বর্ণাঢ্য আয়োজনে ইবির বাংলা বিভাগে প্রথম পুনর্মিলনী

ফরহাদ খাদেম

আনন্দ শোভাযাত্রা।

‘যুক্ত হই মুক্ত আনন্দে’ স্লোগানকে সামনে রেখে বর্ণাঢ্য আয়োজনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বাংলা বিভাগের প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে বিভাগের ৩৩টি ব্যাচের সাবেক-বর্তমান মিলে প্রায় ৭০০ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। এ উপলক্ষে শনিবার (১১ মার্চ) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের করেন বিভাগের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা।

শোভাযাত্রাটি রবীন্দ্র নজরুল কলা ভবন থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। সভায় বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. গাজী মাহবুব মুর্শিদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভুঁইয়া ও কলা অনুষদের ডিন ও সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশীদ আসকারী।

আনন্দ শোভাযাত্রা।

এ সময় প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার ও শাপলা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমানসহ বিভাগের অন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ’র সঞ্চালনা স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বিভাগের সর্বজ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ড.সরোয়ার মুর্শিদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, আমি আপনাদেরকে প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী বলতে চাই না। এ বিভাগের যারা দেশে বিদেশে বিভিন্ন জায়গায় কর্মরত আছেন। তারা আজ একটি উৎসবকে কেন্দ্র করে একে অপরের সাথে দেখা-সাক্ষাৎ করতে তাদের ফ্যামিলির কাছে এসেছেন। বর্তমানে শুধু বাংলাদেশই নয় বহির্বিশ্বের অ্যালামনাইরা উচ্চশিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। তারা তাদের প্রতিষ্ঠান বা বিভাগকে আর্থিক ও বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছেন।

অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীসহ অতিথিবৃন্দ।

তিনি আরও বলেন, একটি ভাষা একটি সমাজকে বিনির্মাণ করতে পারে। একটি কবিতা সামাজের বিশৃঙ্খলাগুলো নিঃশেষ করতে পারে। একটি অস্ত্র দিয়ে আপনি যেটা করতে পারবেন না। একটি কথা অথবা একটি ভাষা দিয়ে দেশে একটি চমৎকার পরিবেশ তৈরি করতে পারবেন।

আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে বেলা ১২ টার দিকে বিভাগটির অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের কমিটি গঠন করা হয়। পরে বিকাল ৩টা থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টা থেকে র্যাফেল ড্র ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

গতকাল পুনর্মিলনী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের আমবাগান সংলগ্ন বাংলা মঞ্চে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

এমবিএইচ/এসএস

বর্ণাঢ্য আয়োজনে ইবির বাংলা বিভাগে প্রথম পুনর্মিলনী

ফরহাদ খাদেম

আনন্দ শোভাযাত্রা।

‘যুক্ত হই মুক্ত আনন্দে’ স্লোগানকে সামনে রেখে বর্ণাঢ্য আয়োজনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বাংলা বিভাগের প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে বিভাগের ৩৩টি ব্যাচের সাবেক-বর্তমান মিলে প্রায় ৭০০ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। এ উপলক্ষে শনিবার (১১ মার্চ) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের করেন বিভাগের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা।

শোভাযাত্রাটি রবীন্দ্র নজরুল কলা ভবন থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। সভায় বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. গাজী মাহবুব মুর্শিদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভুঁইয়া ও কলা অনুষদের ডিন ও সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশীদ আসকারী।

আনন্দ শোভাযাত্রা।

এ সময় প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার ও শাপলা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমানসহ বিভাগের অন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ’র সঞ্চালনা স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বিভাগের সর্বজ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ড.সরোয়ার মুর্শিদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, আমি আপনাদেরকে প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী বলতে চাই না। এ বিভাগের যারা দেশে বিদেশে বিভিন্ন জায়গায় কর্মরত আছেন। তারা আজ একটি উৎসবকে কেন্দ্র করে একে অপরের সাথে দেখা-সাক্ষাৎ করতে তাদের ফ্যামিলির কাছে এসেছেন। বর্তমানে শুধু বাংলাদেশই নয় বহির্বিশ্বের অ্যালামনাইরা উচ্চশিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। তারা তাদের প্রতিষ্ঠান বা বিভাগকে আর্থিক ও বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছেন।

অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীসহ অতিথিবৃন্দ।

তিনি আরও বলেন, একটি ভাষা একটি সমাজকে বিনির্মাণ করতে পারে। একটি কবিতা সামাজের বিশৃঙ্খলাগুলো নিঃশেষ করতে পারে। একটি অস্ত্র দিয়ে আপনি যেটা করতে পারবেন না। একটি কথা অথবা একটি ভাষা দিয়ে দেশে একটি চমৎকার পরিবেশ তৈরি করতে পারবেন।

আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে বেলা ১২ টার দিকে বিভাগটির অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের কমিটি গঠন করা হয়। পরে বিকাল ৩টা থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টা থেকে র্যাফেল ড্র ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

গতকাল পুনর্মিলনী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের আমবাগান সংলগ্ন বাংলা মঞ্চে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

এমবিএইচ/এসএস