বাস দুর্ঘটনায় সহপাঠী নিহত, ববি’র শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

বরিশাল অফিস

সড়ক দুর্ঘটনায় আহত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের মৃত্যুতে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। সহপাঠীর মৃত্যুতে শিক্ষার্থীরা মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ৫টি দাবি নিয়ে এ কর্মসূচি পালন করেন। এতে রাস্তায় আটকা পড়ে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় সাধারণ মানুষের।

দাবি ৫টি হলো- দুর্ঘটনাকবলিত সাকুরা বাস কর্তৃপক্ষকে নিহতের পরিবারকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদান, চিকিৎসার গাফিলতির কারণ তদন্ত করে অভিযুক্তদের আইনের আয়তায় আনা, সাকুরা বাসের রুট পারমিট সাময়িকভাবে বাতিল করা, প্রত্যেক বাসকে জিপিএস ট্র্যাকিংয়ের আওতায় এনে অতিরিক্ত গতির জন্য স্বয়ংক্রিয় জরিমানার ব্যবস্থা করা এবং ‘স্পিড লক’ ব্যবস্থা কার্যকর করা।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ প্রশাসনের আশ্বাস ও অনুরোধে রাত ১১টায় সড়ক অবরোধ তুলে নেন। দাবি পূরণের দৃশ্যমান অগ্রতি না হলে আজ বুধবার বেলা ১১টা থেকে পুনরায় সড়ক অবরোধের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনরতরা জানান, আজ সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে সড়কে গায়েবি জানাজা ও মানববন্ধন করবেন তারা। এর মধ্যে সাকুরা পরিবহন দাবি পূরণ না করলে পুনরায় সড়ক অবরোধ করা হবে। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে জানান শিক্ষার্থীরা।

দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টা অবরোধের কারণে মহাসড়কের দুই প্রান্তে কমপক্ষে ৩০ কিলোমিটারজুড়ে বিভিন্ন যানবাহন আটকা পড়ে। এতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

রবিবার (৬ নভেম্বর) ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সাকুরা পরিবহনের বেপরোয়া গতির একটি বাস গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে ওই বাসের যাত্রী বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ৫ম ব্যাচের শিক্ষার্থী ইসমাইল ইমন গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পরে ফরিদপুর শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে মঙ্গলবার দুপুরে তিনি মারা যান।

বাস দুর্ঘটনায় সহপাঠী নিহত, ববি’র শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

বরিশাল অফিস

সড়ক দুর্ঘটনায় আহত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের মৃত্যুতে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। সহপাঠীর মৃত্যুতে শিক্ষার্থীরা মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ৫টি দাবি নিয়ে এ কর্মসূচি পালন করেন। এতে রাস্তায় আটকা পড়ে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় সাধারণ মানুষের।

দাবি ৫টি হলো- দুর্ঘটনাকবলিত সাকুরা বাস কর্তৃপক্ষকে নিহতের পরিবারকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদান, চিকিৎসার গাফিলতির কারণ তদন্ত করে অভিযুক্তদের আইনের আয়তায় আনা, সাকুরা বাসের রুট পারমিট সাময়িকভাবে বাতিল করা, প্রত্যেক বাসকে জিপিএস ট্র্যাকিংয়ের আওতায় এনে অতিরিক্ত গতির জন্য স্বয়ংক্রিয় জরিমানার ব্যবস্থা করা এবং ‘স্পিড লক’ ব্যবস্থা কার্যকর করা।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ প্রশাসনের আশ্বাস ও অনুরোধে রাত ১১টায় সড়ক অবরোধ তুলে নেন। দাবি পূরণের দৃশ্যমান অগ্রতি না হলে আজ বুধবার বেলা ১১টা থেকে পুনরায় সড়ক অবরোধের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনরতরা জানান, আজ সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে সড়কে গায়েবি জানাজা ও মানববন্ধন করবেন তারা। এর মধ্যে সাকুরা পরিবহন দাবি পূরণ না করলে পুনরায় সড়ক অবরোধ করা হবে। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে জানান শিক্ষার্থীরা।

দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টা অবরোধের কারণে মহাসড়কের দুই প্রান্তে কমপক্ষে ৩০ কিলোমিটারজুড়ে বিভিন্ন যানবাহন আটকা পড়ে। এতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

রবিবার (৬ নভেম্বর) ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সাকুরা পরিবহনের বেপরোয়া গতির একটি বাস গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে ওই বাসের যাত্রী বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ৫ম ব্যাচের শিক্ষার্থী ইসমাইল ইমন গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পরে ফরিদপুর শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে মঙ্গলবার দুপুরে তিনি মারা যান।