বিসিএস নমুনা ভাইভা: পয়েট অব পলিটিকস কী শুনছেন?

মো. মহসীন আলী

অনুম‌তি নি‌য়ে সালাম দি‌য়ে ভেতরে প্রবেশ করলাম। স‌্যার বস‌তে বল‌লেন। ধন‌্যবাদ দি‌য়ে বসলাম।
চেয়ারম্যান স‌্যার: নাম কী? মায়ের নাম কী? কোন বিশ্ব‌বিদ‌্যালয়ে পড়াশোনা ক‌রে‌ছেন?
মো. মহসীন আলী: মা-বাবার নাম বললাম এবং বললাম পড়াশোনা ক‌রে‌ছি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর থে‌কে।
চেয়ারম্যান স‌্যার: বেগম রোকেয়া কে ছিলেন?
মো. মহসীন আলী: উনি ছিলেন উপমহাদেশে নারী জাগরণের অগ্রদূত।
চেয়ারম্যান স‌্যার: তিনি মূলত কী ছিলেন?
মো. মহসীন আলী: তিনি মূলত একজন সাহিত্যিক ছিলেন।
চেয়ারম‌্যান স‌্যার: তাঁর সাহিত্য কর্মের নামগুলো বলুন?
মো. মহসীন আলী: অবরোধবাসিনী, সুলতানা’স ড্রিম, পদ্মরাগ…।
চেয়ারম‌্যান স‌্যার: অবরোধবাসিনী পড়েছেন?
মো. মহসীন আলী: দুঃখিত স্যার, পড়া হয়নি, তবে সুলতানা’স ড্রিম পড়ছি।
চেয়ারম‌্যান স‌্যার: আচ্ছা তাহলে সুলতানা’স ড্রিমের মূল ভাবটা বলেন।
মো. মহসীন আলী: সুলতানা’স ড্রিমের কেন্দ্রীয় চরিত্র সুলতানা একদিন স্বপ্নে দেখেন যে আমাদের সমাজের বড় বড় অবস্থা‌নে নারীরা অবস্থান করছেন এমনকি দেশ পরিচালনা থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের সব স্তরে নারীরা নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এতটুকু বলার সঙ্গে সঙ্গেই চেয়ারম্যান স্যার প্রশ্ন করলেন…
চেয়ারম্যান স‌্যার: এমন একজন নারীর নাম বলতে পারেন?
মো. মহসীন আলী: হ্যাঁ স্যার, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
চেয়ারম্যান স‌্যার: তিনি নারীর ক্ষমতায়নে কী কী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন বলতে পারবেন?
মো. মহসীন আলী: হ্যাঁ স্যার, শিক্ষা সহায়তা কর্মসূচি, সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী, নারী শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তির ব্যবস্থা।
চেয়ারম্যান স‌্যার: প্রাথমিক স্কুলে কতজন নারী?
মো. মহসীন আলী: ৬০ শতাংশ সংরক্ষিত।

চেয়ারম্যান স্যার এবার এক্সটারনাল-১-কে প্রশ্ন করতে বললেন।
এক্সটারনাল-১: আপনার পড়াশোনা বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।  বর্তমান ভিসি কে?
মো. মহসীন আলী: ড. হাসিবুর রশিদ স্যার।
এক্সটারনাল-১: তার আগে কে ছিলেন?
মো. মহসীন আলী: নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ স্যার।
এক্সটারনাল-১: তার আগে?
মো. মহসীন আলী: নূরু-ন-নবী স্যার।
এক্সটারনাল-১: পয়েট অব পলিটিকস কি শুনছেন?
মো. মহসীন আলী: জি স্যার, এটা একটা উপাধি, যা ৫ এপ্রিল ১৯৭১ সালে মার্কিন ম্যাগাজিন দ্য নিউজ উইক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে দিয়েছিল।
এক্সটারনাল-১: জুলিও কুরি কী?
মো. মহসীন আলী: এটিও একটি পুরস্কার, যা বিশ্ব শান্তি পরিষদ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে দিয়েছিল।
এক্সটারনাল-১: প্ল্যানেট ৫০-৫০ কী?
