ফটকের সামনে বাস কাউন্টার, নিরাপত্তাহীনতায় শিক্ষার্থীরা

মেহেরাবুল ইসলাম সৌদিপ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় ফটকের সামনে অবৈধভাবে দাঁড়িয়ে থাকা বাসের সারি। সম্প্রতি তোলা। ছবি: দৈনিক বাংলা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) তৃতীয় ফটক। কিন্তু ফটকের সামনেই অবৈধ বাসস্ট্যান্ড। তাতে তীব্র যানজট লেগেই থাকে ওই এলাকাজুড়ে। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সাধারণ জনগণের ভোগান্তির শেষ নেই। সড়ক দুর্ঘটনা, চাঁদাবাজি ও যৌন হয়রানি এখানের নিয়মিত ঘটনা। এ ছাড়া ফটকের দেয়ালঘেঁষে বসা বিভিন্ন ফেরিওয়ালা পথচারীদের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

অবৈধ এ বাসস্ট্যান্ডের কারণে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন জবি শিক্ষার্থীরা। এখানে দাঁড়িয়ে থাকা পরিবহন শ্রমিকরা প্রায়ই বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের শ্লীলতাহানিসহ নানাভাবে হয়রানি করে থাকেন। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তৃতীয় ফটকটি বন্ধ করে দেয়ার কথা ভাবছে।

চলতি বছরের জানুয়ারিতেই তানজিল পরিবহনের একটি বাসের চালকের সহকারীর সঙ্গে ১৪তম ব্যাচের এক নারী শিক্ষার্থীর বাগ্‌বিতণ্ডা হলে একপর্যায়ে ওই শিক্ষার্থীকে শারীরিক লাঞ্ছনার শিকার হতে হয় বলে অভিযোগ ওঠে।

সর্বশেষ মাস দুয়েক আগেও সংগীত বিভাগের তিন শিক্ষার্থী বিহঙ্গ বাসে গুলিস্তান থেকে ক্যাম্পাসে যাওয়ার সময় চালকের সহকারীর সঙ্গে হাতাহাতি হয়। তাদের একজন শৈলী পাল দৈনিক বাংলাকে জানান, সেদিন রাতে সেই বাসের হেল্পার তার বান্ধবীর গায়ে হাত তোলে। এ ঘটনায় তারা সূত্রাপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কার্যালয়ে এ ধরনের অভিযোগ জমা পড়ে নিয়মিতই। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রক্টর অফিস পুলিশ প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে বাসমালিকদের সঙ্গে বৈঠক করেও ফল আসেনি। উল্টো বাসমালিকদের অভিযোগ, কয়েকজন নারীকে দিয়ে এসব ঘটনা তৈরি করে জবির শিক্ষার্থীরাই চাঁদাবাজি করছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবন দিয়ে প্রবেশ ও বের হওয়ার প্রধান ফটক ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে সারি সারি বাস। সামনের ফুটপাতের ওপর বাস কাউন্টার থেকে টিকিট কাটার জন্য ভিড় জমিয়েছেন যাত্রীরা। এ কারণে ফুটপাত দিয়ে যাতায়াত করতে পারছেন না সাধারণ মানুষ।

এদিকে সপ্তাহের পাঁচ দিনই শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত থাকে জবি ক্যাম্পাস। আবার শুক্র ও শনিবার আনাগোনা থাকে প্রফেশনাল বিভিন্ন প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীদের। আশপাশের আরও কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মিলিয়ে প্রায় ২৫ হাজার শিক্ষার্থীর চলাচল জনসন রোড ও লক্ষ্মীবাজার রোড দিয়ে। কিন্তু বাহাদুর শাহ পার্ক ও জবি সংলগ্ন উভমুখী রাস্তায় পরিবহন কাউন্টারের কারণে বাসগুলো একমুখী চলাচল করে। এতে প্রতিনিয়তই সেখানে যানজট লেগে থাকে।

এ বাসস্ট্যান্ডকে ঘিরে এখন প্রকাশ্যেই চলে চাঁদাবাজি। রাত ১০টার পর থেকে এর মাত্রা আরও বাড়তে থাকে। রিকশা, ভ্যান ও বাসসহ সব ধরনের যানবাহন থেকেই সিটি করপোরেশনের নামে তোলা হয় চাঁদা। তবে সিটি করপোরেশনের সঙ্গে এর কোনো সংযোগ নেই।

সিটি করপোরেশনের নামে চাঁদা তোলার বিষয়ে জানতে চাইলে ৩৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আব্দুর রহমান মিয়াজী কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি। তিনি এ বিষয়ে সিটি করপোরেশনের সঙ্গে কথা বলার জন্য পরামর্শ দেন। যোগাযোগ করলে সিটি করপোরেশন জানিয়েছে, রিকশা-ভ্যানের মতো যানবাহন থেকে চাঁদা নেয়ার কোনো বিধান তাদের নেই।

