ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
বিশ্ববিদ্যালয় খোলা, ক্যাফেটেরিয়ায় তালা
ফরহাদ খাদেম
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাফেটেরিয়া।
দীর্ঘ ৪০ দিন ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে গত ২ মে থেকে শুরু হয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় খুললেও বন্ধ রয়েছে কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া। দীর্ঘদিন এটি বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
জানা যায়, পরিচালক না থাকার কারণে বন্ধ রয়েছে ক্যাফেটেরিয়া। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ব্ধগতির কারণে লোকসানে পড়ছে এখানকার পরিচালক। এছাড়াও ক্যাফেটেরিয়ায় টিএসসিসির পক্ষ থেকে কোনো ভর্তুকি দেওয়া হয় না। ফলে কেউ লোকসানের ভাগিদার হয়ে ক্যাফেটেরিয়া চালাতে রাজি হচ্ছে না।
শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতি চর্চার প্রাণ কেন্দ্র শিক্ষক-ছাত্র সাংস্কৃতিক কেন্দ্র (টিএসসিসি)। ক্লাস-পরীক্ষা শেষে ক্লান্তি দূর করতে শিক্ষার্থীরা চা-কফির আড্ডা দিতে চলে আসেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসিতে অবস্থিত ক্যাফেটেরিয়াতে। সেই সাথে চলে গানের আড্ডাও। ক্যাম্পাসের অন্যান্য খাবার হোটেলগুলোর তুলনায় এখানে কম মূল্যে ভালো মানের খাবার পাওয়া যায়। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সকাল ও দুপুরের খাবার গ্রহণ করেন এখানে। এছাড়াও টিএসসিসিতে অবস্থিত বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যরা এখান থেকে খাবার গ্রহণ করেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এটি বন্ধ থাকায় বাইরে থেকে তুলনামূলক বেশি দামে খাবার গ্রহণ করতে হচ্ছে তাদের। ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।
বন্ধ রয়েছে ক্যাফেটেরিয়া।
সরেজমিনে দেখা যায়, দীর্ঘদিন ধরে এটি বন্ধ থাকার আগের মতো শিক্ষার্থীদের কোনো কোলাহল নেই টিএসসিসিতে। ক্যাফেটেরিয়ার চেয়ার-টেবিলগুলোতে ধূলার আস্তরণ পড়ে গেছে।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম বলেন, ক্লাস-পরীক্ষার ক্লান্তি দূর করতে বন্ধুরা মিলে ক্যাফেটেরিয়ায় এসে চা’য়ের আড্ডা দিতাম। মাঝে মাঝে এখানে সকাল ও দুপুরের খাবার গ্রহণ করতাম। এছাড়াও প্রতিনিয়ত সিনিয়র-জুনিয়র মিলে এখানে এসে আড্ডা দিতাম। যার ফলে আমাদের মাঝে এক ধরনের বন্ডিং তৈরি হতো। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এটি বন্ধ থাকার কারনে আমরা এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।
আরেক শিক্ষার্থী ও রোভার স্কাউটের সভাপতি মুসা হাসেমী জানান, ‘টিএসসিসি একটা সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হওয়াতে শিক্ষার্থীদের আনাগোনা থাকে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। ক্যাফেটেরিয়া বন্ধ থাকার কারণে খাবারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না থাকায় তাদের যেতে হচ্ছে জিয়া মোড়ে অথবা আমতলার কোনো হোটেলে। সেই সাথে আমরা যারা টিএসসিসিতে বিভিন্ন অফিসে প্রতিদিন অবস্থান করি তাদের এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় সবচেয়ে বেশি। আশা করি, কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের এই সমস্যা আমলে নিয়ে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।’
এ ব্যাপারে টিএসসিসির পরিচালক অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ বিকুল জানান, ক্যাফেটেরিয়ার পরিচালক নেওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। যারা পরিচালক হতে আগ্রহী, তাদেরকে আগামী ১৭ তারিখ দুপুর ১২টার মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে অফিসে যোগাযোগ করতে বলেছি। এরপর যাচাই-বাছাই করে পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হবে।
ইবিহো/এসএস