মো. মহসীন আলী: এটি একটি পুরস্কার, যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া হয়েছে।
এক্সটারনাল-১: কিসের জন্য দেওয়া হয়েছে?
মো. মহসীন আলী: নারীর ক্ষমতায়ন।
এক্সটারনাল-১: না হয়নি। স্যার একটু ধারণা দিয়ে বললেন প্ল্যানেট ৫০-৫০ কথাটার মাঝেই তো উত্তর আছে।
মো. মহসীন আলী: দুঃখিত, বলে উত্তর করলাম জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকেই এই পুরস্কার প্রদান করা হয়।
এক্সটারনাল-১: জলবায়ু নিয়ে কাজ করে এমন কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের নাম বলতে পারবেন?
মো. মহসীন আলী: আইপিসিসি, ইউনেপ বলার পর আর কিছু মনে আসছিল না!
চেয়ারম্যান স্যার: COP-এর নাম শুনেছেন?
মো. মহসীন আলী: জি স্যার!
চেয়ারম্যান স্যার: COP-এর পূর্ণ রূপ কী? এখন কততম হচ্ছে? কোথায় হচ্ছে?
মো. মহসীন আলী: Conference of the parties.
এক্স-১: আইপিসিসির পূর্ণ রূপ কী?
মো. মহসীন আলী: ভুল করে বললাম International Panel on Climate Change. স্যার ঠিক করে দিলেন Intergovernmental.
এক্সটারনাল-১: বাংলাদেশকে নিয়ে এ প্রতিষ্ঠানটি একটা ভবিষ্যদ্বাণী করেছে, জানেন কিছু?
মো. মহসীন আলী: জি স্যার। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ০.৫৪ সেমি বৃদ্ধি পেলে বাংলাদেশর উপকূলীয় অঞ্চলের ১৯% এলাকা লবণাক্ত পানির নিচে চলে যাবে।
এক্সটারনাল-১:  আচ্ছা একটা সময়সীমা দিয়েছে। কবে সেটা বলতে পারবেন?
মো. মহসীন আলী: হ্যাঁ স্যার, ২০৫০ সালের মধ্যে।
এক্সটারনাল-১:  ঠিক আছে, সম্প্রতি বাংলাদেশে একটা আইন পাস হয়েছে। কী বলেন তো?
আমি: বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন গঠন আইন-২০২২।
এক্সটারনাল-১: নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য সার্চ কমিটি কতজন নিয়ে গঠিত এবং তাদের নাম বলতে পারবেন?
মো. মহসীন আলী: হ্যাঁ স্যার! ছয়জন সদস্য নিয়ে গঠিত। সদস্যের মধ্যে পাঁচজনের নাম বলার পর নারী সদস্যের নাম বলতে গিয়ে আর মনে পড়েছিল না। স্যার তখন বললেন, না, এই নামটা বলতেই হবে। পরে বলতে পেরেছিলাম; কিন্তু শে‌ষে একটু ভুল বলে ফেলছিলাম ‘হক’-এর জায়গায় ‘রহমান’ বলে ফেলছিলাম।
এক্সটারনাল-১: স্যার বললেন, তোমাদের উত্তরবঙ্গেই বাড়ি। সাহিত্যিক শামসুল হকের স্ত্রী। বোর্ড মেম্বাররা তখন এটা নিয়ে আলোচনা শুরু করলেন! আমি বসে বসে তাদের আলোচনা শুনলাম। এরপর এক্সটারনাল-১ স্যার আবার আমার দিকে মনোনিবেশ করলেন আর বললেন, এখন সারা বিশ্বের দৃষ্টি একটা ঘটনার দিকে! বলো তো কী ঘটনা?
মো. মহসীন আলী: ইউক্রেনের দিকে (তখনো ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হয়নি, কিন্তু উত্তেজনা বিরাজ করছিল)।
এক্সটারনাল ১: কেন এই উত্তেজনা বলতে পারবা?
মো. মহসীন আলী: হ‌্যাঁ স্যার, সম্প্রতি ইউক্রেন ন্যাটোয় যোগ দিতে যাচ্ছে আর রাশিয়া কোনোভাবেই চায় না ইউক্রেন এই সামরিক জোটে যোগদান করুক।
এক্সটারনাল-১: ন্যাটো মূলত কোন দেশ চালায়?
