প্রশ্ন ফাঁসে বিমানের পাঁচ কর্মীকে অব্যাহতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচ কর্মীকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। গতকাল রবিবার ওই পাঁচজনকে অব্যাহতি দেওয়ার কথা জানানো হয়। এ ছাড়া ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করেছে বিমান।

অব্যাহতি পাওয়া পাঁচ কর্মী হলেন বিমানের এমটি অপারেটর (ড্রাইভার) মো. জাহাঙ্গীর আলম, হারুন-অর-রশিদ ও মাহফুজুল আলম এবং এমএলএসএস (অফিস সহকারী) মো. হারুন অর রশীদ।এ ছাড়া ক্যাজুয়াল ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া এমএলএসএস আওলাদ হোসেনকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার গতকাল কালের কণ্ঠকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাতে গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচ কর্মীকে টার্মিনেট করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত শনিবার নেওয়া হয়েছে। রবিবার সেটি বাস্তবায়ন করা হয়। ’ তিনি জানান, পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এটা যেহেতু পুলিশ কেস, এ বিষয়ে ডিবিও তদন্ত করছে। তাঁদের বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছে সেটা আইনানুযায়ী শেষ হবে। ’

এর আগে শনিবার আদালত গ্রেপ্তার পাঁচজনের ছয় দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রাজধানীর দক্ষিণখান থানা পুলিশ ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিল। পরে এ ঘটনার মামলায় তাঁদের আসামি করা হয়। এদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দা প্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, ‘বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষায় ফাঁস হওয়া প্রশ্নে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা এর আগেও বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস করার কথা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় বিমানের ঊর্ধ্বতন কেউ জড়িত কি না সেটিও খতিয়ে দেখা হবে। ’

গত শুক্রবার বিকেল ৩টা থেকে বিমানের ১০টি পদের লিখিত পরীক্ষা ছিল। তবে পরীক্ষা শুরুর দেড় ঘণ্টা আগে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ। পরে বিমান কর্তৃপক্ষ পরীক্ষাটি স্থগিত ঘোষণা করে।

 

প্রশ্ন ফাঁসে বিমানের পাঁচ কর্মীকে অব্যাহতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচ কর্মীকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। গতকাল রবিবার ওই পাঁচজনকে অব্যাহতি দেওয়ার কথা জানানো হয়। এ ছাড়া ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করেছে বিমান।

অব্যাহতি পাওয়া পাঁচ কর্মী হলেন বিমানের এমটি অপারেটর (ড্রাইভার) মো. জাহাঙ্গীর আলম, হারুন-অর-রশিদ ও মাহফুজুল আলম এবং এমএলএসএস (অফিস সহকারী) মো. হারুন অর রশীদ।এ ছাড়া ক্যাজুয়াল ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া এমএলএসএস আওলাদ হোসেনকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার গতকাল কালের কণ্ঠকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাতে গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচ কর্মীকে টার্মিনেট করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত শনিবার নেওয়া হয়েছে। রবিবার সেটি বাস্তবায়ন করা হয়। ’ তিনি জানান, পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এটা যেহেতু পুলিশ কেস, এ বিষয়ে ডিবিও তদন্ত করছে। তাঁদের বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছে সেটা আইনানুযায়ী শেষ হবে। ’

এর আগে শনিবার আদালত গ্রেপ্তার পাঁচজনের ছয় দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রাজধানীর দক্ষিণখান থানা পুলিশ ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিল। পরে এ ঘটনার মামলায় তাঁদের আসামি করা হয়। এদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দা প্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, ‘বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষায় ফাঁস হওয়া প্রশ্নে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা এর আগেও বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস করার কথা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় বিমানের ঊর্ধ্বতন কেউ জড়িত কি না সেটিও খতিয়ে দেখা হবে। ’

গত শুক্রবার বিকেল ৩টা থেকে বিমানের ১০টি পদের লিখিত পরীক্ষা ছিল। তবে পরীক্ষা শুরুর দেড় ঘণ্টা আগে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ। পরে বিমান কর্তৃপক্ষ পরীক্ষাটি স্থগিত ঘোষণা করে।