অন্যদিকে গভীর রাতে প্রতিটি বাস থেকে পুলিশ ১০০ টাকা হারে চাঁদা নেয় বলে অভিযোগ পরিবহন শ্রমিকদের। তবে তাদের কেউ নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি। ফটকের পাশে থাকা পুলিশ বক্সের ইনচার্জ ও কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক মো. নাহিদুল ইসলামও এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এসব নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি পরিবহন মালিকরাও।

এদিকে অবৈধ এই বাসস্ট্যান্ড উচ্ছেদ করতে বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীরা দুর্ঘটনার শিকার হলেও তা নিয়ে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই প্রশাসনের। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রশাসন তাদের কথা না ভেবে সদরঘাটের যাত্রীদের কথা ভাবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বাস এভাবে এলোমেলোভাবে জটলা পাকিয়ে থাকে না। সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রশাসনকে এ বিষয়ে বলা হয়েছে। এ ছাড়া রায়সাহেব বাজারে গাড়ি ঘোরানোর জায়গা নেই। এখন বাসস্ট্যান্ড যদি মুরগিটোলা হয়, তাহলে সদরঘাটের যাত্রীদের আবার গাড়ি ভাড়া দিয়ে যাওয়া-আসা করতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘এখানে বাসস্ট্যান্ডের কোনো অনুমতি নেই। সাবেক উপাচার্য তার সময়ে প্রশাসনের সহায়তায় এটি ধোলাইখালে স্থানান্তর করেন। কিন্তু কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি ও অসাধু পুলিশ চাঁদাবাজি করার জন্যই এখানে বাসস্ট্যান্ড রেখেছে। আমিও মাঝেমধ্যে প্রকাশ্যেই চাঁদাবাজি করতে দেখেছি। ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে কথা বলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে প্রক্টরকে নির্দেশ দিয়েছি।’

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বিষয়গুলো জানানো হয়েছে। ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ থেকে শুরু করে লালবাগ জোনের লোকেরা এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছে।

ফটকের সামনে বিশৃঙ্খল অবস্থা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মী সংকটে এরই মধ্যে তৃতীয় গেট বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। উপাচার্য ইমদাদুল হক বলেন, এই গেট একেবারেই বন্ধ করে দেয়া হবে। গেট যত কম থাকে ততই ভালো, এতে সবকিছু নিয়ন্ত্রণে থাকে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষীও কম।

ফটকের সামনে বাস কাউন্টার, নিরাপত্তাহীনতায় শিক্ষার্থীরা

মেহেরাবুল ইসলাম সৌদিপ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় ফটকের সামনে অবৈধভাবে দাঁড়িয়ে থাকা বাসের সারি। সম্প্রতি তোলা। ছবি: দৈনিক বাংলা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) তৃতীয় ফটক। কিন্তু ফটকের সামনেই অবৈধ বাসস্ট্যান্ড। তাতে তীব্র যানজট লেগেই থাকে ওই এলাকাজুড়ে। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সাধারণ জনগণের ভোগান্তির শেষ নেই। সড়ক দুর্ঘটনা, চাঁদাবাজি ও যৌন হয়রানি এখানের নিয়মিত ঘটনা। এ ছাড়া ফটকের দেয়ালঘেঁষে বসা বিভিন্ন ফেরিওয়ালা পথচারীদের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

অবৈধ এ বাসস্ট্যান্ডের কারণে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন জবি শিক্ষার্থীরা। এখানে দাঁড়িয়ে থাকা পরিবহন শ্রমিকরা প্রায়ই বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের শ্লীলতাহানিসহ নানাভাবে হয়রানি করে থাকেন। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তৃতীয় ফটকটি বন্ধ করে দেয়ার কথা ভাবছে।

চলতি বছরের জানুয়ারিতেই তানজিল পরিবহনের একটি বাসের চালকের সহকারীর সঙ্গে ১৪তম ব্যাচের এক নারী শিক্ষার্থীর বাগ্‌বিতণ্ডা হলে একপর্যায়ে ওই শিক্ষার্থীকে শারীরিক লাঞ্ছনার শিকার হতে হয় বলে অভিযোগ ওঠে।

