ওই ঘটনায় দায়ের মামলার তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ওই পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে। তাদের কাছ থেকে জব্দ করা আলামতও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। প্রশ্নফাঁস করে তা বিক্রির টাকা এই আসামিরা ছাড়াও যে তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কেউ পেয়েছেন, সে আভাস মিলেছে। তবে আসামিরা তথ্য এড়ানোর চেষ্টা করছেন। ডায়েরিতে ‘স্যারের’ নামে বরাদ্দ করা কয়েক লাখ টাকা দেওয়া হলেও সেই স্যার কে—তা বলতে গড়িমসি করছেন তারা। তবে সেই স্যারের নাম-পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।
ওই অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া ডিবির লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার মশিউর রহমান কালবেলাকে বলেন, রিমান্ডে থাকা আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য যাচাই চলছে। মামলাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রিমান্ডে থাকা পাঁচজনই প্রশ্ন প্রণয়ন, প্রিন্টিং ও সংরক্ষণ কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে তারা নিয়োগ-বাণিজ্য করতেন। এর আগেও বিভিন্ন পদের নিয়োগ-বাণিজ্যে সম্পৃক্ততা থাকতে পারে তাদের। তবে ওই পাঁচজন ছাড়াও এয়ারলাইন্সটির ঊর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তা এই অপকর্মে জড়িত। কে সেই কর্মকর্তা, এখন সেই অনুসন্ধান চলছে। জড়িত পুরো গ্রুপটিকেই আইনের আওতায় নেওয়া হবে।