বশেফমুবিপ্রবির উপাচার্য হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে

মো. আল-ফাহাদ
২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ । গত ১৮ নভেম্বর উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হয়েছে।
এর আগে ২০১৮ সালের ২১ জুন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও আণবিকবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. নিরঞ্জন কুমার সানাকে উপাচার্য নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করলেও ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি যোগদান করেননি। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন -২০১৭ এর ১০ (১) উপধারা অনুযায়ী মহামান্য আচার্য কর্তৃক নির্ধারিত শর্তে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে স্বনামধন্য একজন শিক্ষাবিদকে চার বছর মেয়াদের জন্য উপাচার্য পদে নিয়োগ করবেন। তবে কোনো ব্যক্তি ২ (দুই) মেয়াদের বেশি সময় কালের জন্য উপাচার্য পদে নিয়োগ লাভের যোগ্য হবেন না।
উপধারা (৩) এ বলা আছে যে মেয়াদ শেষ হবার কারণে শূন্য পদে নবনিযুক্ত উপাচার্য কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে উপ-উপাচার্য অথবা ডিন দায়িত্ব পালন করবেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়টিতে দুটি উপ-উপাচার্য এবং ডিন পদটি শূন্য রয়েছে। প্রথম উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ নানা ঘটনায় আলোচিত-সমালোচিত হলেও দ্বিতীয়বার উপাচার্য হবার দৌঁড়ে তিনি এগিয়ে আছেন। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে এবার নতুন উপাচার্য আসার সম্ভাবনাও রয়েছে। এরই মধ্যে উপাচার্য হতে বেশ কয়েকজন শিক্ষকের দৌঁড়ঝাঁপের তথ্যও মিলেছে। আগামী মেয়াদে কে ধরছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের হাল, তা নিয়েও আলোচনা চলছে ক্যাম্পাসজুড়ে।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সেই আলোচনায় উঠে আসছে উপাচার্য হিসেবে যোগ্যতার নানা দিকও। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ এ পদটিতে শিক্ষার্থীবান্ধব সৎ, যোগ্য ও দক্ষ প্রশাসক চান শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তবে সবকিছু ছাপিয়ে কে হতে যাচ্ছেন বশেফমুবিপ্রবির দ্বিতীয় উপাচার্য সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। উপাচার্য হওয়ার দৌঁড়ে নাম এসেছে বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী অধ্যাপকের।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, উপাচার্য হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. কামরুল আলম খান। তিনি এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্সের প্রকাশিত র‌্যাংকিংয়ে তালিকায় জবি গবেষকদের মধ্যে প্রথম ও দেশের মধ্যে নবম স্থানে রয়েছেন। তিনি পাথরকুচি পাতা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছিলেন। উপাচার্য হতে চেষ্টা চালাচ্ছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ ইনফরমেশন এন্ড টেকনোলজির অধ্যাপক, কলামিস্ট, তথ্যপ্রযুক্তিবিদ ড. এম মেসবাহউদ্দীন সরকার ।
এছাড়াও উপাচার্য হিসেবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক ডিন ও চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আনিসুর রহমান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন,বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এনিমেল হাজব্রেন্ডি অনুষদের ডেইরি সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ, একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ড. সিদ্দিকুর রহমান, জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমানের নামও শোনা যাচ্ছে।

বশেফমুবিপ্রবির উপাচার্য হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে

মো. আল-ফাহাদ
২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ । গত ১৮ নভেম্বর উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হয়েছে।
এর আগে ২০১৮ সালের ২১ জুন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও আণবিকবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. নিরঞ্জন কুমার সানাকে উপাচার্য নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করলেও ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি যোগদান করেননি। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন -২০১৭ এর ১০ (১) উপধারা অনুযায়ী মহামান্য আচার্য কর্তৃক নির্ধারিত শর্তে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে স্বনামধন্য একজন শিক্ষাবিদকে চার বছর মেয়াদের জন্য উপাচার্য পদে নিয়োগ করবেন। তবে কোনো ব্যক্তি ২ (দুই) মেয়াদের বেশি সময় কালের জন্য উপাচার্য পদে নিয়োগ লাভের যোগ্য হবেন না।
উপধারা (৩) এ বলা আছে যে মেয়াদ শেষ হবার কারণে শূন্য পদে নবনিযুক্ত উপাচার্য কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে উপ-উপাচার্য অথবা ডিন দায়িত্ব পালন করবেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়টিতে দুটি উপ-উপাচার্য এবং ডিন পদটি শূন্য রয়েছে। প্রথম উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ নানা ঘটনায় আলোচিত-সমালোচিত হলেও দ্বিতীয়বার উপাচার্য হবার দৌঁড়ে তিনি এগিয়ে আছেন। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে এবার নতুন উপাচার্য আসার সম্ভাবনাও রয়েছে। এরই মধ্যে উপাচার্য হতে বেশ কয়েকজন শিক্ষকের দৌঁড়ঝাঁপের তথ্যও মিলেছে। আগামী মেয়াদে কে ধরছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের হাল, তা নিয়েও আলোচনা চলছে ক্যাম্পাসজুড়ে।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সেই আলোচনায় উঠে আসছে উপাচার্য হিসেবে যোগ্যতার নানা দিকও। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ এ পদটিতে শিক্ষার্থীবান্ধব সৎ, যোগ্য ও দক্ষ প্রশাসক চান শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তবে সবকিছু ছাপিয়ে কে হতে যাচ্ছেন বশেফমুবিপ্রবির দ্বিতীয় উপাচার্য সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। উপাচার্য হওয়ার দৌঁড়ে নাম এসেছে বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী অধ্যাপকের।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, উপাচার্য হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. কামরুল আলম খান। তিনি এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্সের প্রকাশিত র‌্যাংকিংয়ে তালিকায় জবি গবেষকদের মধ্যে প্রথম ও দেশের মধ্যে নবম স্থানে রয়েছেন। তিনি পাথরকুচি পাতা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছিলেন। উপাচার্য হতে চেষ্টা চালাচ্ছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ ইনফরমেশন এন্ড টেকনোলজির অধ্যাপক, কলামিস্ট, তথ্যপ্রযুক্তিবিদ ড. এম মেসবাহউদ্দীন সরকার ।
এছাড়াও উপাচার্য হিসেবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক ডিন ও চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আনিসুর রহমান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন,বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এনিমেল হাজব্রেন্ডি অনুষদের ডেইরি সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ, একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ড. সিদ্দিকুর রহমান, জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমানের নামও শোনা যাচ্ছে।