মো. মহসীন আলী: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
এক্সটারনাল-১: রাশিয়া ন্যাটোর বিপরীত একটা সংস্থা গঠন করেছিল, নাম জানো?
মো. মহসীন আলী: দুঃখিত স্যার! তখন স্যার বলে দিলেন ওয়াসপ্যাক্ট।
এক্সটারনাল-১: স্যার এবার এক্সটারনাল-২ স্যারকে প্রশ্ন কর‌তে বল‌লেন। আমি এক্সটারনাল-২ স্যারের দিকে তাকালাম।
এক্সটারনাল-২: আপনি তো পরিসংখ্যানের ছাত্র। আচ্ছা বলেন তো জনশুমারি কী? কত বছর পর পর হয়?
মো. মহসীন আলী: জনশুমারি হচ্ছে নির্দিষ্ট সময় পর পর একটি দেশের জনসংখ্যার গণনা, যেখানে জনসংখ‌্যা নিয়ে কাজ করা হয়।
এক্সটারনাল-২: কত বছর পর পর হয়?
মো. মহসীন আলী: দশ বছর পর পর স্যার।
এক্সটারনাল-২: তাহলে সার্ভে কী?
মো. মহসীন আলী: সার্ভে একধরনের গণনা। যখন স্যাম্পল নিয়ে কাজ করা হয়, তখন তাকে আমরা স্যাম্পল সার্ভে বলি।
এক্সটারনাল-২: আপনার বাসা তো নীলফামারী (আসলে বাসা ঠাকুরগাঁও)? মো. মহসীন আলী: না স্যার, আমার বাসা ঠাকুরগাঁও।
এক্সটারনাল-২: এ অঞ্চলে ব্রিটিশ আমলে একটা আন্দোলন হয়েছিল—জানেন?
মো. মহসীন আলী: হ‌্যাঁ স্যার! তেভাগা আন্দোলন। স্যার আন্দোলনের উদ্দেশ্য জানতে চাইলেন। বললাম জমির ফসলের ৩ ভাগ পাবেন কৃষক আর ১ ভাগ পাবেন জমির মালিক। ইলা মিত্র নেতা ছিলেন। আর হাজী দানেশ এই আন্দোলনে বৃহত্তর দিনাজপুর অঞ্চলে কাজ করছিলেন, তাই ওনার নামও বললাম।
এক্সটারনাল-২: হাজী দানেশ তাঁর রাজনৈতিক জীবনে একটা বিতর্কিত কাজ করেছিলেন, সেটা কী?
মো. মহসীন আলী: হাজী দানেশ চুয়ান্নর নিবার্চনে যুক্তফ্রন্ট গঠন করেছিলেন…তিনি এটা করছিলেন বলার চেষ্টা করলাম। স্যার বললেন, এসব না!
এক্সটারনাল-২: আপনার বাসা ঠাকুরগাঁওয়ে, সেখানে কি এখনো সাহিত্য সংসদ আছে?
মো. মহসীন আলী: আমি না জেনে, না বুঝেই হ্যাঁ সূচক উত্তর করলাম। (সত্যি বলতে আমি এ-সম্পর্কে কিছুই জানি না)।
এক্সটারনাল-২: এ সংগঠনটি একটা ম্যাগাজিন প্রকাশ করত, নাম জানেন?
মো. মহসীন আলী: এবার সোজাসুজি দুঃখিত বললাম।
এক্সটারনাল-২: স্যার আর প্রশ্ন করলেন না। বললেন ওকে, আপনার সার্টিফিকেট ‍নিন। আমি সার্টিফিকেট নিয়ে আসার জন্য উঠে দাঁড়ালাম। সার্টিফিকেট নিতে যাব সেই মুহূর্তে চেয়ারম্যান স্যার বললেন, আপনার বাসা কোথায়? শুধু জেলার নাম বলায় একদম লোকেশন জানতে চাইলেন ইউনিয়ন, গ্রামসহ বিস্তারিত বললাম।
চেয়ারম্যান স‌্যার: আপনার বাবা কী করেন?
মো. মহসীন আলী: আমার বাবা কৃষক।
চেয়ারম্যান স্যার বললেন, Best of Luck! আমি ধন্যবাদ দিয়ে চলে এলাম।

বিসিএস নমুনা ভাইভা: পয়েট অব পলিটিকস কী শুনছেন?

