বেঞ্চ নাই, মেঝেতে ক্লাস করেন ইবি শিক্ষার্থীরা

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
মেঝেতে বসে ক্লাস করছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি বিভাগের শিক্ষার্থীরা।ছবি : কালবেলা

বেঞ্চ সংকটে এক বছর ধরে মেঝেতে বসে ক্লাস করছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসি, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট ও হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টসহ কয়েকটি বিভাগের ক্লাসরুমে দেখা গেছে এমন চিত্র।

বিষয়টি অনেকবার কর্তৃপক্ষের নজরে আনলেও সমাধান মিলছে না বলে অভিযোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের। ফলে এই শীতেও মেঝেতে বসে ক্লাস করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।

ফার্মাসি বিভাগের শিক্ষার্থীরা বলেন, এক বছর ধরে আমরা এভাবেই ক্লাস করছি। আমরা গত ১৭ সেপ্টেম্বর প্রশাসন ভবনের সামনে বিষয়টি নিয়ে আন্দোলন করেছি। তখন কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে বিষয়টি দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন। অথচ এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ।

বেঞ্চ সংকটের বিষয়ে বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক অর্ঘ্য প্রসূন সরকার বলেন, ‘আমরা গত ১৯ সেপ্টেম্বর কর্তৃপক্ষের কাছে দুটি শ্রেণিকক্ষের জন্য ৫০টি বেঞ্চের চাহিদাপত্র দিয়েছিলাম। কিন্তু কর্তৃপক্ষ এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। সর্বশেষ প্রধান প্রকৌশলী এক মাস আগে এসে শ্রেণিকক্ষ পরিদর্শন করে যান। তখন তিনি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু এখনো কোনো সমাধান পাওয়া যায়নি।’

এদিকে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা প্রায় এক বছর ধরে মেঝেতে বসে ক্লাস করছি। এখন শীতকাল হওয়ায় ঠান্ডা মেঝেতে বসে ক্লাস করতে হচ্ছে। ফলে আমরা সর্দি-জ্বরসহ নানা রোগে ভুগছি। বারবার স্যারদের সাথে কথা বলছি, কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।

এ বিষয়ে বিভাগটির সভাপতি সহকারী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা একাধিকবার প্রকৌশল দপ্তরের মাধ্যমে চাহিদাপত্র দিয়েছি। প্রশাসন শুধু আমাদেরকে আশ্বাস দিয়েই যায়, কিন্তু এখনো কোনো সমাধান পাওয়া যায়নি।’

ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীন বলেন, ‘বেঞ্চ সংকটের কারণে কয়েকটি বিভাগের ক্লাসরুমে অনেক দিন ধরেই শিক্ষার্থীরা মেঝেতে বসে ক্লাস করছে। আমি নিজেও এর ভুক্তভোগী। বিষয়টি নিয়ে নিজেও প্রশাসনের সাথে কথা বলেছি। কিন্তু প্রশাসনকে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। বিষয়টি নিয়ে আমি সন্তুষ্ট না।’

এ বিষয়ে প্রধান প্রকৌশলী মুন্সী সহিদ উদ্দীন মো. তারেক বলেন, ‘স্থানীয় কিছু সমস্যার কারণে টেন্ডার বিলম্ব হয়। সর্বশেষ ১৫ দিন আগে আখতার ফার্নিচার কাজের টেন্ডার পায়। ঢাকাতে প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র তৈরির কাজ চলছে। আশা করছি, আগামী ১৫ দিন পর থেকে সেগুলো পর্যায়ক্রমে আসা শুরু হবে।’

বেঞ্চ নাই, মেঝেতে ক্লাস করেন ইবি শিক্ষার্থীরা

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
মেঝেতে বসে ক্লাস করছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি বিভাগের শিক্ষার্থীরা।ছবি : কালবেলা

বেঞ্চ সংকটে এক বছর ধরে মেঝেতে বসে ক্লাস করছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসি, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট ও হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টসহ কয়েকটি বিভাগের ক্লাসরুমে দেখা গেছে এমন চিত্র।

বিষয়টি অনেকবার কর্তৃপক্ষের নজরে আনলেও সমাধান মিলছে না বলে অভিযোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের। ফলে এই শীতেও মেঝেতে বসে ক্লাস করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।

ফার্মাসি বিভাগের শিক্ষার্থীরা বলেন, এক বছর ধরে আমরা এভাবেই ক্লাস করছি। আমরা গত ১৭ সেপ্টেম্বর প্রশাসন ভবনের সামনে বিষয়টি নিয়ে আন্দোলন করেছি। তখন কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে বিষয়টি দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন। অথচ এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ।

বেঞ্চ সংকটের বিষয়ে বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক অর্ঘ্য প্রসূন সরকার বলেন, ‘আমরা গত ১৯ সেপ্টেম্বর কর্তৃপক্ষের কাছে দুটি শ্রেণিকক্ষের জন্য ৫০টি বেঞ্চের চাহিদাপত্র দিয়েছিলাম। কিন্তু কর্তৃপক্ষ এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। সর্বশেষ প্রধান প্রকৌশলী এক মাস আগে এসে শ্রেণিকক্ষ পরিদর্শন করে যান। তখন তিনি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু এখনো কোনো সমাধান পাওয়া যায়নি।’

এদিকে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা প্রায় এক বছর ধরে মেঝেতে বসে ক্লাস করছি। এখন শীতকাল হওয়ায় ঠান্ডা মেঝেতে বসে ক্লাস করতে হচ্ছে। ফলে আমরা সর্দি-জ্বরসহ নানা রোগে ভুগছি। বারবার স্যারদের সাথে কথা বলছি, কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।

এ বিষয়ে বিভাগটির সভাপতি সহকারী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা একাধিকবার প্রকৌশল দপ্তরের মাধ্যমে চাহিদাপত্র দিয়েছি। প্রশাসন শুধু আমাদেরকে আশ্বাস দিয়েই যায়, কিন্তু এখনো কোনো সমাধান পাওয়া যায়নি।’

ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীন বলেন, ‘বেঞ্চ সংকটের কারণে কয়েকটি বিভাগের ক্লাসরুমে অনেক দিন ধরেই শিক্ষার্থীরা মেঝেতে বসে ক্লাস করছে। আমি নিজেও এর ভুক্তভোগী। বিষয়টি নিয়ে নিজেও প্রশাসনের সাথে কথা বলেছি। কিন্তু প্রশাসনকে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। বিষয়টি নিয়ে আমি সন্তুষ্ট না।’

এ বিষয়ে প্রধান প্রকৌশলী মুন্সী সহিদ উদ্দীন মো. তারেক বলেন, ‘স্থানীয় কিছু সমস্যার কারণে টেন্ডার বিলম্ব হয়। সর্বশেষ ১৫ দিন আগে আখতার ফার্নিচার কাজের টেন্ডার পায়। ঢাকাতে প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র তৈরির কাজ চলছে। আশা করছি, আগামী ১৫ দিন পর থেকে সেগুলো পর্যায়ক্রমে আসা শুরু হবে।’