পায়ে হেঁটে জবি রোভারদের ১৫০ কিলোমিটার পরিভ্রমণ

শাহীন আলম
পরিব্রাজক দল।

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রেসিডেন্ট’স রোভার স্কাউট অ্যাওয়ার্ড অর্জনকারী ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় রোভার স্কাউট গ্রুপের দুইটি দল পায়ে হেঁটে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদ থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ পর্যন্ত ১৫০ কিলোমিটার পথ পরিভ্রমণ করেছেন।

পরিভ্রমণকারী ছেলে দলের সদস্যরা হলেন রোভার দলনেতা এসএম শাহাদাত হোসেন অনু, রোভার মো. ইমরান হাসান এবং সহকারী দলনেতা রোভার রিয়াদ হোসেন। এ সময় সমাজ সচেতনতামূলক তিনটি স্লোগান তারা বহন করেন-স্বেচ্ছায় করব রক্ত দান, আমার রক্তে বাঁচবে প্রাণ, করব মোরা ধুমপান-মাদক বর্জন, গড়বো মোরা সুন্দর জীবন , ট্রাফিক আইন মেনে চলব, নিরাপদ সড়ক গড়ব ৷

মেয়ে দলের সদস্যরা হলেন গার্ল-ইন-রোভার দলনেতা সামসুননাহার স্মৃতি, গার্ল-ইন-রোভার জান্নাতুল ফেরদৌস জুঁই, গার্ল-ইন-রোভার হিরা সুলতানা এবং সহকারী দলনেতা রাহিমা আক্তার। এসময় সমাজ সচেতনতামূলক চারটি স্লোগান বহন করেন তারা- পথশিশুদের অধিকার, শিক্ষা হোক সবার, কন্যা শিশু বিয়ের নয়, কন্যা করবে বিশ্ব জয়, দেশের বায়ু, দেশের মাটি, গাছ লাগিয়ে করব খাঁটি, পরিবেশ বান্ধাব পাটের ব্যাগ ব্যবহার করুন, পলিব্যাগ বর্জন করুন৷

পাঁচদিনব্যাপী এই প্রোগ্রামে তারা লোহাগাড়া, চকরিয়া, ঈদগাঁও, রামু, উখিয়া, কক্সবাজার ও টেকনাফ পরিভ্রমণ করেন। পথে তারা বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি অফিস ইত্যাদি পরিদর্শন করার পাশাপাশি গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

পরিব্রাজক দল।

রোভার দল গত ১৩ জানুয়ারি ভোর ৬টায় কক্সবাজারের টেকনাফের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদের উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরীফ উল্যাহ, লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপজেলা সমাজকর্মী মো. ফজলেনুরী। যাত্রা পথে লোহাগাড়ার চুনতি এলাকায় চুনতী পুলিশ ফাড়ী লোহাগাড়া থানা, চট্টগ্রাম উপ-পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) জালাল উদ্দিনের সাথে, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন, লোহাগাড়া, চট্টগ্রাম স্টেশন অফিসার মো. রুবেল আলমের সাথে দেখা করে এবং প্রত্যয়ন পত্র সংগ্রহ করে।

১ম দিন লোহাগড়া উপজেলা পরিষদ থেকে শুরু করে মাতামুহুরি ব্রীজ পার হয়ে চকরিয়া থানায় গিয়ে যাত্রা শেষ হয়। দ্বিতীয় দিন চকরিয়া থানা থেকে শুরু করে রাবার বাগান অতিক্রম করে রামু উপজেলায় গিয়ে যাত্রা শেষ হয়। তৃতীয় দিন রামু উপজেলা থেকে শুরু করে কোর্টবাজার,উখিয়া। চতুর্থ দিন কোর্টবাজার থেকে শুরু করে রূপপতী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইনানী গিয়ে শেষ হয়। পঞ্চম দিন রূপপতী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইনানী থেকে বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদ, টেকনাফ কক্সবাজার গিয়ে শেষ করে।

পঞ্চম ও শেষ দিন রূপপতী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইনানী থেকে যাত্রা শুরু করে বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদ, টেকনাফ কক্সবাজার গিয়ে পরিভ্রমণ শেষ হয়। পথিমধ্যে চুয়াংখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইমামের ডেইর প্রাথমিক বিদ্যালয়, শামলাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকবৃন্দ, বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, শিলখালী বন বিভাগের কর্মকর্তার সাথে মিলিত হয় এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন টেকনাফ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আলম। এরই মধ্যে রোভার দলের ১৫০ কিলোমিটারের যাত্রা সম্পন্ন হয়।

রোভার স্কাউটস এর সর্বোচ্চ সম্মাননা প্রেসিডেন্ট’স রোভার স্কাউট অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তির লক্ষ্যে পরিভ্রমণ ব্যাজ অর্জন করার জন্য গত ১৩ জানুয়ারি থেকে রোভার দল তাদের যাত্রা শুরু করেন।

