ভার্চুয়াল সমাবর্তন চায় না সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা

তুফান মাজহার খান

সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ওয়েবসাইটে ৫৩তম সমাবর্তনের ঘোষণা দিয়েছে। সমাবর্তনটি অনুষ্ঠিত হবে চলতি বছরের ১৯ নভেম্বর। এবারও সমাবর্তনে অংশ নিতে পারবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজের গ্রাজুয়েট শিক্ষার্থীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩তম সমাবর্তনে অংশগ্রহণের জন্য আবেদনের শেষ তারিখ ২৬ অক্টোবর। নির্ধারিত ফি প্রদানপূর্বক অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করে সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং সাত কলেজের গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীরা। এবারের সমাবর্তনে বক্তা হিসাবে উপস্থিত থাকবেন নোবেল বিজয়ী ফরাসি অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. জ্যাঁ তিরোল।

সবকিছু ঠিক থাকলেও আপত্তি আছে বড় একটি জায়গায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করতে চান না সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাদের এ দাবির কারণ হলো-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য তাদের ক্যাম্পাসে সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হলেও সাত কলেজে হয় অন্যরকম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত সমাবর্তনে প্রধান অতিথি, আচার্য ও মাহামান্য রাষ্ট্রপতি উপস্থিত থাকেন সশরীরে। অথচ সাত কলেজের সমাবর্তনে প্রধান অতিথি ও রাষ্ট্রপতিকে দেখানো হয় পর্দায়; অর্থাৎ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে। সাত কলেজের পক্ষে ঢাকা কলেজ ও ইডেন মহিলা কলেজ ক্যাম্পাসে আলাদা দুটি ভেন্যু করা হলেও মঞ্চ থাকে ফাঁকা। টেলিভিশন দেখার মতো হা করে পর্দায় তাকিয়ে দেখতে হয় সমাবর্তন অনুষ্ঠান। আর এ বৈষম্য নিয়েই যত প্রশ্ন সাত কলেজের সদ্য গ্রাজুয়েট শিক্ষার্থীদের। তারা এমন সমাবর্তন চান না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ৫১তম সমাবর্তন থেকে যুক্ত হয়েছেন অধিভুক্ত সাত কলেজের গ্রাজুয়েট শিক্ষার্থীরাও। এ রকম সমাবর্তন পদ্ধতিকে অধিভুক্ত কলেজের গ্রাজুয়েট শিক্ষার্থীরা বলছেন ‘স্ক্রিন সমাবর্তন’। বিগত দুটি সমাবর্তন অনুষ্ঠান সুন্দরভাবে সম্পন্ন হলেও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়া ছিল চোখে পড়ার মতো। তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও নিজস্ব গ্রুপগুলোয় চরম সমালোচনা করেছেন এ পদ্ধতির। তাদের এ প্রতিক্রিয়া দেখে বোঝা যায়-তারা এ ডিজিটাল সমাবর্তনে একেবারেই সন্তুষ্ট নন। অধিকাংশ শিক্ষার্থী বলেছেন, সমাবর্তনের জন্য সমান ফি পরিশোধ করার পরও তাদের জন্য কোনো সম্মানিত অতিথির উপস্থিতি ছাড়াই এরূপ বৈষম্যমূলক ‘স্ক্রিন সমাবর্তন’ করে সম্মান নয়; বরং অপমানই করা হচ্ছে। অনেকে এ পদ্ধতির বিরোধিতা করে গত দুই সমাবর্তনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থেকেছেন। এ নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনাও করেছেন তারা। ‘ঢাবির অধিভুক্ত সাত কলেজ’ নামক ৪ লাখ ১৯ হাজার শিক্ষার্থীর একটি গ্রুপে এমন সমাবর্তন পদ্ধতির বিরোধিতা করে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে অসংখ্য পোস্ট করা হয়েছে এবং ক্রমাগত পোস্টের পর পোস্ট চলছেই। পোস্টের কমেন্টগুলোয় এ পদ্ধতির বিপক্ষে মত দিচ্ছেন অধিকাংশ শিক্ষার্থী। এ নিয়ে গ্রুপের একটি পোস্টে সাইফুল ইসলাম সাকিব নামের একজন গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থী মন্তব্য করেছেন-ডিজিটাল সমাবর্তন মানা যায় না। স্থান সংকুলান না হলে প্রয়োজনে বড় কোনো ভেন্যুতে করা হোক। তারপরও সরাসরি সমাবর্তন করা হোক। একই পোস্টে আনিসুজ্জামান আকাশ নামের অপর এক গ্রাজুয়েট শিক্ষার্থী মন্তব্য করেন-ডিজিটাল সমাবর্তন কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। প্রয়োজনে আলাদা আয়োজন করতে হবে। ঢাকা কলেজ প্রাঙ্গণে অনেক জায়গা, সেখানে হতে পারে। ডিজিটাল সমাবর্তন এক রকম অপমান। প্রয়োজনে অধিকার আদায়ে কঠোরতম আন্দোলন করতে হবে।

