বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ কাজী আজহার আলীর ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

প্রয়াত সমাজসেবক কাজী আজহার আলী।

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন ডেস্ক 

বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সাবেক সচিব, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও অবৈতনিক উপাচার্য, মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরী স্কুল ও কলেজের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা, সমাজসেবক কাজী আজহার আলীর ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।

২০০৯ সালের এই দিনে তিনি বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন।

মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার সকাল দশটায় বনানী কবরস্থানে মরহুমের কবর জিয়ারত, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণ কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়েছে।

এছাড়া মরহুমের গ্রামের বাড়ী বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার সৈয়দ মহল্লা গ্রামে ড. সাকিনা আজহার টেকনিক্যাল কলেজের উদ্যোগে কোরআনখানি ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

কাজী আজহার আলী ১৯৫৯ সালে পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে (সিএসপি) যোগদান করে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জনের পর পূর্ব পাকিস্তানে মহকুমা প্রশাসক (এসডিও), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও জেলা প্রশাসক পদে চাকরিকালে শোষিত ও অবহেলিত বাঙালি জাতির ন্যায্য দাবি ও অধিকার প্রদানে পাকিস্তান সরকারকে বিভিন্নভাবে বাধ্য করেছিলেন।

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি। 

১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হলে তাঁর মানবতাবাদী কার্যক্রম বহুগুণে বিস্তৃত হয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানের শাসনামলে ছয়টি মন্ত্রণালয়ের সচিব পদে চাকরিকালে দেশে ও বিদেশে সরকারের নীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়নে প্রত্যক্ষ ইতিবাচক ভূমিকা তিনি পালন করেন। একাধিক সামরিক শাসনামলেও জনগণের ওপর উগ্র শাসনতান্ত্রিক ক্ষমতায়ন তিনি তাঁর মেধা, মনন ও বুদ্ধিমত্তায় মোকাবিলা করে বড় ধরনের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা থেকে বারবার এ দেশকে রক্ষা করেছেন। বিদ্যুৎ বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে চাকরিকালে বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ নির্মাণে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার সোহেল আহসান নিপু-এর পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, সমাজসেবার পাশাপাশি লেখালেখিও করতেন তিনি।

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি। 

তাঁর আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ “তিনকাল” সহ উল্লেখযোগ্য বইয়ের মধ্যে রুরাল ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ, ডিস্ট্রিক্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ইন বাংলাদেশ, ডিসেন্ট্রালাইজড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ইন বাংলাদেশ, স্টেট ট্রেডিং অ্যান্ড ইটস ইমপ্যাক্ট অন ইকোনমি, স্মৃতির পাতা থেকে, ইতিহাসের অলিগলি, আমার দেখা একুশে, বাংলাদেশে জেলা প্রশাসন, কাজের ফাঁকে ফাঁকে, সেই সব দিনগুলি, ঝড়ো হাওয়ার মাঝে উল্লেখযোগ্য।

এমবিএইচ/এসএস

 

বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ কাজী আজহার আলীর ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

প্রয়াত সমাজসেবক কাজী আজহার আলী।

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন ডেস্ক 

বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সাবেক সচিব, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও অবৈতনিক উপাচার্য, মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরী স্কুল ও কলেজের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা, সমাজসেবক কাজী আজহার আলীর ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।

২০০৯ সালের এই দিনে তিনি বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন।

মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার সকাল দশটায় বনানী কবরস্থানে মরহুমের কবর জিয়ারত, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণ কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়েছে।

এছাড়া মরহুমের গ্রামের বাড়ী বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার সৈয়দ মহল্লা গ্রামে ড. সাকিনা আজহার টেকনিক্যাল কলেজের উদ্যোগে কোরআনখানি ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

কাজী আজহার আলী ১৯৫৯ সালে পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে (সিএসপি) যোগদান করে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জনের পর পূর্ব পাকিস্তানে মহকুমা প্রশাসক (এসডিও), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও জেলা প্রশাসক পদে চাকরিকালে শোষিত ও অবহেলিত বাঙালি জাতির ন্যায্য দাবি ও অধিকার প্রদানে পাকিস্তান সরকারকে বিভিন্নভাবে বাধ্য করেছিলেন।

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি। 

১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হলে তাঁর মানবতাবাদী কার্যক্রম বহুগুণে বিস্তৃত হয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানের শাসনামলে ছয়টি মন্ত্রণালয়ের সচিব পদে চাকরিকালে দেশে ও বিদেশে সরকারের নীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়নে প্রত্যক্ষ ইতিবাচক ভূমিকা তিনি পালন করেন। একাধিক সামরিক শাসনামলেও জনগণের ওপর উগ্র শাসনতান্ত্রিক ক্ষমতায়ন তিনি তাঁর মেধা, মনন ও বুদ্ধিমত্তায় মোকাবিলা করে বড় ধরনের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা থেকে বারবার এ দেশকে রক্ষা করেছেন। বিদ্যুৎ বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে চাকরিকালে বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ নির্মাণে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার সোহেল আহসান নিপু-এর পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, সমাজসেবার পাশাপাশি লেখালেখিও করতেন তিনি।

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি। 

তাঁর আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ “তিনকাল” সহ উল্লেখযোগ্য বইয়ের মধ্যে রুরাল ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ, ডিস্ট্রিক্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ইন বাংলাদেশ, ডিসেন্ট্রালাইজড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ইন বাংলাদেশ, স্টেট ট্রেডিং অ্যান্ড ইটস ইমপ্যাক্ট অন ইকোনমি, স্মৃতির পাতা থেকে, ইতিহাসের অলিগলি, আমার দেখা একুশে, বাংলাদেশে জেলা প্রশাসন, কাজের ফাঁকে ফাঁকে, সেই সব দিনগুলি, ঝড়ো হাওয়ার মাঝে উল্লেখযোগ্য।

এমবিএইচ/এসএস