সর্বশেষ মাস দুয়েক আগেও সংগীত বিভাগের তিন শিক্ষার্থী বিহঙ্গ বাসে গুলিস্তান থেকে ক্যাম্পাসে যাওয়ার সময় চালকের সহকারীর সঙ্গে হাতাহাতি হয়। তাদের একজন শৈলী পাল দৈনিক বাংলাকে জানান, সেদিন রাতে সেই বাসের হেল্পার তার বান্ধবীর গায়ে হাত তোলে। এ ঘটনায় তারা সূত্রাপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কার্যালয়ে এ ধরনের অভিযোগ জমা পড়ে নিয়মিতই। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রক্টর অফিস পুলিশ প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে বাসমালিকদের সঙ্গে বৈঠক করেও ফল আসেনি। উল্টো বাসমালিকদের অভিযোগ, কয়েকজন নারীকে দিয়ে এসব ঘটনা তৈরি করে জবির শিক্ষার্থীরাই চাঁদাবাজি করছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবন দিয়ে প্রবেশ ও বের হওয়ার প্রধান ফটক ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে সারি সারি বাস। সামনের ফুটপাতের ওপর বাস কাউন্টার থেকে টিকিট কাটার জন্য ভিড় জমিয়েছেন যাত্রীরা। এ কারণে ফুটপাত দিয়ে যাতায়াত করতে পারছেন না সাধারণ মানুষ।

এদিকে সপ্তাহের পাঁচ দিনই শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত থাকে জবি ক্যাম্পাস। আবার শুক্র ও শনিবার আনাগোনা থাকে প্রফেশনাল বিভিন্ন প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীদের। আশপাশের আরও কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মিলিয়ে প্রায় ২৫ হাজার শিক্ষার্থীর চলাচল জনসন রোড ও লক্ষ্মীবাজার রোড দিয়ে। কিন্তু বাহাদুর শাহ পার্ক ও জবি সংলগ্ন উভমুখী রাস্তায় পরিবহন কাউন্টারের কারণে বাসগুলো একমুখী চলাচল করে। এতে প্রতিনিয়তই সেখানে যানজট লেগে থাকে।

এ বাসস্ট্যান্ডকে ঘিরে এখন প্রকাশ্যেই চলে চাঁদাবাজি। রাত ১০টার পর থেকে এর মাত্রা আরও বাড়তে থাকে। রিকশা, ভ্যান ও বাসসহ সব ধরনের যানবাহন থেকেই সিটি করপোরেশনের নামে তোলা হয় চাঁদা। তবে সিটি করপোরেশনের সঙ্গে এর কোনো সংযোগ নেই।

সিটি করপোরেশনের নামে চাঁদা তোলার বিষয়ে জানতে চাইলে ৩৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আব্দুর রহমান মিয়াজী কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি। তিনি এ বিষয়ে সিটি করপোরেশনের সঙ্গে কথা বলার জন্য পরামর্শ দেন। যোগাযোগ করলে সিটি করপোরেশন জানিয়েছে, রিকশা-ভ্যানের মতো যানবাহন থেকে চাঁদা নেয়ার কোনো বিধান তাদের নেই।

অন্যদিকে গভীর রাতে প্রতিটি বাস থেকে পুলিশ ১০০ টাকা হারে চাঁদা নেয় বলে অভিযোগ পরিবহন শ্রমিকদের। তবে তাদের কেউ নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি। ফটকের পাশে থাকা পুলিশ বক্সের ইনচার্জ ও কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক মো. নাহিদুল ইসলামও এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এসব নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি পরিবহন মালিকরাও।

এদিকে অবৈধ এই বাসস্ট্যান্ড উচ্ছেদ করতে বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীরা দুর্ঘটনার শিকার হলেও তা নিয়ে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই প্রশাসনের। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রশাসন তাদের কথা না ভেবে সদরঘাটের যাত্রীদের কথা ভাবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বাস এভাবে এলোমেলোভাবে জটলা পাকিয়ে থাকে না। সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রশাসনকে এ বিষয়ে বলা হয়েছে। এ ছাড়া রায়সাহেব বাজারে গাড়ি ঘোরানোর জায়গা নেই। এখন বাসস্ট্যান্ড যদি মুরগিটোলা হয়, তাহলে সদরঘাটের যাত্রীদের আবার গাড়ি ভাড়া দিয়ে যাওয়া-আসা করতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘এখানে বাসস্ট্যান্ডের কোনো অনুমতি নেই। সাবেক উপাচার্য তার সময়ে প্রশাসনের সহায়তায় এটি ধোলাইখালে স্থানান্তর করেন। কিন্তু কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি ও অসাধু পুলিশ চাঁদাবাজি করার জন্যই এখানে বাসস্ট্যান্ড রেখেছে। আমিও মাঝেমধ্যে প্রকাশ্যেই চাঁদাবাজি করতে দেখেছি। ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে কথা বলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে প্রক্টরকে নির্দেশ দিয়েছি।’

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বিষয়গুলো জানানো হয়েছে। ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ থেকে শুরু করে লালবাগ জোনের লোকেরা এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছে।

ফটকের সামনে বিশৃঙ্খল অবস্থা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মী সংকটে এরই মধ্যে তৃতীয় গেট বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। উপাচার্য ইমদাদুল হক বলেন, এই গেট একেবারেই বন্ধ করে দেয়া হবে। গেট যত কম থাকে ততই ভালো, এতে সবকিছু নিয়ন্ত্রণে থাকে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষীও কম।