যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষা: কমনওয়েলথ শেয়ার্ড স্কলারশিপ

ছবি: সংগৃহীত

কমনওয়েলথ বৃত্তিগুলোর অন্তর্ভুক্ত অন্যতম একটি স্কলারশিপ হলো কমনওয়েলথ শেয়ার্ড স্কলারশিপ। সাধারণত অনুন্নত ও নিম্নমধ্যম আয়ের কমনওয়েলথভুক্ত দেশের শিক্ষার্থীরা এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভের সুযোগ পাবেন।ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ডিএফআইডি) এবং যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব বার্মিংহামের যৌথ উদ্যোগ হলো এই কমনওয়েলথ শেয়ার্ড স্কলারশিপ স্কিম। কমনওয়েলথভুক্ত উন্নয়নশীল দেশগুলোর অনেক শিক্ষার্থীই অর্থনৈতিক দৈন্যের কারণে যুক্তরাজ্যে অধ্যয়ন করতে পারেন না। যার কারণে এই স্কলারশিপ দেওয়া হয়।

স্কলারশিপ দেওয়ার ছয়টি বিষয়বস্তু রয়েছে:

  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়ন।
  • স্বাস্থ্যব্যবস্থা এবং ক্ষমতার শক্তিশালীকরণ।
  • বৈশ্বিক সমৃদ্ধি প্রচার।
  • বৈশ্বিক শান্তি।
  • নিরাপত্তা শক্তিশালীকরণ।
  • স্থিতিস্থাপকতা এবং সংকট প্রতিক্রিয়া শক্তিশালীকরণ।
  • অন্তর্ভুক্তি ও সুযোগ।

সুযোগ-সুবিধা

  • সম্পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ
  • যুক্তরাজ্যে যাওয়ার এবং পড়ালেখা শেষে বাংলাদেশে ফিরে আসার বিমান ভাড়া দেওয়া হবে।
  • প্রতি মাসে ১১৩৩ ব্রিটিশ পাউন্ড (প্রায় ১৩০০০০ টাকা) স্টাইপেন্ড দেওয়া হবে। তবে মেট্রোপলিটন এলাকায় বসবাসকারীদের জন্য তা ১৩৯০ ব্রিটিশ পাউন্ড।
    থিসিস গ্রান্ট হিসেবে ২২৫ ব্রিটিশ পাউন্ড অনুদান দেওয়া হবে।
  • ২০০ ব্রিটিশ পাউন্ড ভ্রমণ ভাতা প্রদান করবে।
  • বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত অথবা একক পিতা বা মাতা হলে প্রথম সন্তানের জন্য প্রতি মাসে ৪৭৮ ব্রিটিশ পাউন্ড এবং ১৬ বছরের কম বয়সী দ্বিতীয় ও তৃতীয় সন্তানের জন্য প্রতি মাসে ১১৮ ব্রিটিশ পাউন্ড দেওয়া হবে।
  • প্রয়োজন অনুসারে গরম কাপড়ের জন্য অনুদান।
  • পড়া শেষে বাংলাদেশে আসার জন্য ব্যাগেজ খরচ।
  • টিবি টেস্টের খরচ (যদি প্রযোজ্য হয়)।
  • শিক্ষা সফরের জন্য অনুদান।

আবেদনের যোগ্যতা

  • কমনওয়েলথভুক্ত দেশের নাগরিক হতে হবে।
  • ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর সেশনে যুক্তরাজ্যে লেখাপড়া শুরু করার সক্ষমতা থাকতে হবে।
  • ব্যাচেলর প্রোগ্রামে সিজিপিএ কমপক্ষে ৩.৩০ থাকতে হবে। যদি সিজিপিএ ২.৭০-৩. ২৯ হয়ে থাকে এবং সেই বিষয়ের ওপর মাস্টার্স ডিগ্রি থাকে, তাহলে আবেদন করা যাবে।
  • উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে এক বছর বা তার বেশি লেখাপড়া অথবা কাজ করলে, এই স্কলারশিপে আবেদন করা যাবে না। যুক্তরাজ্যের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে এই স্কলারশিপ ছাড়া লেখাপড়া করার সামর্থ্য থাকা যাবে না।
  • প্রয়োজনীয় সব ডকুমেন্টস নির্ধারিত ফরম্যাটে (যদি থাকে) জমা দিতে হবে।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

  • আইইএলটিএস/ টোয়েফল/পিটিইর সনদ।
  • পাসপোর্ট।
  • শিক্ষাগত ট্রান্সক্রিপ্ট।
  • একাডেমিক ডিগ্রির সার্টিফিকেট।
  • ৩টি রেফারেন্স লেটার।
  • ৬৫০ শব্দের ডেভেলপমেন্ট ইনকাম স্টেটমেন্ট।
  • ৪২৫ শব্দের মধ্যে স্টাডি প্ল্যান।
  • ৫০০ শব্দের মাঝে স্টাডি প্ল্যান।
  • ৭৫০ শব্দের ভেতর ক্যারিয়ার প্ল্যান।

আবেদনের প্রক্রিয়া
সিএসসির অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন সিস্টেম ব্যবহার করে আবেদন করতে হবে। একাধিক কোর্স অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আবেদন করা যাবে, তবে কেবলমাত্র একটি স্কলারশিপের প্রস্তাবই গ্রহণ করতে হবে।

ওয়েবসাইট

আবেদনের শেষ সময়: ১৫ ডিসেম্বর, ২০২২

অনুবাদ: মুসাররাত আবির

যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষা: কমনওয়েলথ শেয়ার্ড স্কলারশিপ