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
বিশ্ববিদ্যালয় খোলা, ক্যাফেটেরিয়ায় তালা
ফরহাদ খাদেম
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাফেটেরিয়া।
দীর্ঘ ৪০ দিন ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে গত ২ মে থেকে শুরু হয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় খুললেও বন্ধ রয়েছে কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া। দীর্ঘদিন এটি বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
জানা যায়, পরিচালক না থাকার কারণে বন্ধ রয়েছে ক্যাফেটেরিয়া। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ব্ধগতির কারণে লোকসানে পড়ছে এখানকার পরিচালক। এছাড়াও ক্যাফেটেরিয়ায় টিএসসিসির পক্ষ থেকে কোনো ভর্তুকি দেওয়া হয় না। ফলে কেউ লোকসানের ভাগিদার হয়ে ক্যাফেটেরিয়া চালাতে রাজি হচ্ছে না।
শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতি চর্চার প্রাণ কেন্দ্র শিক্ষক-ছাত্র সাংস্কৃতিক কেন্দ্র (টিএসসিসি)। ক্লাস-পরীক্ষা শেষে ক্লান্তি দূর করতে শিক্ষার্থীরা চা-কফির আড্ডা দিতে চলে আসেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসিতে অবস্থিত ক্যাফেটেরিয়াতে। সেই সাথে চলে গানের আড্ডাও। ক্যাম্পাসের অন্যান্য খাবার হোটেলগুলোর তুলনায় এখানে কম মূল্যে ভালো মানের খাবার পাওয়া যায়। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সকাল ও দুপুরের খাবার গ্রহণ করেন এখানে। এছাড়াও টিএসসিসিতে অবস্থিত বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যরা এখান থেকে খাবার গ্রহণ করেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এটি বন্ধ থাকায় বাইরে থেকে তুলনামূলক বেশি দামে খাবার গ্রহণ করতে হচ্ছে তাদের। ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।
বন্ধ রয়েছে ক্যাফেটেরিয়া।
সরেজমিনে দেখা যায়, দীর্ঘদিন ধরে এটি বন্ধ থাকার আগের মতো শিক্ষার্থীদের কোনো কোলাহল নেই টিএসসিসিতে। ক্যাফেটেরিয়ার চেয়ার-টেবিলগুলোতে ধূলার আস্তরণ পড়ে গেছে।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম বলেন, ক্লাস-পরীক্ষার ক্লান্তি দূর করতে বন্ধুরা মিলে ক্যাফেটেরিয়ায় এসে চা’য়ের আড্ডা দিতাম। মাঝে মাঝে এখানে সকাল ও দুপুরের খাবার গ্রহণ করতাম। এছাড়াও প্রতিনিয়ত সিনিয়র-জুনিয়র মিলে এখানে এসে আড্ডা দিতাম। যার ফলে আমাদের মাঝে এক ধরনের বন্ডিং তৈরি হতো। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এটি বন্ধ থাকার কারনে আমরা এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।
আরেক শিক্ষার্থী ও রোভার স্কাউটের সভাপতি মুসা হাসেমী জানান, ‘টিএসসিসি একটা সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হওয়াতে শিক্ষার্থীদের আনাগোনা থাকে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। ক্যাফেটেরিয়া বন্ধ থাকার কারণে খাবারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না থাকায় তাদের যেতে হচ্ছে জিয়া মোড়ে অথবা আমতলার কোনো হোটেলে। সেই সাথে আমরা যারা টিএসসিসিতে বিভিন্ন অফিসে প্রতিদিন অবস্থান করি তাদের এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় সবচেয়ে বেশি। আশা করি, কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের এই সমস্যা আমলে নিয়ে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।’
এ ব্যাপারে টিএসসিসির পরিচালক অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ বিকুল জানান, ক্যাফেটেরিয়ার পরিচালক নেওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। যারা পরিচালক হতে আগ্রহী, তাদেরকে আগামী ১৭ তারিখ দুপুর ১২টার মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে অফিসে যোগাযোগ করতে বলেছি। এরপর যাচাই-বাছাই করে পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হবে।
ইবিহো/এসএস