বর্ণিল আয়োজনে ইবি বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন

জ্ঞান অর্জন গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু মানবতার প্রতি দায়িত্ব পালন, মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ হওয়াটা তার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ: ইবি উপাচার্য
বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা। 

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন ডেস্ক

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক  ড. শেখ আবদুস সালাম বলেছেন, জ্ঞান অর্জন গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু মানবতার প্রতি দায়িত্বপালন, মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ হওয়াটা তার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, শুধু সাার্টিফিকেট বিতরণ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ না। বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়কে যদি দেখি, তাদের মূল লক্ষ্য আলোকিত জ্ঞানী মানুষ তৈরি করা, জ্ঞানের সংঘর্ষে নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করা। শুধু নিয়মিত ক্লাস এবং সেমিস্টার যথাসময়ে সম্পন্ন করাই আসল উদ্দেশ্য নয়। তিনিই শ্রেষ্ঠ শিক্ষক যিনি তাঁর শিক্ষার্থীকে প্রশ্ন করতে শেখাতে পারেন।

৪৪তম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা মঞ্চে র‌্যালি পরবর্তী আলোচনাসভা, কেক কাটা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, সমৃদ্ধ জাতি গঠনের জন্য মননের, চিন্তার পরিবর্তন দরকার। সব ক্ষেত্রে অর্জনে আমরা সমৃদ্ধ হব। তবে সবসময় চ্যাম্পিয়ন বা প্রথম হতে হবে এটি আমি মনে করি না। তিনি বলেন, আমাদের সন্তানকে যেন আমরা সৎভাবে অর্জিত অর্থে বড় করতে পারি। আমরা সততা ও সুনামের সাথে আন্তরিকভাবে যেন দায়িত্ব পালন করি। আসুন, সবাই মিলে পরিচ্ছন্ন বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলি। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে গত দুই বছরে একটিও অডিট আপত্তি আসেনি। আমরা এভাবে পরিচ্ছন্নভাবে এগিয়ে যেতে চাই, এই হোক আজকের দিনে আমাদের অঙ্গীকার।

বক্তব্য দিচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক  ড. মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, কাঙ্ক্ষিত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্নকে বাস্তবায়নের জন্য আসুন, আমরা নিজ নিজ দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হই। তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের প্লাটফরম তৈরি হয়েছে। তার সাথে সঙ্গতি রেখে ডিজিটাল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার লক্ষ্যে ডিজিটাল আইডি চালু এবং অফিস অটোমেশনের জন্য কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শীঘ্রই স্বয়ংক্রিয়ভাবে উপস্থিতির হিসাব নেওয়া সম্ভব হবে। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর দর্শন নিয়ে আমরা যেন ভাবি। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে যদি এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি তবে কিছুটা হলেও তাঁর আদর্শ পালিত হবে।

অপর বিশেষ অতিথি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক  ড. মো. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শিক্ষা ও গবষণায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপক অবদান রয়েছে। ২০২১ সালে আন্তর্জাতিক খ্যাতনামা সংস্থা এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্সে বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭ জন শিক্ষক স্থান পেয়েছেন। তিনি জানান, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু আন্তবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বাস্কেটবল ও হ্যান্ডবলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। একটি আদর্শ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে গড়ে তোলার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান। সভাপতিত্ব করেন ৪৪তম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন কমিটির আহবায়ক পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক  ড. মো. আনোয়ার হোসেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনবৃন্দ, সভাপতিবৃন্দ, অফিস প্রধানবৃন্দসহ বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সঞ্চালনায় ছিলেন সহকারী অধ্যাপক শিরিনা খাতুন বীথি।

৪৪তম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে প্রশাসন ভবন চত্বরে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম এবং বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলন করেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান। এ সময় কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক  ড. মো. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া এবং রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান উপস্থিত ছিলেন। একই সময়ে প্রভোস্টগণ  নিজ নিজ হলে জাতীয় পতাকা ও হল পতাকা উত্তোলন করেন।

বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, পতাকা উত্তোলন শেষে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন । এরপর তিনি মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরাল চত্বরে শান্তির প্রতীক পায়রা ও আনন্দের প্রতীক বেলুন উড়িয়ে ৪৪তম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কর্মসূচি উদ্বোধন করেন। উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত)সহ সকল পর্যায়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

কর্মসূচি উদ্বোধন শেষে মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরাল চত্বর থেকে উপাচার্যের নেতৃত্বে উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ ও রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত)সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল পর্যায়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীবৃন্দের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য আনন্দ র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি ক্যাম্পাসের প্রধান-প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বাংলা মঞ্চে শেষ হয়।

দিবসটি উপলক্ষে বাদ যোহর কেন্দ্রীয় মসজিদ, আবাসিক এলাকার মসজিদ ও সকল হল মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক, প্রশাসন ভবন, ভিসি বাংলো, মুক্তবাংলা ও পানির ফোয়ারা চত্বর আলোক সজ্জিত করা হয়েছে ।