সেখানে একজন শিক্ষার্থী সাত কলেজের গ্র্যাজুয়েটরা এ সমাবর্তনে অংশ নেবেন কি না-এ সম্পর্কিত একটি পোল চালু করেছিলেন, যার মধ্যে শতকরা ৯০ ভাগ ভোট পড়েছে ‘না’-এর ঘরে। হয়তো শেষ পর্যন্ত সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা নিরুপায় হয়ে সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করবেন; তবে এরূপ বৈষম্যমূলক আচরণের জন্য তাদের মনে ক্ষোভ এবং হীনম্মন্যতা থেকেই যাবে।

ডিজিটাল সমাবর্তনে অংশ নেওয়া গ্র্যাজুয়েট এবং সাত কলেজের ভবিষ্যৎ গ্রাজুয়েটদের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলতে চাই-সাত কলেজের গ্র্যাজুয়েটদের নিয়ে যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে সমাবর্তন করতে তাদের সম্মানে বাধে, তাহলে যেন শুধু সাত কলেজ নিয়ে আলাদাভাবে সমাবর্তন করা হয়। আর যদি জায়গা না হওয়ার অজুহাত থাকে, তাহলে যেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবর্তনের আয়োজন করা হয়। সেখানে জায়গার কোনো সমস্যা নেই। সাত কলেজ নয়; বরং ৭০ কলেজ হলেও সেখানে শিক্ষার্থীদের জায়গা হবে।

সাত কলেজের গ্র্যাজুয়েটদের অন্তত সমাবর্তনের এ একটা দিনে সরাসরি মহামান্য রাষ্ট্রপতির কথা শোনার এবং মৌলিক একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার আশা থাকে। তাছাড়া শিক্ষাজীবনের এমন প্রতীক্ষিত একটি দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসের গ্র্যাজুয়েটরা এ নিয়ে কোনো দ্বিমত করবেন বলে আমার মনে হয় না। কারণ সেখান থেকেই প্রশ্নপত্র, ফলাফল, খাতা মূল্যায়ন, সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়। সর্বোপরি, সাত কলেজ পরিচালিত হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই। এতদিনের শিক্ষাজীবন শেষে এই একটি দিনে সাত কলেজের গ্রাজুয়েট শিক্ষার্থীরা অন্তত এটুকু আশা করতেই পারেন-প্রাণের অঙ্গনে সবাই মিলিত হয়ে সমাবর্তনে অংশ নিয়ে স্বীকৃতি গ্রহণ করবেন। তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও সরকারের প্রতি বিশেষ অনুরোধ-অধিভুক্ত সাত কলেজের জন্য সুন্দর ও সমালোচনামুক্ত একটি সমাবর্তনের আয়োজন করা হোক।

