বই প্রাপ্তি নিয়ে শঙ্কা: এনসিটিবির দায়িত্বশীল ভূমিকা কাম্য

নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হতে মাস দুয়েক বাকি থাকলেও এখন পর্যন্ত প্রাথমিক স্তরের বই মুদ্রণের কাজ শুরুই হয়নি। অন্যদিকে মাধ্যমিক স্তরের বই মুদ্রণের কাজটি চলমান থাকলেও এর অগ্রগতি আশাব্যঞ্জক নয়। এছাড়া এবার ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রমে বই দেওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত ওই দুই শ্রেণির বই প্রস্তুতই হয়নি। এ অবস্থায় নতুন বছরের প্রথম দিন শিশুদের হাতে পুরো সেট বই না পৌঁছানোর শঙ্কা প্রবল। জানা গেছে, এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার পেছনে রয়েছে-ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির নতুন শিক্ষাক্রমের বই চূড়ান্ত না হওয়া, করোনা পরিস্থিতি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দেশে কাগজ উৎপাদন কম হওয়া, ভার্জিন পাল্পের সংকট ও কাগজের আকাশছোঁয়া মূল্য, ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে ছাপাখানার কার্যক্রম ব্যাহত হওয়া, গত বছর পাঠ্যপুস্তকের কাজ করা মুদ্রাকরদের জামানতের (মোট কাজের ১০ শতাংশ) অর্থ আটকে থাকা এবং কাজ নেওয়ার পরও চুক্তি না করে কিছু প্রতিষ্ঠানের পিছুটান দেওয়া ইত্যাদি। তবে এ সবকিছু ছাপিয়ে প্রধান যে কারণটি চিহ্নিত করা হয়েছে, তা হলো এনসিটিবি কর্তৃক বিলম্বে মুদ্রণসংক্রান্ত কাজ শুরু করা।

বস্তুত নির্ধারিত সময়ে পাঠ্যবই প্রাপ্তি নিয়ে এবার যে শঙ্কা তৈরি হয়েছে, তার দায় জাতীয় পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এড়াতে পারে না। প্রায় প্রতিবছরই নতুন বই নিয়ে এক ধরনের জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। বিষয়টি অনভিপ্রেত। এ অনিশ্চয়তা ও জটিলতা থেকে উত্তরণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। দেশের শতভাগ জনগোষ্ঠীকে শিক্ষিত করার লক্ষ্যে সরকার বিনামূল্যে বই বিতরণ, শিক্ষা উপবৃত্তি, অবৈতনিক শিক্ষা ও খাদ্য ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তারপরও অস্বীকার করার উপায় নেই, দেশের শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিনিয়ত নানা সমস্যা ও প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে অনিয়ম ও দুর্নীতি অন্যতম, যা থেকে মুক্ত নয় এনসিটিবিও। এ পরিস্থিতির অবসান জরুরি।

শিক্ষার্থীদের মঙ্গলচিন্তার বিষয়টি এনসিটিবির ওপর ন্যস্ত, এতে দ্বিমত পোষণের অবকাশ নেই। কাজেই শিক্ষার্থীদের হাতে সময়মতো পাঠ্যপুস্তক তুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটিকে আরও সচেতন ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। সময়মতো বই না পেলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা সৃষ্টি হওয়াই স্বাভাবিক। তাছাড়া ইতঃপূর্বে দেখা গেছে, প্রকাশিত পাঠ্যপুস্তকগুলোর মধ্যে কোথাও একটি অধ্যায়ের অর্ধেক নেই, আবার কোথাও এক পৃষ্ঠার সঙ্গে অপর পৃষ্ঠার কোনো মিল নেই। ভুলে ভরা এমন পাঠ্যপুস্তক নিয়ে অতীতে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের বহুবার বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, সংশ্লিষ্টদের অবহেলা ও যথাযথ তদারকির অভাবে পাঠ্যপুস্তক থেকে ভুল ও অসংগতিগুলো দূর হচ্ছে না। এবার যাতে সেরকম কিছু না ঘটে, এ ব্যাপারে সতর্ক থাকা জরুরি। ভুলে গেলে চলবে না, শিক্ষার অপরিহার্য উপকরণ বই আর তা শিক্ষার্থীদের হাতে সময়মতো তুলে দেওয়ার দায়িত্ব যেহেতু এনসিটিবির হাতে ন্যস্ত, সেহেতু এক্ষেত্রে তাদের দায়িত্বশীল ভূমিকাই কাম্য।

