পাবিপ্রবিতে ‘শেখ রাসেল দিবস’ উদযাপন

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘শেখ রাসেল দিবস’ উদযাপন উপলক্ষে তাঁর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন, উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সালাহ্ উদ্দীন।

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন ডেস্ক 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মবার্ষিকীতে ‘শেখ রাসেল দিবস’ যথাযথ মর্যাদায় উদযাপন করেছে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ স্মারক ম্যুরাল ‘জনক জ্যোতির্ময়’ এ শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন, উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সালাহ্ উদ্দীন। আরও শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে প্রক্টর অফিস ও ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তর।

এরপর দিবসটি উপলক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন বলেন, “জন্মদিন মানে আনন্দ, কেক কাটা। কিন্তু আজকের দিনটিতে আমরা আনন্দের পাশাপাশি শোকে মুহ্যমান। ১৫ আগস্ট শেখ রাসেল এক নারকীয় হত্যাকান্ডের শিকার হন। সেদিন ইতিহাসের মর্মান্তিক ঘটনা সংঘটিত না হলে, তিনি হতে পারতেন একজন দেশপ্রেমিক নেতা, একজন প্রসিদ্ধ গবেষক। জাতিকে দিতে পারতেন নেতৃত্ব। এমন সম্ভাবনাকে আমরা নষ্ট করেছি।শেখ রাসেল ছিলেন নির্মলতার প্রতীক, দুরন্ত, প্রাণবন্ত এবং নির্ভীক। এদেশের সকল শিশুর মধ্যে তিনি বেঁচে থাকবেন। তাঁর জম্মদিনে আমরা এই নারকীয় হত্যার প্রতিবাদ জানাই।”

তিনি আরও বলেন, “আদর্শ শিক্ষাকে ধারণ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। অনগ্রসরদের সামনে চালিত করার জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে হবে। এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার শিক্ষাটা আমাদের সকলের মধ্যে থাকতে হবে। এর ফলে ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে।”

উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান বলেন, “সমাজ বিবর্তনের কালে কালে বিভিন্ন দেশে রাষ্ট নায়কদের হত্যা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারসহ শিশু রাসেলকে হত্যার মধ্য দিয়ে একটি দেশের মানচিত্র বদলে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা সফল হয় নি, উল্টো ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ হয়েছে। এই জাতি তাঁকে সারাজীবন মনে রাখবে।”

কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সালাহ্ উদ্দীন বলেন, “শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে আজ তাঁর বয়স হতো ৫৮ বছর। তিনি আমাদের মাঝে থাকলে বাঙালি জাতি পেত একজন দেশ প্রেমিক মহানুভব নেতা।”

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম। এরপর শহীদদের আত্মার শান্তি কামনায় মোনাজাত করা হয়। শ্রদ্ধাঞ্জলি ও আলোচনা শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন; উপ উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষকে সঙ্গে নিয়ে ক্যাম্পাসে কয়েকটি বৃক্ষরোপণ করেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর মো. কামাল হোসেন, ছাত্র উপদেষ্টা ড. সমীরণ কুমার সাহাসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হল প্রভোস্ট, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, জ্যেষ্ঠ শিক্ষক-কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীবৃন্দ।

১৯৬৪ সালের এই দিনে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবনে শেখ রাসেল জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরিবারের অন্যদের সাথে ঘাতকদের গুলিতে তিনিও শহীদ হন। তখন ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন রাসেল। বয়স ছিল মাত্র ১০ বছর।

এমবিএইচ

পাবিপ্রবিতে ‘শেখ রাসেল দিবস’ উদযাপন

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘শেখ রাসেল দিবস’ উদযাপন উপলক্ষে তাঁর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন, উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সালাহ্ উদ্দীন।

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন ডেস্ক 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মবার্ষিকীতে ‘শেখ রাসেল দিবস’ যথাযথ মর্যাদায় উদযাপন করেছে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ স্মারক ম্যুরাল ‘জনক জ্যোতির্ময়’ এ শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন, উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সালাহ্ উদ্দীন। আরও শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে প্রক্টর অফিস ও ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তর।

এরপর দিবসটি উপলক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন বলেন, “জন্মদিন মানে আনন্দ, কেক কাটা। কিন্তু আজকের দিনটিতে আমরা আনন্দের পাশাপাশি শোকে মুহ্যমান। ১৫ আগস্ট শেখ রাসেল এক নারকীয় হত্যাকান্ডের শিকার হন। সেদিন ইতিহাসের মর্মান্তিক ঘটনা সংঘটিত না হলে, তিনি হতে পারতেন একজন দেশপ্রেমিক নেতা, একজন প্রসিদ্ধ গবেষক। জাতিকে দিতে পারতেন নেতৃত্ব। এমন সম্ভাবনাকে আমরা নষ্ট করেছি।শেখ রাসেল ছিলেন নির্মলতার প্রতীক, দুরন্ত, প্রাণবন্ত এবং নির্ভীক। এদেশের সকল শিশুর মধ্যে তিনি বেঁচে থাকবেন। তাঁর জম্মদিনে আমরা এই নারকীয় হত্যার প্রতিবাদ জানাই।”

তিনি আরও বলেন, “আদর্শ শিক্ষাকে ধারণ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। অনগ্রসরদের সামনে চালিত করার জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে হবে। এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার শিক্ষাটা আমাদের সকলের মধ্যে থাকতে হবে। এর ফলে ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে।”

উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান বলেন, “সমাজ বিবর্তনের কালে কালে বিভিন্ন দেশে রাষ্ট নায়কদের হত্যা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারসহ শিশু রাসেলকে হত্যার মধ্য দিয়ে একটি দেশের মানচিত্র বদলে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা সফল হয় নি, উল্টো ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ হয়েছে। এই জাতি তাঁকে সারাজীবন মনে রাখবে।”

কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সালাহ্ উদ্দীন বলেন, “শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে আজ তাঁর বয়স হতো ৫৮ বছর। তিনি আমাদের মাঝে থাকলে বাঙালি জাতি পেত একজন দেশ প্রেমিক মহানুভব নেতা।”

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম। এরপর শহীদদের আত্মার শান্তি কামনায় মোনাজাত করা হয়। শ্রদ্ধাঞ্জলি ও আলোচনা শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন; উপ উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষকে সঙ্গে নিয়ে ক্যাম্পাসে কয়েকটি বৃক্ষরোপণ করেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর মো. কামাল হোসেন, ছাত্র উপদেষ্টা ড. সমীরণ কুমার সাহাসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হল প্রভোস্ট, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, জ্যেষ্ঠ শিক্ষক-কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীবৃন্দ।

১৯৬৪ সালের এই দিনে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবনে শেখ রাসেল জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরিবারের অন্যদের সাথে ঘাতকদের গুলিতে তিনিও শহীদ হন। তখন ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন রাসেল। বয়স ছিল মাত্র ১০ বছর।

এমবিএইচ