প্রধান শিক্ষক পদোন্নতিতে কমপক্ষে স্নাতক করা হোক

আগের নিয়োগবিধি অনুযায়ী ২০১৮ সালে দেশের বিভিন্ন উপজেলায় প্রধান শিক্ষক (চলতি দায়িত্ব) পদে এসএসসি ও এইচএসসি পাস শিক্ষকদের চাকরির অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে পদোন্নতি দেওয়া হয়। বর্তমান সময় বিবেচনায় বিষয়টি একেবারেই অগ্রহণযোগ্য, যেহেতু বর্তমানে প্রধান শিক্ষক পদটি দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদার।
আবার ২০১৯ সালের নিয়োগবিধিতে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে সহকারী শিক্ষক পদে প্রশিক্ষণসহ সাত বছরের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু ওই নিয়োগবিধিতে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে কোনো ধরনের শিক্ষাগত যোগ্যতার কথা উল্লেখ করা হয়নি। যেহেতু বর্তমান নিয়োগবিধি অনুযায়ী সহকারী শিক্ষক পদের যোগ্যতা কমপক্ষে স্নাতক করা হয়েছে, প্রধান শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতির ক্ষেত্রেও চাকরির অভিজ্ঞতার পাশাপাশি শিক্ষাগত যোগ্যতা কমপক্ষে স্নাতক বা সমমান করা উচিত। আবার প্রধান শিক্ষকের মতো গুরুত্বপূর্ণ ও মর্যাদাপূর্ণ পদে শিক্ষাগত যোগ্যতা কমপক্ষে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি না থাকলে প্রতিষ্ঠানপ্রধান হিসেবে সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা থাকবে না।
পরবর্তী সময়েও যদি এসএসসি ও এইচএসসি পাস শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতির সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে শূন্য পদের অভাবে উচ্চতর ডিগ্রিধারী শিক্ষকগণের মধ্যে খুব কমসংখ্যক প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির সুযোগ পাবেন, আর অন্যদের পদোন্নতিবিহীন সহকারী শিক্ষক পদ থেকে অবসর নিতে হবে। উচ্চতর ডিগ্রিধারী সহকারী শিক্ষকেরা চাকরিজীবনে যদি প্রধান শিক্ষক হিসেবেও পদোন্নতি না পান, তাহলে পেশাগত জীবনে চরমভাবে হতাশ হয়ে পড়বেন। সুতরাং প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে ২০১৯ সালের নিয়োগবিধি সংশোধনপূর্বক সাত বছরের চাকরির অভিজ্ঞতার পাশাপাশি শিক্ষাগত যোগ্যতা যেন কমপক্ষে স্নাতক বা সমমান ডিগ্রি করা হয়। আশা করি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বিবেচনা করবে।
গাজী আরিফ মান্নান
শিক্ষক
ফুলগাজী, ফেনী

প্রধান শিক্ষক পদোন্নতিতে কমপক্ষে স্নাতক করা হোক

আগের নিয়োগবিধি অনুযায়ী ২০১৮ সালে দেশের বিভিন্ন উপজেলায় প্রধান শিক্ষক (চলতি দায়িত্ব) পদে এসএসসি ও এইচএসসি পাস শিক্ষকদের চাকরির অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে পদোন্নতি দেওয়া হয়। বর্তমান সময় বিবেচনায় বিষয়টি একেবারেই অগ্রহণযোগ্য, যেহেতু বর্তমানে প্রধান শিক্ষক পদটি দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদার।
আবার ২০১৯ সালের নিয়োগবিধিতে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে সহকারী শিক্ষক পদে প্রশিক্ষণসহ সাত বছরের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু ওই নিয়োগবিধিতে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে কোনো ধরনের শিক্ষাগত যোগ্যতার কথা উল্লেখ করা হয়নি। যেহেতু বর্তমান নিয়োগবিধি অনুযায়ী সহকারী শিক্ষক পদের যোগ্যতা কমপক্ষে স্নাতক করা হয়েছে, প্রধান শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতির ক্ষেত্রেও চাকরির অভিজ্ঞতার পাশাপাশি শিক্ষাগত যোগ্যতা কমপক্ষে স্নাতক বা সমমান করা উচিত। আবার প্রধান শিক্ষকের মতো গুরুত্বপূর্ণ ও মর্যাদাপূর্ণ পদে শিক্ষাগত যোগ্যতা কমপক্ষে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি না থাকলে প্রতিষ্ঠানপ্রধান হিসেবে সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা থাকবে না।
পরবর্তী সময়েও যদি এসএসসি ও এইচএসসি পাস শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতির সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে শূন্য পদের অভাবে উচ্চতর ডিগ্রিধারী শিক্ষকগণের মধ্যে খুব কমসংখ্যক প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির সুযোগ পাবেন, আর অন্যদের পদোন্নতিবিহীন সহকারী শিক্ষক পদ থেকে অবসর নিতে হবে। উচ্চতর ডিগ্রিধারী সহকারী শিক্ষকেরা চাকরিজীবনে যদি প্রধান শিক্ষক হিসেবেও পদোন্নতি না পান, তাহলে পেশাগত জীবনে চরমভাবে হতাশ হয়ে পড়বেন। সুতরাং প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে ২০১৯ সালের নিয়োগবিধি সংশোধনপূর্বক সাত বছরের চাকরির অভিজ্ঞতার পাশাপাশি শিক্ষাগত যোগ্যতা যেন কমপক্ষে স্নাতক বা সমমান ডিগ্রি করা হয়। আশা করি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বিবেচনা করবে।
গাজী আরিফ মান্নান
শিক্ষক
ফুলগাজী, ফেনী