বই প্রাপ্তি নিয়ে শঙ্কা: এনসিটিবির দায়িত্বশীল ভূমিকা কাম্য

নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হতে মাস দুয়েক বাকি থাকলেও এখন পর্যন্ত প্রাথমিক স্তরের বই মুদ্রণের কাজ শুরুই হয়নি। অন্যদিকে মাধ্যমিক স্তরের বই মুদ্রণের কাজটি চলমান থাকলেও এর অগ্রগতি আশাব্যঞ্জক নয়। এছাড়া এবার ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রমে বই দেওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত ওই দুই শ্রেণির বই প্রস্তুতই হয়নি। এ অবস্থায় নতুন বছরের প্রথম দিন শিশুদের হাতে পুরো সেট বই না পৌঁছানোর শঙ্কা প্রবল। জানা গেছে, এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার পেছনে রয়েছে-ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির নতুন শিক্ষাক্রমের বই চূড়ান্ত না হওয়া, করোনা পরিস্থিতি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দেশে কাগজ উৎপাদন কম হওয়া, ভার্জিন পাল্পের সংকট ও কাগজের আকাশছোঁয়া মূল্য, ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে ছাপাখানার কার্যক্রম ব্যাহত হওয়া, গত বছর পাঠ্যপুস্তকের কাজ করা মুদ্রাকরদের জামানতের (মোট কাজের ১০ শতাংশ) অর্থ আটকে থাকা এবং কাজ নেওয়ার পরও চুক্তি না করে কিছু প্রতিষ্ঠানের পিছুটান দেওয়া ইত্যাদি। তবে এ সবকিছু ছাপিয়ে প্রধান যে কারণটি চিহ্নিত করা হয়েছে, তা হলো এনসিটিবি কর্তৃক বিলম্বে মুদ্রণসংক্রান্ত কাজ শুরু করা।

বস্তুত নির্ধারিত সময়ে পাঠ্যবই প্রাপ্তি নিয়ে এবার যে শঙ্কা তৈরি হয়েছে, তার দায় জাতীয় পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এড়াতে পারে না। প্রায় প্রতিবছরই নতুন বই নিয়ে এক ধরনের জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। বিষয়টি অনভিপ্রেত। এ অনিশ্চয়তা ও জটিলতা থেকে উত্তরণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। দেশের শতভাগ জনগোষ্ঠীকে শিক্ষিত করার লক্ষ্যে সরকার বিনামূল্যে বই বিতরণ, শিক্ষা উপবৃত্তি, অবৈতনিক শিক্ষা ও খাদ্য ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তারপরও অস্বীকার করার উপায় নেই, দেশের শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিনিয়ত নানা সমস্যা ও প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে অনিয়ম ও দুর্নীতি অন্যতম, যা থেকে মুক্ত নয় এনসিটিবিও। এ পরিস্থিতির অবসান জরুরি।

শিক্ষার্থীদের মঙ্গলচিন্তার বিষয়টি এনসিটিবির ওপর ন্যস্ত, এতে দ্বিমত পোষণের অবকাশ নেই। কাজেই শিক্ষার্থীদের হাতে সময়মতো পাঠ্যপুস্তক তুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটিকে আরও সচেতন ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। সময়মতো বই না পেলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা সৃষ্টি হওয়াই স্বাভাবিক। তাছাড়া ইতঃপূর্বে দেখা গেছে, প্রকাশিত পাঠ্যপুস্তকগুলোর মধ্যে কোথাও একটি অধ্যায়ের অর্ধেক নেই, আবার কোথাও এক পৃষ্ঠার সঙ্গে অপর পৃষ্ঠার কোনো মিল নেই। ভুলে ভরা এমন পাঠ্যপুস্তক নিয়ে অতীতে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের বহুবার বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, সংশ্লিষ্টদের অবহেলা ও যথাযথ তদারকির অভাবে পাঠ্যপুস্তক থেকে ভুল ও অসংগতিগুলো দূর হচ্ছে না। এবার যাতে সেরকম কিছু না ঘটে, এ ব্যাপারে সতর্ক থাকা জরুরি। ভুলে গেলে চলবে না, শিক্ষার অপরিহার্য উপকরণ বই আর তা শিক্ষার্থীদের হাতে সময়মতো তুলে দেওয়ার দায়িত্ব যেহেতু এনসিটিবির হাতে ন্যস্ত, সেহেতু এক্ষেত্রে তাদের দায়িত্বশীল ভূমিকাই কাম্য।