ভার্চুয়াল সমাবর্তন চায় না সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা

তুফান মাজহার খান

সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ওয়েবসাইটে ৫৩তম সমাবর্তনের ঘোষণা দিয়েছে। সমাবর্তনটি অনুষ্ঠিত হবে চলতি বছরের ১৯ নভেম্বর। এবারও সমাবর্তনে অংশ নিতে পারবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজের গ্রাজুয়েট শিক্ষার্থীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩তম সমাবর্তনে অংশগ্রহণের জন্য আবেদনের শেষ তারিখ ২৬ অক্টোবর। নির্ধারিত ফি প্রদানপূর্বক অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করে সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং সাত কলেজের গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীরা। এবারের সমাবর্তনে বক্তা হিসাবে উপস্থিত থাকবেন নোবেল বিজয়ী ফরাসি অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. জ্যাঁ তিরোল।

সবকিছু ঠিক থাকলেও আপত্তি আছে বড় একটি জায়গায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করতে চান না সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাদের এ দাবির কারণ হলো-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য তাদের ক্যাম্পাসে সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হলেও সাত কলেজে হয় অন্যরকম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত সমাবর্তনে প্রধান অতিথি, আচার্য ও মাহামান্য রাষ্ট্রপতি উপস্থিত থাকেন সশরীরে। অথচ সাত কলেজের সমাবর্তনে প্রধান অতিথি ও রাষ্ট্রপতিকে দেখানো হয় পর্দায়; অর্থাৎ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে। সাত কলেজের পক্ষে ঢাকা কলেজ ও ইডেন মহিলা কলেজ ক্যাম্পাসে আলাদা দুটি ভেন্যু করা হলেও মঞ্চ থাকে ফাঁকা। টেলিভিশন দেখার মতো হা করে পর্দায় তাকিয়ে দেখতে হয় সমাবর্তন অনুষ্ঠান। আর এ বৈষম্য নিয়েই যত প্রশ্ন সাত কলেজের সদ্য গ্রাজুয়েট শিক্ষার্থীদের। তারা এমন সমাবর্তন চান না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ৫১তম সমাবর্তন থেকে যুক্ত হয়েছেন অধিভুক্ত সাত কলেজের গ্রাজুয়েট শিক্ষার্থীরাও। এ রকম সমাবর্তন পদ্ধতিকে অধিভুক্ত কলেজের গ্রাজুয়েট শিক্ষার্থীরা বলছেন ‘স্ক্রিন সমাবর্তন’। বিগত দুটি সমাবর্তন অনুষ্ঠান সুন্দরভাবে সম্পন্ন হলেও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়া ছিল চোখে পড়ার মতো। তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও নিজস্ব গ্রুপগুলোয় চরম সমালোচনা করেছেন এ পদ্ধতির। তাদের এ প্রতিক্রিয়া দেখে বোঝা যায়-তারা এ ডিজিটাল সমাবর্তনে একেবারেই সন্তুষ্ট নন। অধিকাংশ শিক্ষার্থী বলেছেন, সমাবর্তনের জন্য সমান ফি পরিশোধ করার পরও তাদের জন্য কোনো সম্মানিত অতিথির উপস্থিতি ছাড়াই এরূপ বৈষম্যমূলক ‘স্ক্রিন সমাবর্তন’ করে সম্মান নয়; বরং অপমানই করা হচ্ছে। অনেকে এ পদ্ধতির বিরোধিতা করে গত দুই সমাবর্তনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থেকেছেন। এ নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনাও করেছেন তারা। ‘ঢাবির অধিভুক্ত সাত কলেজ’ নামক ৪ লাখ ১৯ হাজার শিক্ষার্থীর একটি গ্রুপে এমন সমাবর্তন পদ্ধতির বিরোধিতা করে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে অসংখ্য পোস্ট করা হয়েছে এবং ক্রমাগত পোস্টের পর পোস্ট চলছেই। পোস্টের কমেন্টগুলোয় এ পদ্ধতির বিপক্ষে মত দিচ্ছেন অধিকাংশ শিক্ষার্থী। এ নিয়ে গ্রুপের একটি পোস্টে সাইফুল ইসলাম সাকিব নামের একজন গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থী মন্তব্য করেছেন-ডিজিটাল সমাবর্তন মানা যায় না। স্থান সংকুলান না হলে প্রয়োজনে বড় কোনো ভেন্যুতে করা হোক। তারপরও সরাসরি সমাবর্তন করা হোক। একই পোস্টে আনিসুজ্জামান আকাশ নামের অপর এক গ্রাজুয়েট শিক্ষার্থী মন্তব্য করেন-ডিজিটাল সমাবর্তন কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। প্রয়োজনে আলাদা আয়োজন করতে হবে। ঢাকা কলেজ প্রাঙ্গণে অনেক জায়গা, সেখানে হতে পারে। ডিজিটাল সমাবর্তন এক রকম অপমান। প্রয়োজনে অধিকার আদায়ে কঠোরতম আন্দোলন করতে হবে।