ছবি: সংগৃহীত

কমনওয়েলথ বৃত্তিগুলোর অন্তর্ভুক্ত অন্যতম একটি স্কলারশিপ হলো কমনওয়েলথ শেয়ার্ড স্কলারশিপ। সাধারণত অনুন্নত ও নিম্নমধ্যম আয়ের কমনওয়েলথভুক্ত দেশের শিক্ষার্থীরা এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভের সুযোগ পাবেন।ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ডিএফআইডি) এবং যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব বার্মিংহামের যৌথ উদ্যোগ হলো এই কমনওয়েলথ শেয়ার্ড স্কলারশিপ স্কিম। কমনওয়েলথভুক্ত উন্নয়নশীল দেশগুলোর অনেক শিক্ষার্থীই অর্থনৈতিক দৈন্যের কারণে যুক্তরাজ্যে অধ্যয়ন করতে পারেন না। যার কারণে এই স্কলারশিপ দেওয়া হয়।

স্কলারশিপ দেওয়ার ছয়টি বিষয়বস্তু রয়েছে:

  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়ন।
  • স্বাস্থ্যব্যবস্থা এবং ক্ষমতার শক্তিশালীকরণ।
  • বৈশ্বিক সমৃদ্ধি প্রচার।
  • বৈশ্বিক শান্তি।
  • নিরাপত্তা শক্তিশালীকরণ।
  • স্থিতিস্থাপকতা এবং সংকট প্রতিক্রিয়া শক্তিশালীকরণ।
  • অন্তর্ভুক্তি ও সুযোগ।

সুযোগ-সুবিধা

  • সম্পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ
  • যুক্তরাজ্যে যাওয়ার এবং পড়ালেখা শেষে বাংলাদেশে ফিরে আসার বিমান ভাড়া দেওয়া হবে।
  • প্রতি মাসে ১১৩৩ ব্রিটিশ পাউন্ড (প্রায় ১৩০০০০ টাকা) স্টাইপেন্ড দেওয়া হবে। তবে মেট্রোপলিটন এলাকায় বসবাসকারীদের জন্য তা ১৩৯০ ব্রিটিশ পাউন্ড।
    থিসিস গ্রান্ট হিসেবে ২২৫ ব্রিটিশ পাউন্ড অনুদান দেওয়া হবে।
  • ২০০ ব্রিটিশ পাউন্ড ভ্রমণ ভাতা প্রদান করবে।
  • বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত অথবা একক পিতা বা মাতা হলে প্রথম সন্তানের জন্য প্রতি মাসে ৪৭৮ ব্রিটিশ পাউন্ড এবং ১৬ বছরের কম বয়সী দ্বিতীয় ও তৃতীয় সন্তানের জন্য প্রতি মাসে ১১৮ ব্রিটিশ পাউন্ড দেওয়া হবে।
  • প্রয়োজন অনুসারে গরম কাপড়ের জন্য অনুদান।
  • পড়া শেষে বাংলাদেশে আসার জন্য ব্যাগেজ খরচ।
  • টিবি টেস্টের খরচ (যদি প্রযোজ্য হয়)।
  • শিক্ষা সফরের জন্য অনুদান।

আবেদনের যোগ্যতা

  • কমনওয়েলথভুক্ত দেশের নাগরিক হতে হবে।
  • ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর সেশনে যুক্তরাজ্যে লেখাপড়া শুরু করার সক্ষমতা থাকতে হবে।
  • ব্যাচেলর প্রোগ্রামে সিজিপিএ কমপক্ষে ৩.৩০ থাকতে হবে। যদি সিজিপিএ ২.৭০-৩. ২৯ হয়ে থাকে এবং সেই বিষয়ের ওপর মাস্টার্স ডিগ্রি থাকে, তাহলে আবেদন করা যাবে।
  • উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে এক বছর বা তার বেশি লেখাপড়া অথবা কাজ করলে, এই স্কলারশিপে আবেদন করা যাবে না। যুক্তরাজ্যের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে এই স্কলারশিপ ছাড়া লেখাপড়া করার সামর্থ্য থাকা যাবে না।
  • প্রয়োজনীয় সব ডকুমেন্টস নির্ধারিত ফরম্যাটে (যদি থাকে) জমা দিতে হবে।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

  • আইইএলটিএস/ টোয়েফল/পিটিইর সনদ।
  • পাসপোর্ট।
  • শিক্ষাগত ট্রান্সক্রিপ্ট।
  • একাডেমিক ডিগ্রির সার্টিফিকেট।
  • ৩টি রেফারেন্স লেটার।
  • ৬৫০ শব্দের ডেভেলপমেন্ট ইনকাম স্টেটমেন্ট।
  • ৪২৫ শব্দের মধ্যে স্টাডি প্ল্যান।
  • ৫০০ শব্দের মাঝে স্টাডি প্ল্যান।
  • ৭৫০ শব্দের ভেতর ক্যারিয়ার প্ল্যান।

আবেদনের প্রক্রিয়া
সিএসসির অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন সিস্টেম ব্যবহার করে আবেদন করতে হবে। একাধিক কোর্স অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আবেদন করা যাবে, তবে কেবলমাত্র একটি স্কলারশিপের প্রস্তাবই গ্রহণ করতে হবে।

ওয়েবসাইট

আবেদনের শেষ সময়: ১৫ ডিসেম্বর, ২০২২

অনুবাদ: মুসাররাত আবির