ফের বিশ্ববিদ্যালয় মাইগ্রেশন চালু হওয়ায় খুশি শিক্ষার্থীরা

ইবি সংবাদদাতা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ

নানা নাটকীয়তা শেষে চালুই থাকছে গুচ্ছভূক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইগ্রেশন প্রক্রিয়া। বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা এই সভায় যুক্ত ছিলেন।

সভায় উপস্থিত একাধিক উপাচার্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। কমিটির এ সিদ্ধান্তে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ভর্তিচ্ছু ও অবিভাভকরা। একই সঙ্গে নতুন এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন তারা।

জানা গেছে, গুচ্ছভূক্ত ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ষষ্ঠ মেধাতালিকা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভাগ মাইগ্রেশন চালু ছিল। তবে সপ্তম মেধাতালিকা প্রকাশের বিভাগীয় মাইগ্রেশন চালু থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় মাইগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণরূপে বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আসন ফাঁকা থাকলেও শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারছেন না। এতে বিপাকে পড়েন মাইগ্রেশন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থীরা। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অভিভাবকরাও।

পরে গত সোমবার রুবেল মিয়া, সাকিব আহমেদ ও আলভী নামে তিন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় মাইগ্রেশন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। এতে শিক্ষা সচিব ও গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারদের বিবাদী করা হয়।

পরে শুনানি শেষে গত মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিতে মাইগ্রেশন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ নয়, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে সপ্তম মাইগ্রেশন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত স্থগিতাদেশ দেয় হাইকোর্টে। এছাড়া ১০ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়। পরে আদালতের ও শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনায় বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে গুচ্ছভুক্ত ভর্তি কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেন উপাচার্যরা। কমিটির এ সিদ্ধান্তে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ভর্তিচ্ছু ও অবিভাভকরা। একইসাথে নতুন এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন তারা।

গুচ্ছভূক্ত ভর্তি পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, আদালত ও শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবর্তনের সুযোগ আবারো চালু করা হয়েছে। যেহেতু খুব বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হতে বাকি নেই, সেই বিবেচনায় আমরা মাইগ্রেশনের সিদ্ধান্ত আবার চালু করেছি। কিন্তু এতে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করতে আরেকটু বেশি সময় লাগবে।

যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে সপ্তম ধাপের মাইগ্রেশনের সম্পন্ন তাদের বিষয়ে ড. ইমদাদ বলেন, যেহেতু সপ্তম মাইগ্রেশন লিস্ট প্রকাশ হয়ে গেছে, এটা বাতিল করা হবে না। তবে বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের বিষয়ে বিশেষ বিবেচনা করা হবে।

ইবির আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. আহসান-উল-আম্বিয়া বলেন, ভর্তি কমিটির সভায় উপাচার্যরা মাইগ্রেশন চালু রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনা অনুযায়ী, আমরা পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনা করবো।

এস আর

ফের বিশ্ববিদ্যালয় মাইগ্রেশন চালু হওয়ায় খুশি শিক্ষার্থীরা

ইবি সংবাদদাতা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ

নানা নাটকীয়তা শেষে চালুই থাকছে গুচ্ছভূক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইগ্রেশন প্রক্রিয়া। বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা এই সভায় যুক্ত ছিলেন।

সভায় উপস্থিত একাধিক উপাচার্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। কমিটির এ সিদ্ধান্তে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ভর্তিচ্ছু ও অবিভাভকরা। একই সঙ্গে নতুন এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন তারা।

জানা গেছে, গুচ্ছভূক্ত ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ষষ্ঠ মেধাতালিকা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভাগ মাইগ্রেশন চালু ছিল। তবে সপ্তম মেধাতালিকা প্রকাশের বিভাগীয় মাইগ্রেশন চালু থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় মাইগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণরূপে বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আসন ফাঁকা থাকলেও শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারছেন না। এতে বিপাকে পড়েন মাইগ্রেশন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থীরা। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অভিভাবকরাও।

পরে গত সোমবার রুবেল মিয়া, সাকিব আহমেদ ও আলভী নামে তিন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় মাইগ্রেশন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। এতে শিক্ষা সচিব ও গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারদের বিবাদী করা হয়।

পরে শুনানি শেষে গত মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিতে মাইগ্রেশন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ নয়, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে সপ্তম মাইগ্রেশন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত স্থগিতাদেশ দেয় হাইকোর্টে। এছাড়া ১০ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়। পরে আদালতের ও শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনায় বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে গুচ্ছভুক্ত ভর্তি কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেন উপাচার্যরা। কমিটির এ সিদ্ধান্তে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ভর্তিচ্ছু ও অবিভাভকরা। একইসাথে নতুন এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন তারা।

গুচ্ছভূক্ত ভর্তি পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, আদালত ও শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবর্তনের সুযোগ আবারো চালু করা হয়েছে। যেহেতু খুব বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হতে বাকি নেই, সেই বিবেচনায় আমরা মাইগ্রেশনের সিদ্ধান্ত আবার চালু করেছি। কিন্তু এতে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করতে আরেকটু বেশি সময় লাগবে।

যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে সপ্তম ধাপের মাইগ্রেশনের সম্পন্ন তাদের বিষয়ে ড. ইমদাদ বলেন, যেহেতু সপ্তম মাইগ্রেশন লিস্ট প্রকাশ হয়ে গেছে, এটা বাতিল করা হবে না। তবে বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের বিষয়ে বিশেষ বিবেচনা করা হবে।

ইবির আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. আহসান-উল-আম্বিয়া বলেন, ভর্তি কমিটির সভায় উপাচার্যরা মাইগ্রেশন চালু রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনা অনুযায়ী, আমরা পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনা করবো।

এস আর