সেখানে একজন শিক্ষার্থী সাত কলেজের গ্র্যাজুয়েটরা এ সমাবর্তনে অংশ নেবেন কি না-এ সম্পর্কিত একটি পোল চালু করেছিলেন, যার মধ্যে শতকরা ৯০ ভাগ ভোট পড়েছে ‘না’-এর ঘরে। হয়তো শেষ পর্যন্ত সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা নিরুপায় হয়ে সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করবেন; তবে এরূপ বৈষম্যমূলক আচরণের জন্য তাদের মনে ক্ষোভ এবং হীনম্মন্যতা থেকেই যাবে।

ডিজিটাল সমাবর্তনে অংশ নেওয়া গ্র্যাজুয়েট এবং সাত কলেজের ভবিষ্যৎ গ্রাজুয়েটদের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলতে চাই-সাত কলেজের গ্র্যাজুয়েটদের নিয়ে যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে সমাবর্তন করতে তাদের সম্মানে বাধে, তাহলে যেন শুধু সাত কলেজ নিয়ে আলাদাভাবে সমাবর্তন করা হয়। আর যদি জায়গা না হওয়ার অজুহাত থাকে, তাহলে যেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবর্তনের আয়োজন করা হয়। সেখানে জায়গার কোনো সমস্যা নেই। সাত কলেজ নয়; বরং ৭০ কলেজ হলেও সেখানে শিক্ষার্থীদের জায়গা হবে।

সাত কলেজের গ্র্যাজুয়েটদের অন্তত সমাবর্তনের এ একটা দিনে সরাসরি মহামান্য রাষ্ট্রপতির কথা শোনার এবং মৌলিক একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার আশা থাকে। তাছাড়া শিক্ষাজীবনের এমন প্রতীক্ষিত একটি দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসের গ্র্যাজুয়েটরা এ নিয়ে কোনো দ্বিমত করবেন বলে আমার মনে হয় না। কারণ সেখান থেকেই প্রশ্নপত্র, ফলাফল, খাতা মূল্যায়ন, সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়। সর্বোপরি, সাত কলেজ পরিচালিত হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই। এতদিনের শিক্ষাজীবন শেষে এই একটি দিনে সাত কলেজের গ্রাজুয়েট শিক্ষার্থীরা অন্তত এটুকু আশা করতেই পারেন-প্রাণের অঙ্গনে সবাই মিলিত হয়ে সমাবর্তনে অংশ নিয়ে স্বীকৃতি গ্রহণ করবেন। তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও সরকারের প্রতি বিশেষ অনুরোধ-অধিভুক্ত সাত কলেজের জন্য সুন্দর ও সমালোচনামুক্ত একটি সমাবর্তনের আয়োজন করা হোক।