মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

মাওলানা ভাসানীর চেতনা ও বিশ্বাসের উপর সেমিনার 

সেমিনারে বক্তব্য দিচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেন।
শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন ডেস্ক 
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘মাওলানা ভাসানীর চেতনা ও বিশ্বাস’ শীর্ষক এক সেমিনার আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সেমিনার হলে অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ আর এম সোলাইমান। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাওলানা ভাসানী স্টাডিজ কোর্সের শিক্ষক ও মাওলানা ভাসানীর ঘনিষ্ঠ সহচর সৈয়দ ইরফানুল বারী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও  প্রেস প্রকাশানা দপ্তরের উপ-পরিচালক মো. সামছুল আলম শিবলীর পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মুখ্য আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুস্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মো. আক্তারুজ্জামান। সভাপতিত্ব করেন মাওলানা ভাসানীর ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সেমিনার উপ-কমিটির আহবায়ক ও মাওলানা ভাসানী রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আজিজুল হক।
অন্যান্যদের মধ্যে আলোচনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইফ সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুল হক, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আনিসুর রহমান, ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোছা. নুরজাহান খাতুন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মোহা. তৌহিদুল ইসলাম। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সেমিনার আয়োজন কমিটির সদস্য-সচিব ড. মো. ইশতিয়াক আহমেদ তালুকদার। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুমনা শারমিন।
সেমিনারে আলোচক ও অতিথিবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে বক্তাগণ বলেন, মাওলানা আজীবন সমাজের নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের পক্ষে থেকেছেন। মানুষের প্রতি দরদ-ভালোবাসাই ছিল তাঁর রাজনীতির মূলে। যথাযথই তিনি ছিলেন মজলুম জননেতা। তিনি সমাজতান্ত্রিক সমাজ চাইতেন ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার মানসে। শিক্ষা নয়, তত্ত্ব নয়- নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই বুঝে নিয়েছিলেন সমাজ-বিপ্লব ছাড়া সমাজতন্ত্র আসবে না।
পুথিঁগত বিদ্যায় বিদ্বান ছিলেন না তিনি। কিন্তু ছিলেন একজন প্রজ্ঞাবান রাজনৈতিক নেতা। তিনি অসাম্প্রদায়িক ছিলেন পুরোপুরি, নিজ ধর্ম বিশ্বাসের প্রতি অনুগত থেকেও। কারণ, তিনি মনে-প্রাণে বিশ্বাস করতেন, ধর্ম সব মানুষের জন্য, শুধুমাত্র ধর্মের অনসুারীদের জন্য নয়।
এতদূর তিনি অগ্রসর ছিলেন এজন্যে যে, তিনি ইসলামের আচার-সর্বস্ব অনসুারী ছিলেন না, তিনি সুফিবাদে বিশ্বাসী এবং একজন সুফি-ইসলামের অনুশীলনকারী। এভাবেই তিনি উদার, মানবতাবাদী, অসাম্প্রদায়িক এবং ধর্মনিরপেক্ষ ছিলেন।
সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা – কর্মচারিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
এমবিএইচ/এসএস

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

মাওলানা ভাসানীর চেতনা ও বিশ্বাসের উপর সেমিনার 

সেমিনারে বক্তব্য দিচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেন।
শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন ডেস্ক 
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘মাওলানা ভাসানীর চেতনা ও বিশ্বাস’ শীর্ষক এক সেমিনার আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সেমিনার হলে অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ আর এম সোলাইমান। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাওলানা ভাসানী স্টাডিজ কোর্সের শিক্ষক ও মাওলানা ভাসানীর ঘনিষ্ঠ সহচর সৈয়দ ইরফানুল বারী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও  প্রেস প্রকাশানা দপ্তরের উপ-পরিচালক মো. সামছুল আলম শিবলীর পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মুখ্য আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুস্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মো. আক্তারুজ্জামান। সভাপতিত্ব করেন মাওলানা ভাসানীর ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সেমিনার উপ-কমিটির আহবায়ক ও মাওলানা ভাসানী রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আজিজুল হক।
অন্যান্যদের মধ্যে আলোচনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইফ সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুল হক, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আনিসুর রহমান, ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোছা. নুরজাহান খাতুন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মোহা. তৌহিদুল ইসলাম। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সেমিনার আয়োজন কমিটির সদস্য-সচিব ড. মো. ইশতিয়াক আহমেদ তালুকদার। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুমনা শারমিন।
সেমিনারে আলোচক ও অতিথিবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে বক্তাগণ বলেন, মাওলানা আজীবন সমাজের নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের পক্ষে থেকেছেন। মানুষের প্রতি দরদ-ভালোবাসাই ছিল তাঁর রাজনীতির মূলে। যথাযথই তিনি ছিলেন মজলুম জননেতা। তিনি সমাজতান্ত্রিক সমাজ চাইতেন ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার মানসে। শিক্ষা নয়, তত্ত্ব নয়- নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই বুঝে নিয়েছিলেন সমাজ-বিপ্লব ছাড়া সমাজতন্ত্র আসবে না।
পুথিঁগত বিদ্যায় বিদ্বান ছিলেন না তিনি। কিন্তু ছিলেন একজন প্রজ্ঞাবান রাজনৈতিক নেতা। তিনি অসাম্প্রদায়িক ছিলেন পুরোপুরি, নিজ ধর্ম বিশ্বাসের প্রতি অনুগত থেকেও। কারণ, তিনি মনে-প্রাণে বিশ্বাস করতেন, ধর্ম সব মানুষের জন্য, শুধুমাত্র ধর্মের অনসুারীদের জন্য নয়।
এতদূর তিনি অগ্রসর ছিলেন এজন্যে যে, তিনি ইসলামের আচার-সর্বস্ব অনসুারী ছিলেন না, তিনি সুফিবাদে বিশ্বাসী এবং একজন সুফি-ইসলামের অনুশীলনকারী। এভাবেই তিনি উদার, মানবতাবাদী, অসাম্প্রদায়িক এবং ধর্মনিরপেক্ষ ছিলেন।
সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা – কর্মচারিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
এমবিএইচ/এসএস