মো. মহসীন আলী

অনুম‌তি নি‌য়ে সালাম দি‌য়ে ভেতরে প্রবেশ করলাম। স‌্যার বস‌তে বল‌লেন। ধন‌্যবাদ দি‌য়ে বসলাম।
চেয়ারম্যান স‌্যার: নাম কী? মায়ের নাম কী? কোন বিশ্ব‌বিদ‌্যালয়ে পড়াশোনা ক‌রে‌ছেন?
মো. মহসীন আলী: মা-বাবার নাম বললাম এবং বললাম পড়াশোনা ক‌রে‌ছি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর থে‌কে।
চেয়ারম্যান স‌্যার: বেগম রোকেয়া কে ছিলেন?
মো. মহসীন আলী: উনি ছিলেন উপমহাদেশে নারী জাগরণের অগ্রদূত।
চেয়ারম্যান স‌্যার: তিনি মূলত কী ছিলেন?
মো. মহসীন আলী: তিনি মূলত একজন সাহিত্যিক ছিলেন।
চেয়ারম‌্যান স‌্যার: তাঁর সাহিত্য কর্মের নামগুলো বলুন?
মো. মহসীন আলী: অবরোধবাসিনী, সুলতানা’স ড্রিম, পদ্মরাগ…।
চেয়ারম‌্যান স‌্যার: অবরোধবাসিনী পড়েছেন?
মো. মহসীন আলী: দুঃখিত স্যার, পড়া হয়নি, তবে সুলতানা’স ড্রিম পড়ছি।
চেয়ারম‌্যান স‌্যার: আচ্ছা তাহলে সুলতানা’স ড্রিমের মূল ভাবটা বলেন।
মো. মহসীন আলী: সুলতানা’স ড্রিমের কেন্দ্রীয় চরিত্র সুলতানা একদিন স্বপ্নে দেখেন যে আমাদের সমাজের বড় বড় অবস্থা‌নে নারীরা অবস্থান করছেন এমনকি দেশ পরিচালনা থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের সব স্তরে নারীরা নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এতটুকু বলার সঙ্গে সঙ্গেই চেয়ারম্যান স্যার প্রশ্ন করলেন…
চেয়ারম্যান স‌্যার: এমন একজন নারীর নাম বলতে পারেন?
মো. মহসীন আলী: হ্যাঁ স্যার, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
চেয়ারম্যান স‌্যার: তিনি নারীর ক্ষমতায়নে কী কী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন বলতে পারবেন?
মো. মহসীন আলী: হ্যাঁ স্যার, শিক্ষা সহায়তা কর্মসূচি, সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী, নারী শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তির ব্যবস্থা।
চেয়ারম্যান স‌্যার: প্রাথমিক স্কুলে কতজন নারী?
মো. মহসীন আলী: ৬০ শতাংশ সংরক্ষিত।

চেয়ারম্যান স্যার এবার এক্সটারনাল-১-কে প্রশ্ন করতে বললেন।
এক্সটারনাল-১: আপনার পড়াশোনা বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।  বর্তমান ভিসি কে?
মো. মহসীন আলী: ড. হাসিবুর রশিদ স্যার।
এক্সটারনাল-১: তার আগে কে ছিলেন?
মো. মহসীন আলী: নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ স্যার।
এক্সটারনাল-১: তার আগে?
মো. মহসীন আলী: নূরু-ন-নবী স্যার।
এক্সটারনাল-১: পয়েট অব পলিটিকস কি শুনছেন?
মো. মহসীন আলী: জি স্যার, এটা একটা উপাধি, যা ৫ এপ্রিল ১৯৭১ সালে মার্কিন ম্যাগাজিন দ্য নিউজ উইক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে দিয়েছিল।
এক্সটারনাল-১: জুলিও কুরি কী?
মো. মহসীন আলী: এটিও একটি পুরস্কার, যা বিশ্ব শান্তি পরিষদ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে দিয়েছিল।
এক্সটারনাল-১: প্ল্যানেট ৫০-৫০ কী?
