বৃষ্টি উপেক্ষা করে ইবিতে ‘রিমেম্বার আওয়ার হিরোস’ কর্মসূচি

ফরহাদ খাদেম

বৃষ্টি উপেক্ষা করে ‘রিমেম্বার আওয়ার হিরোস’ কর্মসূচি পালন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বেলা সাড়ে তিনটায় ক্যাম্পাসে মিছিল ও সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’ ম্যুরালের সামনে থেকে শিক্ষার্থীরা মৌন মিছিল শুরু করেন। এসময় তারা কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহতদের ছবি ও তাদের বিচারের দাবি সংবলিত বিভিন্ন ফেসটুন প্রদর্শন করেন। মিছিলটি ক্যাম্পাসের প্রশাসন ভবন, বটতলা, ডায়না চত্বর হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে গিয়ে সমাবেশে হয়।

এসময় মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হলেও বৃষ্টি উপেক্ষা করে মিছিল ও কর্মসূচি চালিয়ে যান শিক্ষার্থীরা। এদিকে ক্যাম্পাস গেটে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা নির্যাতনের স্মৃতিচারণা করেন। শহীদ ও আহতদের মাগফেরাত কামনা করেন। এছাড়াও ফেস্টুন তৈরি, গ্রাফিতি অঙ্কন, ডিজিটাল পোট্রের্ট তৈরি করে শহীদদের স্মরণে কনটেন্ট বা লেখা লিখে হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে অনলাইনে প্রচার করেন।

শিক্ষার্থীদের দাবি, সারা দেশে ছাত্র-জনতার উপর গণহত্যা,  গণগ্রেফতার, হামলা, মামলা, গুম এবং খুনের প্রতিবাদে এবং জাতিসংঘ কর্তৃক তদন্তপূর্বক বিচারের ও ছাত্র সমাজের ৯ দফা বাস্তবায়ন।

 

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘এক মাসেরও বেশী সময় ধরে আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে যাচ্ছিলাম। কিন্তু সরকার আমাদের উপর হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, হামলা-মামলা করে দমন করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাস বলে ৫২, ৬৯, ৭১ যেখানেই ছাত্ররা হাত দিয়েছে সেখানেই সফল হয়েছে। ২০২৪ সালের আমাদের আন্দোলনও বৃথা যাবে না।  আমাদের দিনগুলো অন্ধকারে ছেয়ে গেছে। রাতগুলো হয়ে গেছে গণগ্রেপ্তারের আতঙ্কে। মিথ্যা মামলা দিয়ে অনেকেই অন্যায়ভাবে জেলে আটকে আছেন।’

তারা আরও বলেন, ‘যাদের পরিবারের লোকজন মারা গেছে তাদের আহাজারি কি আপনাদের কানে পৌঁছায় না? শিশুদের পর্যন্ত আপনারা ছাড়েননি। এমন অনেক শিক্ষার্থী মারা গেছেন তারাই পরবর্তীতে পরিবারের হাল ধরতেন। আমরা এসব অমানবিক হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার চাই। আমাদের নয় দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো। আমাদের ভাইদের খুনিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ানো অবস্থায় আমরা ঘরে ফিরে যেতে পারিনা।’

এদিকে গতকাল বুধবার পুলিশের বাঁধা ও ধরপাকড়ের কারণে কুষ্টিয়ায় কোটা সংস্কারপন্থী আন্দোলকারীদের কর্মসূচি পন্ড হয়েছিল। এসময় শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ জন সহ ১৪ জন শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা রাতে শিক্ষার্থীদের ছাড়িয়ে আনেন।

ইবিহো/এসএস

বৃষ্টি উপেক্ষা করে ইবিতে ‘রিমেম্বার আওয়ার হিরোস’ কর্মসূচি

ফরহাদ খাদেম

বৃষ্টি উপেক্ষা করে ‘রিমেম্বার আওয়ার হিরোস’ কর্মসূচি পালন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বেলা সাড়ে তিনটায় ক্যাম্পাসে মিছিল ও সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’ ম্যুরালের সামনে থেকে শিক্ষার্থীরা মৌন মিছিল শুরু করেন। এসময় তারা কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহতদের ছবি ও তাদের বিচারের দাবি সংবলিত বিভিন্ন ফেসটুন প্রদর্শন করেন। মিছিলটি ক্যাম্পাসের প্রশাসন ভবন, বটতলা, ডায়না চত্বর হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে গিয়ে সমাবেশে হয়।

এসময় মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হলেও বৃষ্টি উপেক্ষা করে মিছিল ও কর্মসূচি চালিয়ে যান শিক্ষার্থীরা। এদিকে ক্যাম্পাস গেটে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা নির্যাতনের স্মৃতিচারণা করেন। শহীদ ও আহতদের মাগফেরাত কামনা করেন। এছাড়াও ফেস্টুন তৈরি, গ্রাফিতি অঙ্কন, ডিজিটাল পোট্রের্ট তৈরি করে শহীদদের স্মরণে কনটেন্ট বা লেখা লিখে হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে অনলাইনে প্রচার করেন।

শিক্ষার্থীদের দাবি, সারা দেশে ছাত্র-জনতার উপর গণহত্যা,  গণগ্রেফতার, হামলা, মামলা, গুম এবং খুনের প্রতিবাদে এবং জাতিসংঘ কর্তৃক তদন্তপূর্বক বিচারের ও ছাত্র সমাজের ৯ দফা বাস্তবায়ন।

 

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘এক মাসেরও বেশী সময় ধরে আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে যাচ্ছিলাম। কিন্তু সরকার আমাদের উপর হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, হামলা-মামলা করে দমন করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাস বলে ৫২, ৬৯, ৭১ যেখানেই ছাত্ররা হাত দিয়েছে সেখানেই সফল হয়েছে। ২০২৪ সালের আমাদের আন্দোলনও বৃথা যাবে না।  আমাদের দিনগুলো অন্ধকারে ছেয়ে গেছে। রাতগুলো হয়ে গেছে গণগ্রেপ্তারের আতঙ্কে। মিথ্যা মামলা দিয়ে অনেকেই অন্যায়ভাবে জেলে আটকে আছেন।’

তারা আরও বলেন, ‘যাদের পরিবারের লোকজন মারা গেছে তাদের আহাজারি কি আপনাদের কানে পৌঁছায় না? শিশুদের পর্যন্ত আপনারা ছাড়েননি। এমন অনেক শিক্ষার্থী মারা গেছেন তারাই পরবর্তীতে পরিবারের হাল ধরতেন। আমরা এসব অমানবিক হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার চাই। আমাদের নয় দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো। আমাদের ভাইদের খুনিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ানো অবস্থায় আমরা ঘরে ফিরে যেতে পারিনা।’

এদিকে গতকাল বুধবার পুলিশের বাঁধা ও ধরপাকড়ের কারণে কুষ্টিয়ায় কোটা সংস্কারপন্থী আন্দোলকারীদের কর্মসূচি পন্ড হয়েছিল। এসময় শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ জন সহ ১৪ জন শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা রাতে শিক্ষার্থীদের ছাড়িয়ে আনেন।

ইবিহো/এসএস