এমবিএইচ/এসএস

পায়ে হেঁটে জবি রোভারদের ১৫০ কিলোমিটার পরিভ্রমণ

শাহীন আলম
পরিব্রাজক দল।

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রেসিডেন্ট’স রোভার স্কাউট অ্যাওয়ার্ড অর্জনকারী ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় রোভার স্কাউট গ্রুপের দুইটি দল পায়ে হেঁটে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদ থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ পর্যন্ত ১৫০ কিলোমিটার পথ পরিভ্রমণ করেছেন।

পরিভ্রমণকারী ছেলে দলের সদস্যরা হলেন রোভার দলনেতা এসএম শাহাদাত হোসেন অনু, রোভার মো. ইমরান হাসান এবং সহকারী দলনেতা রোভার রিয়াদ হোসেন। এ সময় সমাজ সচেতনতামূলক তিনটি স্লোগান তারা বহন করেন-স্বেচ্ছায় করব রক্ত দান, আমার রক্তে বাঁচবে প্রাণ, করব মোরা ধুমপান-মাদক বর্জন, গড়বো মোরা সুন্দর জীবন , ট্রাফিক আইন মেনে চলব, নিরাপদ সড়ক গড়ব ৷

মেয়ে দলের সদস্যরা হলেন গার্ল-ইন-রোভার দলনেতা সামসুননাহার স্মৃতি, গার্ল-ইন-রোভার জান্নাতুল ফেরদৌস জুঁই, গার্ল-ইন-রোভার হিরা সুলতানা এবং সহকারী দলনেতা রাহিমা আক্তার। এসময় সমাজ সচেতনতামূলক চারটি স্লোগান বহন করেন তারা- পথশিশুদের অধিকার, শিক্ষা হোক সবার, কন্যা শিশু বিয়ের নয়, কন্যা করবে বিশ্ব জয়, দেশের বায়ু, দেশের মাটি, গাছ লাগিয়ে করব খাঁটি, পরিবেশ বান্ধাব পাটের ব্যাগ ব্যবহার করুন, পলিব্যাগ বর্জন করুন৷

পাঁচদিনব্যাপী এই প্রোগ্রামে তারা লোহাগাড়া, চকরিয়া, ঈদগাঁও, রামু, উখিয়া, কক্সবাজার ও টেকনাফ পরিভ্রমণ করেন। পথে তারা বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি অফিস ইত্যাদি পরিদর্শন করার পাশাপাশি গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

পরিব্রাজক দল।

রোভার দল গত ১৩ জানুয়ারি ভোর ৬টায় কক্সবাজারের টেকনাফের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদের উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরীফ উল্যাহ, লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপজেলা সমাজকর্মী মো. ফজলেনুরী। যাত্রা পথে লোহাগাড়ার চুনতি এলাকায় চুনতী পুলিশ ফাড়ী লোহাগাড়া থানা, চট্টগ্রাম উপ-পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) জালাল উদ্দিনের সাথে, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন, লোহাগাড়া, চট্টগ্রাম স্টেশন অফিসার মো. রুবেল আলমের সাথে দেখা করে এবং প্রত্যয়ন পত্র সংগ্রহ করে।

১ম দিন লোহাগড়া উপজেলা পরিষদ থেকে শুরু করে মাতামুহুরি ব্রীজ পার হয়ে চকরিয়া থানায় গিয়ে যাত্রা শেষ হয়। দ্বিতীয় দিন চকরিয়া থানা থেকে শুরু করে রাবার বাগান অতিক্রম করে রামু উপজেলায় গিয়ে যাত্রা শেষ হয়। তৃতীয় দিন রামু উপজেলা থেকে শুরু করে কোর্টবাজার,উখিয়া। চতুর্থ দিন কোর্টবাজার থেকে শুরু করে রূপপতী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইনানী গিয়ে শেষ হয়। পঞ্চম দিন রূপপতী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইনানী থেকে বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদ, টেকনাফ কক্সবাজার গিয়ে শেষ করে।

পঞ্চম ও শেষ দিন রূপপতী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইনানী থেকে যাত্রা শুরু করে বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদ, টেকনাফ কক্সবাজার গিয়ে পরিভ্রমণ শেষ হয়। পথিমধ্যে চুয়াংখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইমামের ডেইর প্রাথমিক বিদ্যালয়, শামলাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকবৃন্দ, বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, শিলখালী বন বিভাগের কর্মকর্তার সাথে মিলিত হয় এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন টেকনাফ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আলম। এরই মধ্যে রোভার দলের ১৫০ কিলোমিটারের যাত্রা সম্পন্ন হয়।

রোভার স্কাউটস এর সর্বোচ্চ সম্মাননা প্রেসিডেন্ট’স রোভার স্কাউট অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তির লক্ষ্যে পরিভ্রমণ ব্যাজ অর্জন করার জন্য গত ১৩ জানুয়ারি থেকে রোভার দল তাদের যাত্রা শুরু করেন।

এমবিএইচ/এসএস