মো. মহসীন আলী: এটি একটি পুরস্কার, যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া হয়েছে।
এক্সটারনাল-১: কিসের জন্য দেওয়া হয়েছে?
মো. মহসীন আলী: নারীর ক্ষমতায়ন।
এক্সটারনাল-১: না হয়নি। স্যার একটু ধারণা দিয়ে বললেন প্ল্যানেট ৫০-৫০ কথাটার মাঝেই তো উত্তর আছে।
মো. মহসীন আলী: দুঃখিত, বলে উত্তর করলাম জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকেই এই পুরস্কার প্রদান করা হয়।
এক্সটারনাল-১: জলবায়ু নিয়ে কাজ করে এমন কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের নাম বলতে পারবেন?
মো. মহসীন আলী: আইপিসিসি, ইউনেপ বলার পর আর কিছু মনে আসছিল না!
চেয়ারম্যান স্যার: COP-এর নাম শুনেছেন?
মো. মহসীন আলী: জি স্যার!
চেয়ারম্যান স্যার: COP-এর পূর্ণ রূপ কী? এখন কততম হচ্ছে? কোথায় হচ্ছে?
মো. মহসীন আলী: Conference of the parties.
এক্স-১: আইপিসিসির পূর্ণ রূপ কী?
মো. মহসীন আলী: ভুল করে বললাম International Panel on Climate Change. স্যার ঠিক করে দিলেন Intergovernmental.
এক্সটারনাল-১: বাংলাদেশকে নিয়ে এ প্রতিষ্ঠানটি একটা ভবিষ্যদ্বাণী করেছে, জানেন কিছু?
মো. মহসীন আলী: জি স্যার। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ০.৫৪ সেমি বৃদ্ধি পেলে বাংলাদেশর উপকূলীয় অঞ্চলের ১৯% এলাকা লবণাক্ত পানির নিচে চলে যাবে।
এক্সটারনাল-১:  আচ্ছা একটা সময়সীমা দিয়েছে। কবে সেটা বলতে পারবেন?
মো. মহসীন আলী: হ্যাঁ স্যার, ২০৫০ সালের মধ্যে।
এক্সটারনাল-১:  ঠিক আছে, সম্প্রতি বাংলাদেশে একটা আইন পাস হয়েছে। কী বলেন তো?
আমি: বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন গঠন আইন-২০২২।
এক্সটারনাল-১: নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য সার্চ কমিটি কতজন নিয়ে গঠিত এবং তাদের নাম বলতে পারবেন?
মো. মহসীন আলী: হ্যাঁ স্যার! ছয়জন সদস্য নিয়ে গঠিত। সদস্যের মধ্যে পাঁচজনের নাম বলার পর নারী সদস্যের নাম বলতে গিয়ে আর মনে পড়েছিল না। স্যার তখন বললেন, না, এই নামটা বলতেই হবে। পরে বলতে পেরেছিলাম; কিন্তু শে‌ষে একটু ভুল বলে ফেলছিলাম ‘হক’-এর জায়গায় ‘রহমান’ বলে ফেলছিলাম।
এক্সটারনাল-১: স্যার বললেন, তোমাদের উত্তরবঙ্গেই বাড়ি। সাহিত্যিক শামসুল হকের স্ত্রী। বোর্ড মেম্বাররা তখন এটা নিয়ে আলোচনা শুরু করলেন! আমি বসে বসে তাদের আলোচনা শুনলাম। এরপর এক্সটারনাল-১ স্যার আবার আমার দিকে মনোনিবেশ করলেন আর বললেন, এখন সারা বিশ্বের দৃষ্টি একটা ঘটনার দিকে! বলো তো কী ঘটনা?
মো. মহসীন আলী: ইউক্রেনের দিকে (তখনো ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হয়নি, কিন্তু উত্তেজনা বিরাজ করছিল)।
এক্সটারনাল ১: কেন এই উত্তেজনা বলতে পারবা?
মো. মহসীন আলী: হ‌্যাঁ স্যার, সম্প্রতি ইউক্রেন ন্যাটোয় যোগ দিতে যাচ্ছে আর রাশিয়া কোনোভাবেই চায় না ইউক্রেন এই সামরিক জোটে যোগদান করুক।
এক্সটারনাল-১: ন্যাটো মূলত কোন দেশ চালায়?
