। ছবি: ম্যারি জয় মান্দানে অরটিজপরীক্ষায় অন্যের খাতা নকল ঠেকাতে অদ্ভুত সব হেডগিয়ার পরে আসে শিক্ষার্থীরা। ছবি: ম্যারি জয় মান্দানে অরটিজকলেজটির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যক্ষ ম্যারি জয় মান্দানে অরটিজ বলেন, ‘পরীক্ষাকেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের মাঝে সততা ও বস্তুনিষ্ঠতা চর্চায় এই সিদ্ধান্তটি খুব মজার ও বেশ কার্যকরী ছিল। যদিও আমরা আশা করেছিলাম শিক্ষার্থীরা কাগজ দিয়ে তৈরি সাধারণ ডিজাইনের হেডগিয়ার নিয়ে আসবে।’ তবে এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতায় শিক্ষকেরা বেশ আনন্দ পেয়েছেন বলে উল্লেখ করেছে বিবিসি।

পরীক্ষায় অন্যের খাতা নকল ঠেকাতে অদ্ভুত সব হেডগিয়ার পরে আসে শিক্ষার্থীরা। ছবি: ম্যারি জয় মান্দানে অরটিজপরীক্ষায় অন্যের খাতা নকল ঠেকাতে অদ্ভুত সব হেডগিয়ার পরে আসে শিক্ষার্থীরা। ছবি: ম্যারি জয় মান্দানে অরটিজএদিকে কলেজটির শিক্ষকদের তোলা বেশ কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের তৈরি হাস্যকর সব হেডগিয়ার।

মান্দানে অরটিজ আরও বলেন, ‘কলেজ কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে এ বছর শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় বেশ ভালোই ফলাফল করছে। তারা অন্যের ওপর ভরসা না করে নিজেরাই পড়াশোনায় মনোযোগী হচ্ছে।’

পরীক্ষায় অন্যের খাতা নকল ঠেকাতে অদ্ভুত সব হেডগিয়ার পরে আসে শিক্ষার্থীরা। ছবি: ম্যারি জয় মান্দানে অরটিজপরীক্ষায় অন্যের খাতা নকল ঠেকাতে অদ্ভুত সব হেডগিয়ার পরে আসে শিক্ষার্থীরা। ছবি: ম্যারি জয় মান্দানে অরটিজএর আগে ২০১৩ সালে থাইল্যান্ডের ব্যাংককের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাকেন্দ্রের ছবি ভাইরাল হওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। সেখানে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা তাদের মাথার দুপাশে কাগজ ঝুলিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে যাতে কেউ অন্যের খাতা নকল করতে না পারে। সেখান থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্তে আসে বলে অরটিজ জানিয়েছেন।