অংশীজনের সভা

পাবিপ্রবি-সিআরপি’র উদ্যোগে স্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্প

নাজমুল হুদা
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন। ছবি: ইমরান আহমেদ।

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ সোমবার দিনব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার ও সাভারের পক্ষাঘাতগ্রস্থদের পুনর্বাসান কেন্দ্র বা সেন্টার ফর দ্য রিহ্যাবিলিটেশন অব দ্য প্যারালাইজড (সিআরপি)-এর যৌথ উদ্যোগে মেডিকেল স্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্প হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলনায়তন ভবনে সকাল ১০টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন স্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্প উদ্বোধন করেন। এ সময় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম মোস্তফা কামাল খান।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয় শুদ্ধাচার কৌশল কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. মীর খালেদ ইকবাল চৌধুরী। সিআরপি থেকে উপস্থিত ছিলেন ডা. সজল কুমার দাস এবং ডা. মো. ফুরাতল হক।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. বাবুল হোসেন-এর পাঠানো বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন বলেন, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের শুদ্ধতা অর্জন করতে হবে। শরীর ও মন একে অপরের পরিপূরক। বয়সের সাথে সাথে শরীরের প্রতিটি অঙ্গের পরিবর্তন ঘটে। শরীর সুস্থ থাকলে মনও সুস্থ থাকে। সুস্থ শরীর মানসিক হতাশাকে দূর করতে পারে। আমাদের মনোজগতকে ঠিক রাখতে হবে। তিনি আরও বলেন, আমাদের ভালো চিন্তা ও ভালো কাজ করতে হবে। সবাই মিলে একসাথে কাজ করলে ভালো কিছু অর্জন করা সম্ভব।

বক্তব্য দিচ্ছেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম মোস্তফা কামাল খান।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম মোস্তফা কামাল খান বলেন, প্রতিটি মানুষকে যার যার জায়গা থেকে শুদ্ধ হতে হবে। কর্মের মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন এবং সততা, স্বচ্ছতা, দায়িত্ব, কর্তব্য ও জবাবদিহিতা বাড়াতে হবে। পবিত্রতা প্রতিটি মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত থাকতে হবে। অসৎভাবে কোনোকিছু অর্জিত হলেও পরিণামে ভালোকিছু পাওয়া সম্ভব না। তাছাড়া, নিজে সৎ না হলে, শুদ্ধাচার প্রশিক্ষণ নিয়েও তেমন কোনো লাভ হবে। প্রতিটি কাজ-কর্মে নিজেকে সৎ ও আত্মশুদ্ধি হতে হবে। মনের হীনমন্যতাকে দূর করতে হবে।

অংশগ্রহণ করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম, প্রক্টর ড. মো. কামাল হোসেনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। দিনব্যাপী ফিজিওথেরাপি ও রক্ত চাপ নির্ণয় সেবা প্রদান করা হয়। সঞ্চালনা করেন সহকারি রেজিস্ট্রার এসএস জহুরুল ইসলাম প্রিন্স।

এদিকে গতকাল দুপুরে শুদ্ধাচার কৌশল কমিটির উদ্যোগে অংশীজনদের নিয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী, অভিভাবক, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।

ইবিহো/এসএস

অংশীজনের সভা

পাবিপ্রবি-সিআরপি’র উদ্যোগে স্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্প

নাজমুল হুদা
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন। ছবি: ইমরান আহমেদ।

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ সোমবার দিনব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার ও সাভারের পক্ষাঘাতগ্রস্থদের পুনর্বাসান কেন্দ্র বা সেন্টার ফর দ্য রিহ্যাবিলিটেশন অব দ্য প্যারালাইজড (সিআরপি)-এর যৌথ উদ্যোগে মেডিকেল স্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্প হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলনায়তন ভবনে সকাল ১০টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন স্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্প উদ্বোধন করেন। এ সময় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম মোস্তফা কামাল খান।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয় শুদ্ধাচার কৌশল কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. মীর খালেদ ইকবাল চৌধুরী। সিআরপি থেকে উপস্থিত ছিলেন ডা. সজল কুমার দাস এবং ডা. মো. ফুরাতল হক।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. বাবুল হোসেন-এর পাঠানো বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন বলেন, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের শুদ্ধতা অর্জন করতে হবে। শরীর ও মন একে অপরের পরিপূরক। বয়সের সাথে সাথে শরীরের প্রতিটি অঙ্গের পরিবর্তন ঘটে। শরীর সুস্থ থাকলে মনও সুস্থ থাকে। সুস্থ শরীর মানসিক হতাশাকে দূর করতে পারে। আমাদের মনোজগতকে ঠিক রাখতে হবে। তিনি আরও বলেন, আমাদের ভালো চিন্তা ও ভালো কাজ করতে হবে। সবাই মিলে একসাথে কাজ করলে ভালো কিছু অর্জন করা সম্ভব।

বক্তব্য দিচ্ছেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম মোস্তফা কামাল খান।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম মোস্তফা কামাল খান বলেন, প্রতিটি মানুষকে যার যার জায়গা থেকে শুদ্ধ হতে হবে। কর্মের মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন এবং সততা, স্বচ্ছতা, দায়িত্ব, কর্তব্য ও জবাবদিহিতা বাড়াতে হবে। পবিত্রতা প্রতিটি মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত থাকতে হবে। অসৎভাবে কোনোকিছু অর্জিত হলেও পরিণামে ভালোকিছু পাওয়া সম্ভব না। তাছাড়া, নিজে সৎ না হলে, শুদ্ধাচার প্রশিক্ষণ নিয়েও তেমন কোনো লাভ হবে। প্রতিটি কাজ-কর্মে নিজেকে সৎ ও আত্মশুদ্ধি হতে হবে। মনের হীনমন্যতাকে দূর করতে হবে।

অংশগ্রহণ করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম, প্রক্টর ড. মো. কামাল হোসেনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। দিনব্যাপী ফিজিওথেরাপি ও রক্ত চাপ নির্ণয় সেবা প্রদান করা হয়। সঞ্চালনা করেন সহকারি রেজিস্ট্রার এসএস জহুরুল ইসলাম প্রিন্স।

এদিকে গতকাল দুপুরে শুদ্ধাচার কৌশল কমিটির উদ্যোগে অংশীজনদের নিয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী, অভিভাবক, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।

ইবিহো/এসএস