বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে বাধার দেয়াল সব তুলে দিতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী

জাবি প্রতিনিধি

বক্তব্য রাখছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ছবি: দৈনিক বাংলা

উচ্চশিক্ষায় ভর্তির ক্ষেত্রে নানা শর্ত-প্রতিবন্ধকতাকে ‘বাধার দেয়াল’ আখ্যা দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সব বাধার দেয়াল তুলে দিতে হবে।

আজ শুক্রবার দুপুরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) জহির রায়হান মিলনায়তনে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তবুদ্ধি চর্চার কেন্দ্র। আমাদের এত প্রতিবন্ধকতা কেন? একবারের বেশি ভর্তি পরীক্ষা দেয়া যাবে না, দুইবারের বেশি দেয়া যাবে না, নির্দিষ্ট বয়সের পরে আসা যাবে না, পড়াশোনার মধ্যে গ্যাপ থাকলে ভর্তি হওয়া যাবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে দেয়ালগুলো সব তুলে দিতে হবে।’

ডা. দীপু মনি বলেন, ‘শিক্ষা হবে জীবনব্যাপী। তাই যদি হয়, তাহলে শিক্ষার মধ্যে দেয়াল তোলা হচ্ছে কেন?’

তিনি বলেন, ‘যে কোনো সময় যে কোনো মানুষ জ্ঞান অর্জনের জন্য ভর্তি হতে পারে। যে কোনো সময় যে কোনো মানুষের শিক্ষার অধিকার আছে। তার বয়স বিবেচনা না করে পরীক্ষার মাধ্যমে তাকে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ দিতে হবে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে কৃপণতা থেকে সরে আসতে হবে।’

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সম্পর্কে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘পাচঁ-ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া আমাদের দেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির ক্ষেত্রে গুচ্ছ পদ্ধতিতে এসেছে। শিক্ষার্থী-অবিভাবকদের অর্থ সাশ্রয় ও হয়রানি কমানোর জন্য এটি প্রয়োজন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরাই তো সারাক্ষণ পাশ্চাত্যের বিভিন্ন দেশের দিকে তাকিয়ে থাকি। তারা যদি একটা পরীক্ষা দিয়ে হাভার্ডে, এমআইটিতে বা কমিউনিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারে, তাহলে আমাদের গুচ্ছ পরীক্ষার মান নিয়ে এত প্রশ্ন কেন?’

বিশ্ববিদ্যালয়ে গণরুম বন্ধ হবে
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাবি উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক নুরুল আলম বলেন, ‘আমরা সিন্ডিকেটে সিদ্ধান্ত নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি দিয়েছি, যেন ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে সমাবর্তন দিতে পারি। আমরা করোনার সময় অন্তর্বর্তীকালীন অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে ক্লাস পরীক্ষা নিয়ে কিছুটা হলেও সেশনজট কমিয়ে এনেছি।’

উপাচার্য বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাদের ১৪৫০ কোটি টাকা দিয়েছেন। সেই টাকায় আমরা ছয়টি হল করেছি। আমরা এ মাসের শেষ দিকে দুটি হল চালু করবো। নতুন হল চালু করলে বিশ্ববিদ্যালয়ে গণরুম বন্ধ হবে, শিক্ষার্থীরা স্বাচ্ছন্দ্যে পড়ালেখা করতে পারবে।’

শিগগির বঙ্গবন্ধুর নামে স্কলারশিপ চালু করা হবে বলেও জানান উপাচার্য।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে বাধার দেয়াল সব তুলে দিতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী

জাবি প্রতিনিধি

বক্তব্য রাখছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ছবি: দৈনিক বাংলা

উচ্চশিক্ষায় ভর্তির ক্ষেত্রে নানা শর্ত-প্রতিবন্ধকতাকে ‘বাধার দেয়াল’ আখ্যা দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সব বাধার দেয়াল তুলে দিতে হবে।

আজ শুক্রবার দুপুরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) জহির রায়হান মিলনায়তনে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তবুদ্ধি চর্চার কেন্দ্র। আমাদের এত প্রতিবন্ধকতা কেন? একবারের বেশি ভর্তি পরীক্ষা দেয়া যাবে না, দুইবারের বেশি দেয়া যাবে না, নির্দিষ্ট বয়সের পরে আসা যাবে না, পড়াশোনার মধ্যে গ্যাপ থাকলে ভর্তি হওয়া যাবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে দেয়ালগুলো সব তুলে দিতে হবে।’

ডা. দীপু মনি বলেন, ‘শিক্ষা হবে জীবনব্যাপী। তাই যদি হয়, তাহলে শিক্ষার মধ্যে দেয়াল তোলা হচ্ছে কেন?’

তিনি বলেন, ‘যে কোনো সময় যে কোনো মানুষ জ্ঞান অর্জনের জন্য ভর্তি হতে পারে। যে কোনো সময় যে কোনো মানুষের শিক্ষার অধিকার আছে। তার বয়স বিবেচনা না করে পরীক্ষার মাধ্যমে তাকে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ দিতে হবে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে কৃপণতা থেকে সরে আসতে হবে।’

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সম্পর্কে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘পাচঁ-ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া আমাদের দেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির ক্ষেত্রে গুচ্ছ পদ্ধতিতে এসেছে। শিক্ষার্থী-অবিভাবকদের অর্থ সাশ্রয় ও হয়রানি কমানোর জন্য এটি প্রয়োজন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরাই তো সারাক্ষণ পাশ্চাত্যের বিভিন্ন দেশের দিকে তাকিয়ে থাকি। তারা যদি একটা পরীক্ষা দিয়ে হাভার্ডে, এমআইটিতে বা কমিউনিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারে, তাহলে আমাদের গুচ্ছ পরীক্ষার মান নিয়ে এত প্রশ্ন কেন?’

বিশ্ববিদ্যালয়ে গণরুম বন্ধ হবে
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাবি উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক নুরুল আলম বলেন, ‘আমরা সিন্ডিকেটে সিদ্ধান্ত নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি দিয়েছি, যেন ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে সমাবর্তন দিতে পারি। আমরা করোনার সময় অন্তর্বর্তীকালীন অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে ক্লাস পরীক্ষা নিয়ে কিছুটা হলেও সেশনজট কমিয়ে এনেছি।’

উপাচার্য বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাদের ১৪৫০ কোটি টাকা দিয়েছেন। সেই টাকায় আমরা ছয়টি হল করেছি। আমরা এ মাসের শেষ দিকে দুটি হল চালু করবো। নতুন হল চালু করলে বিশ্ববিদ্যালয়ে গণরুম বন্ধ হবে, শিক্ষার্থীরা স্বাচ্ছন্দ্যে পড়ালেখা করতে পারবে।’

শিগগির বঙ্গবন্ধুর নামে স্কলারশিপ চালু করা হবে বলেও জানান উপাচার্য।