মো. মহসীন আলী: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
এক্সটারনাল-১: রাশিয়া ন্যাটোর বিপরীত একটা সংস্থা গঠন করেছিল, নাম জানো?
মো. মহসীন আলী: দুঃখিত স্যার! তখন স্যার বলে দিলেন ওয়াসপ্যাক্ট।
এক্সটারনাল-১: স্যার এবার এক্সটারনাল-২ স্যারকে প্রশ্ন কর‌তে বল‌লেন। আমি এক্সটারনাল-২ স্যারের দিকে তাকালাম।
এক্সটারনাল-২: আপনি তো পরিসংখ্যানের ছাত্র। আচ্ছা বলেন তো জনশুমারি কী? কত বছর পর পর হয়?
মো. মহসীন আলী: জনশুমারি হচ্ছে নির্দিষ্ট সময় পর পর একটি দেশের জনসংখ্যার গণনা, যেখানে জনসংখ‌্যা নিয়ে কাজ করা হয়।
এক্সটারনাল-২: কত বছর পর পর হয়?
মো. মহসীন আলী: দশ বছর পর পর স্যার।
এক্সটারনাল-২: তাহলে সার্ভে কী?
মো. মহসীন আলী: সার্ভে একধরনের গণনা। যখন স্যাম্পল নিয়ে কাজ করা হয়, তখন তাকে আমরা স্যাম্পল সার্ভে বলি।
এক্সটারনাল-২: আপনার বাসা তো নীলফামারী (আসলে বাসা ঠাকুরগাঁও)? মো. মহসীন আলী: না স্যার, আমার বাসা ঠাকুরগাঁও।
এক্সটারনাল-২: এ অঞ্চলে ব্রিটিশ আমলে একটা আন্দোলন হয়েছিল—জানেন?
মো. মহসীন আলী: হ‌্যাঁ স্যার! তেভাগা আন্দোলন। স্যার আন্দোলনের উদ্দেশ্য জানতে চাইলেন। বললাম জমির ফসলের ৩ ভাগ পাবেন কৃষক আর ১ ভাগ পাবেন জমির মালিক। ইলা মিত্র নেতা ছিলেন। আর হাজী দানেশ এই আন্দোলনে বৃহত্তর দিনাজপুর অঞ্চলে কাজ করছিলেন, তাই ওনার নামও বললাম।
এক্সটারনাল-২: হাজী দানেশ তাঁর রাজনৈতিক জীবনে একটা বিতর্কিত কাজ করেছিলেন, সেটা কী?
মো. মহসীন আলী: হাজী দানেশ চুয়ান্নর নিবার্চনে যুক্তফ্রন্ট গঠন করেছিলেন…তিনি এটা করছিলেন বলার চেষ্টা করলাম। স্যার বললেন, এসব না!
এক্সটারনাল-২: আপনার বাসা ঠাকুরগাঁওয়ে, সেখানে কি এখনো সাহিত্য সংসদ আছে?
মো. মহসীন আলী: আমি না জেনে, না বুঝেই হ্যাঁ সূচক উত্তর করলাম। (সত্যি বলতে আমি এ-সম্পর্কে কিছুই জানি না)।
এক্সটারনাল-২: এ সংগঠনটি একটা ম্যাগাজিন প্রকাশ করত, নাম জানেন?
মো. মহসীন আলী: এবার সোজাসুজি দুঃখিত বললাম।
এক্সটারনাল-২: স্যার আর প্রশ্ন করলেন না। বললেন ওকে, আপনার সার্টিফিকেট ‍নিন। আমি সার্টিফিকেট নিয়ে আসার জন্য উঠে দাঁড়ালাম। সার্টিফিকেট নিতে যাব সেই মুহূর্তে চেয়ারম্যান স্যার বললেন, আপনার বাসা কোথায়? শুধু জেলার নাম বলায় একদম লোকেশন জানতে চাইলেন ইউনিয়ন, গ্রামসহ বিস্তারিত বললাম।
চেয়ারম্যান স‌্যার: আপনার বাবা কী করেন?
মো. মহসীন আলী: আমার বাবা কৃষক।
চেয়ারম্যান স্যার বললেন, Best of Luck! আমি ধন্যবাদ দিয়ে চলে এলাম।