প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে কোটা বাতিলের দাবি

কালবেলা প্রতিবেদক

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে কোটা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগে ‘বৈষম্যমূলক’ কোটা বাতিলের দাবি জানিয়েছে অধিকার বঞ্চিত বেকার সমাজ নামের একটি সংগঠন। আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধন থেকে পাঁচ দফা দাবি জানায় সংগঠনটি।

দাবিগুলো হলো– বৈষম্যমূলক এই ফল বাতিল করে এক ও অভিন্ন কাট মার্কে পুনরায় ফল ঘোষণা করা; কোটা বাতিলের সরকারি পরিপত্র মেনে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা; শিক্ষক নিয়োগে বিদ্যমান নিয়োগ মেধাভিত্তিতে দ্রুত সম্পন্ন করে নতুন কোটামুক্ত পরবর্তী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা; প্রতিবন্ধীদের জন্য কোটা সংরক্ষণ করে পোষ্য কোটাসহ সব কোটার সম্পূর্ণ বিলোপ করাসহ নিয়োগ পরীক্ষার মেরিট লিস্টের পাশাপাশি প্রাপ্ত নম্বর প্রকাশ করা।

সংগঠনটির আহ্বায়ক তারেক রহমান বলেন, ‘শিক্ষক নিয়োগে সমাজের অনগ্রসর শ্রেণিকে বঞ্চিত করে চাকরিজীবীর সন্তানদের বৈষম্যমূলক কোটা সুবিধা প্রদান করে পুনরায় চাকরির সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে সর্বশেষ ঘোষিত ফলে। প্রাথমিক নিয়োগবিধি ২০১৯ নামে ধারা ৮ এ সংবিধানের নির্দেশনা অমান্য করে মনগড়া নিয়ম করে ৬০ শতাংশ নারী, ২০ শতাংশ পোষ্য বা পারিবারিক, ২০ শতাংশ পুরুষদের জন্য প্রণয়ন করে। যেখানে সামগ্রিকভাবে ২০ শতাংশ বিজ্ঞান কোটার অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এটি সমাজের অনগ্রসর শ্রেণিকে এগিয়ে নেওয়ার যে সাংবিধানিক নির্দেশনা তা অবজ্ঞা করে। এই অন্যায় নীতির ফলে, কৃষক, দিনমজুর, গার্মেন্টস শ্রমিক, পরিবহন শ্রমিক, খেটে খাওয়া মানুষের সন্তানদের বঞ্চিত করেছে সরকার।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আদালতে বৈষম্যমূলক কোটার বিরুদ্ধে রিট করলে আদালত বেকারদের পক্ষে রুল জারি করেন। কিন্তু জারি করা রুলের বিপরীতে শুনানি করতে গড়িমসি করেন আদালত। এদিকে ফল প্রকাশ করে ফেলে অধিদপ্তর। ফলে অযোগ্যরা কোটায় শিক্ষকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ দখল করে, বঞ্চিত হয় সাধারণের চাকরিপ্রত্যাশীদের সন্তানরা। এটি ২০১৮ সালের সফল ছাত্র আন্দোলনের ফলে, প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া কোটা বাতিলের প্রতিশ্রুতির খেলাপ বলে আমরা মনে করছি। এখানে সরকারি পরিপত্র না মেনে মনগড়া নিয়ম বানিয়ে নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করা বিধিবহির্ভূত হয়েছে।’

প্রতিবাদ সমাবেশ অধিকার বঞ্চিত বেকার সমাজের আহ্বায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে বক্তব্য দেন সুমন কবির, ইমরান আল নাজির, জনি আহমেদ, সাহাদাত ইসলাম প্রমুখ।

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে কোটা বাতিলের দাবি

কালবেলা প্রতিবেদক

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে কোটা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগে ‘বৈষম্যমূলক’ কোটা বাতিলের দাবি জানিয়েছে অধিকার বঞ্চিত বেকার সমাজ নামের একটি সংগঠন। আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধন থেকে পাঁচ দফা দাবি জানায় সংগঠনটি।

দাবিগুলো হলো– বৈষম্যমূলক এই ফল বাতিল করে এক ও অভিন্ন কাট মার্কে পুনরায় ফল ঘোষণা করা; কোটা বাতিলের সরকারি পরিপত্র মেনে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা; শিক্ষক নিয়োগে বিদ্যমান নিয়োগ মেধাভিত্তিতে দ্রুত সম্পন্ন করে নতুন কোটামুক্ত পরবর্তী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা; প্রতিবন্ধীদের জন্য কোটা সংরক্ষণ করে পোষ্য কোটাসহ সব কোটার সম্পূর্ণ বিলোপ করাসহ নিয়োগ পরীক্ষার মেরিট লিস্টের পাশাপাশি প্রাপ্ত নম্বর প্রকাশ করা।

সংগঠনটির আহ্বায়ক তারেক রহমান বলেন, ‘শিক্ষক নিয়োগে সমাজের অনগ্রসর শ্রেণিকে বঞ্চিত করে চাকরিজীবীর সন্তানদের বৈষম্যমূলক কোটা সুবিধা প্রদান করে পুনরায় চাকরির সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে সর্বশেষ ঘোষিত ফলে। প্রাথমিক নিয়োগবিধি ২০১৯ নামে ধারা ৮ এ সংবিধানের নির্দেশনা অমান্য করে মনগড়া নিয়ম করে ৬০ শতাংশ নারী, ২০ শতাংশ পোষ্য বা পারিবারিক, ২০ শতাংশ পুরুষদের জন্য প্রণয়ন করে। যেখানে সামগ্রিকভাবে ২০ শতাংশ বিজ্ঞান কোটার অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এটি সমাজের অনগ্রসর শ্রেণিকে এগিয়ে নেওয়ার যে সাংবিধানিক নির্দেশনা তা অবজ্ঞা করে। এই অন্যায় নীতির ফলে, কৃষক, দিনমজুর, গার্মেন্টস শ্রমিক, পরিবহন শ্রমিক, খেটে খাওয়া মানুষের সন্তানদের বঞ্চিত করেছে সরকার।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আদালতে বৈষম্যমূলক কোটার বিরুদ্ধে রিট করলে আদালত বেকারদের পক্ষে রুল জারি করেন। কিন্তু জারি করা রুলের বিপরীতে শুনানি করতে গড়িমসি করেন আদালত। এদিকে ফল প্রকাশ করে ফেলে অধিদপ্তর। ফলে অযোগ্যরা কোটায় শিক্ষকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ দখল করে, বঞ্চিত হয় সাধারণের চাকরিপ্রত্যাশীদের সন্তানরা। এটি ২০১৮ সালের সফল ছাত্র আন্দোলনের ফলে, প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া কোটা বাতিলের প্রতিশ্রুতির খেলাপ বলে আমরা মনে করছি। এখানে সরকারি পরিপত্র না মেনে মনগড়া নিয়ম বানিয়ে নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করা বিধিবহির্ভূত হয়েছে।’

প্রতিবাদ সমাবেশ অধিকার বঞ্চিত বেকার সমাজের আহ্বায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে বক্তব্য দেন সুমন কবির, ইমরান আল নাজির, জনি আহমেদ, সাহাদাত ইসলাম প্রমুখ।