ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ: রবি উপাচার্য

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন ডেস্ক

কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গণে গত ১৫ ডিসেম্বর তিনদিনব্যাপী ‘বাংলাদেশের বিজয় উৎসবে’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাংলাদেশ থেকে অংশ নেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান এবং রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শাহ্ আজম।

আরও উপস্থিত ছিলেন কলকাতার বিশিষ্ট সাংবাদিক মানস ঘোষ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন উপহাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস। ‘বিজয়ের ৫১ বছরে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কঃ অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তৃতা করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শাহ্ আজম।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, তিনি বলেন, ভারত-বাংলাদেশের অকৃত্তিম বন্ধু যা সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সরকার ও জনগণের যে ত্যাগ ও ঔদার্যের পরিচয় আমরা পেয়েছি, তা শ্রদ্ধার সাথে আমরা স্মরণ করি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পর ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নানা মাত্রায় চিহ্নিত হয়েছে। প্রতিবেশী দুই দেশের সম্পর্ক কেবল সামাজিক-সাংস্কৃতিক ঐক্যের নয় তারচেয়েও বেশি অর্থ-রাজনীতির। নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে দুই দেশের সুসম্পর্ক কার্যকরী ভূমিকা রাখতে অবিকল্প। বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের প্রথম হাইকমিশন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল কলকাতায়, সেখানেই আজকের এই উৎসবের আয়োজন, সেদিক থেকেও খুবই আবেগের। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সুসম্পর্কের ভিত্তি নির্মিত হয়েছে আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে।

সাংবাদিক মানস ঘোষের মন্তব্যকে সমর্থন করে উপাচার্য শাহ্ আজম বলেন, ভারত-বাংলাদেশের সুসম্পর্ক বজায় থাকে যখন দেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার। এই সুসম্পর্ক অর্থবহ ও সুদুরপ্রসারী করতে হলে উভয়দেশের যুবসম্প্রদায়ের মধ্যে আমাদের সম্পর্কের ভিত্তি ও বন্ধুত্বের বার্তা পৌঁছে দিতে হবে এবং এর মাধ্যমে দুইদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা-সংস্কৃতি সর্বোপরি উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। অনুষ্ঠানে অপর বক্তা অধ্যাপক আব্দুল মান্নান বলেন, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক রক্ত দিয়ে গড়া। রক্তের বন্ধন কখনও ছিন্ন হয়না। উদ্বোধনী পর্বে এনআরবি সদস্যরা সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেন। সমাপনী পর্বে বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের পক্ষ থেকে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এমবিএইচ/এসএস

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ: রবি উপাচার্য

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন ডেস্ক

কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গণে গত ১৫ ডিসেম্বর তিনদিনব্যাপী ‘বাংলাদেশের বিজয় উৎসবে’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাংলাদেশ থেকে অংশ নেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান এবং রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শাহ্ আজম।

আরও উপস্থিত ছিলেন কলকাতার বিশিষ্ট সাংবাদিক মানস ঘোষ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন উপহাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস। ‘বিজয়ের ৫১ বছরে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কঃ অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তৃতা করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শাহ্ আজম।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, তিনি বলেন, ভারত-বাংলাদেশের অকৃত্তিম বন্ধু যা সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সরকার ও জনগণের যে ত্যাগ ও ঔদার্যের পরিচয় আমরা পেয়েছি, তা শ্রদ্ধার সাথে আমরা স্মরণ করি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পর ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নানা মাত্রায় চিহ্নিত হয়েছে। প্রতিবেশী দুই দেশের সম্পর্ক কেবল সামাজিক-সাংস্কৃতিক ঐক্যের নয় তারচেয়েও বেশি অর্থ-রাজনীতির। নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে দুই দেশের সুসম্পর্ক কার্যকরী ভূমিকা রাখতে অবিকল্প। বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের প্রথম হাইকমিশন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল কলকাতায়, সেখানেই আজকের এই উৎসবের আয়োজন, সেদিক থেকেও খুবই আবেগের। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সুসম্পর্কের ভিত্তি নির্মিত হয়েছে আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে।

সাংবাদিক মানস ঘোষের মন্তব্যকে সমর্থন করে উপাচার্য শাহ্ আজম বলেন, ভারত-বাংলাদেশের সুসম্পর্ক বজায় থাকে যখন দেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার। এই সুসম্পর্ক অর্থবহ ও সুদুরপ্রসারী করতে হলে উভয়দেশের যুবসম্প্রদায়ের মধ্যে আমাদের সম্পর্কের ভিত্তি ও বন্ধুত্বের বার্তা পৌঁছে দিতে হবে এবং এর মাধ্যমে দুইদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা-সংস্কৃতি সর্বোপরি উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। অনুষ্ঠানে অপর বক্তা অধ্যাপক আব্দুল মান্নান বলেন, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক রক্ত দিয়ে গড়া। রক্তের বন্ধন কখনও ছিন্ন হয়না। উদ্বোধনী পর্বে এনআরবি সদস্যরা সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেন। সমাপনী পর্বে বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের পক্ষ থেকে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এমবিএইচ/এসএস