এমবিএইচ/এসএস

বর্ণিল আয়োজনে ইবি বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন

জ্ঞান অর্জন গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু মানবতার প্রতি দায়িত্ব পালন, মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ হওয়াটা তার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ: ইবি উপাচার্য
বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা। 

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন ডেস্ক

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক  ড. শেখ আবদুস সালাম বলেছেন, জ্ঞান অর্জন গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু মানবতার প্রতি দায়িত্বপালন, মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ হওয়াটা তার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, শুধু সাার্টিফিকেট বিতরণ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ না। বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়কে যদি দেখি, তাদের মূল লক্ষ্য আলোকিত জ্ঞানী মানুষ তৈরি করা, জ্ঞানের সংঘর্ষে নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করা। শুধু নিয়মিত ক্লাস এবং সেমিস্টার যথাসময়ে সম্পন্ন করাই আসল উদ্দেশ্য নয়। তিনিই শ্রেষ্ঠ শিক্ষক যিনি তাঁর শিক্ষার্থীকে প্রশ্ন করতে শেখাতে পারেন।

৪৪তম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা মঞ্চে র‌্যালি পরবর্তী আলোচনাসভা, কেক কাটা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, সমৃদ্ধ জাতি গঠনের জন্য মননের, চিন্তার পরিবর্তন দরকার। সব ক্ষেত্রে অর্জনে আমরা সমৃদ্ধ হব। তবে সবসময় চ্যাম্পিয়ন বা প্রথম হতে হবে এটি আমি মনে করি না। তিনি বলেন, আমাদের সন্তানকে যেন আমরা সৎভাবে অর্জিত অর্থে বড় করতে পারি। আমরা সততা ও সুনামের সাথে আন্তরিকভাবে যেন দায়িত্ব পালন করি। আসুন, সবাই মিলে পরিচ্ছন্ন বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলি। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে গত দুই বছরে একটিও অডিট আপত্তি আসেনি। আমরা এভাবে পরিচ্ছন্নভাবে এগিয়ে যেতে চাই, এই হোক আজকের দিনে আমাদের অঙ্গীকার।

বক্তব্য দিচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক  ড. মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, কাঙ্ক্ষিত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্নকে বাস্তবায়নের জন্য আসুন, আমরা নিজ নিজ দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হই। তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের প্লাটফরম তৈরি হয়েছে। তার সাথে সঙ্গতি রেখে ডিজিটাল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার লক্ষ্যে ডিজিটাল আইডি চালু এবং অফিস অটোমেশনের জন্য কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শীঘ্রই স্বয়ংক্রিয়ভাবে উপস্থিতির হিসাব নেওয়া সম্ভব হবে। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর দর্শন নিয়ে আমরা যেন ভাবি। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে যদি এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি তবে কিছুটা হলেও তাঁর আদর্শ পালিত হবে।

অপর বিশেষ অতিথি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক  ড. মো. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শিক্ষা ও গবষণায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপক অবদান রয়েছে। ২০২১ সালে আন্তর্জাতিক খ্যাতনামা সংস্থা এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্সে বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭ জন শিক্ষক স্থান পেয়েছেন। তিনি জানান, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু আন্তবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বাস্কেটবল ও হ্যান্ডবলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। একটি আদর্শ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে গড়ে তোলার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান। সভাপতিত্ব করেন ৪৪তম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন কমিটির আহবায়ক পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক  ড. মো. আনোয়ার হোসেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনবৃন্দ, সভাপতিবৃন্দ, অফিস প্রধানবৃন্দসহ বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সঞ্চালনায় ছিলেন সহকারী অধ্যাপক শিরিনা খাতুন বীথি।

৪৪তম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে প্রশাসন ভবন চত্বরে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম এবং বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলন করেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান। এ সময় কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক  ড. মো. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া এবং রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান উপস্থিত ছিলেন। একই সময়ে প্রভোস্টগণ  নিজ নিজ হলে জাতীয় পতাকা ও হল পতাকা উত্তোলন করেন।

বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, পতাকা উত্তোলন শেষে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন । এরপর তিনি মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরাল চত্বরে শান্তির প্রতীক পায়রা ও আনন্দের প্রতীক বেলুন উড়িয়ে ৪৪তম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কর্মসূচি উদ্বোধন করেন। উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত)সহ সকল পর্যায়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

কর্মসূচি উদ্বোধন শেষে মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরাল চত্বর থেকে উপাচার্যের নেতৃত্বে উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ ও রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত)সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল পর্যায়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীবৃন্দের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য আনন্দ র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি ক্যাম্পাসের প্রধান-প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বাংলা মঞ্চে শেষ হয়।

দিবসটি উপলক্ষে বাদ যোহর কেন্দ্রীয় মসজিদ, আবাসিক এলাকার মসজিদ ও সকল হল মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক, প্রশাসন ভবন, ভিসি বাংলো, মুক্তবাংলা ও পানির ফোয়ারা চত্বর আলোক সজ্জিত করা হয়েছে ।

এমবিএইচ/এসএস