রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে বেগম রোকেয়া দিবস উদযাপন

অতিথিদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শাহ্ আজম। 

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন ডেস্ক 

নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার জন্মদিন উপলক্ষে গতকাল বেগম রোকেয়া দিবস উদযাপন কমিটির আয়োজনে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শাহ্ আজম। উপাচার্য বলেন, নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে গেলে নারীকে শুধুমাত্র অফিসের কাজ-কর্ম করার সুযোগ দিলেই হবে না, আমাদের মানসিকতারও পরিবর্তন করতে হবে।

বক্তব্য দিচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শাহ্ আজম। 

তিনি আরও বলেন, যে প্রাচীনত্ব ও হিংস্রতা আমাদের মধ্যে ছিল সেখান থেকে বের হয়ে এসে একটি দেশকে পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়া, রাষ্ট্রের নেতৃত্ব দেওয়া- সেই কাজটি বাংলাদেশ করতে পেরেছে, আর সেই কারণেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জননেত্রী হয়েছেন, তিনি অনন্য হয়েছেন। বিশ্বে তাঁর একটি সুনাম তৈরি হয়েছে, বিশ্বে তিনি একজন প্রভাবশালী নেতা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন। কারণ, তিনি বাংলাদেশের নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের একটি বিপুল পরিবর্তন করেছেন এবং নারীদের যে ক্ষমতায়ন সেই ক্ষমতায়নের একটি বিপ্লব ঘটিয়েছেন। এটি বাংলাদেশের একটি অর্জন এবং এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বিস্ময় সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশ যে প্রাচীনতা থেকে আধুনিক ধারায় গিয়েছে; আমাদের টেকনোলজিক্যাল ডেভেলপমেন্ট হয়েছে; আমাদের যে অর্থনৈতিক পরিবর্তন হচ্ছে, আমরা মধ্য আয়ের দেশে যাচ্ছি, তার থেকেও একটি বড় উন্নয়ন ঘটেছে সেটি হচ্ছে জননেত্রী শেখ হাসিনা নারীর ক্ষমতায়নে বিশেষ অবদান রেখেছেন। আমাদের বিশ্বাস রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ব্রত নেবে আজকের এই রোকেয়া দিবস থেকে আমরা নারীকে নারী নয় আমরা নারীকে সহকর্মী হিসেবে দেখতে চাই, নারীকে মানুষ হিসেবে দেখতে চাই, ব্যক্তি হিসেবে দেখতে চাই।

অতিথিকে ফুল দিয়ে বরণ করছেন উপাচার্য। 

আলোচক হিসেবে বেগম রোকেয়ার জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করেন নারী আন্দোলনের সংগঠক অ্যাডভোকেট দিল সিতারা বেগম (চুনি)।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শাহ্ আলীর পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় মহিলা ক্লাবের সভাপতি ড. নাসরিন লুবনা। সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, ৯৯ ভাগ নারী পেছনে পড়ে আছে। বেগম রোকেয়া বলেছেন, ‘আমরা সহযোগিতা না পেয়ে পশ্চাদগামী হয়েছি’। আমরা যদি সকলে এই শপথ করি যে, আজকে থেকে কন্যা শিশুর উন্নয়নের জন্য সমস্ত রকম সুবিধা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করব এবং শিশুর মাকে তার যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করব।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. সোহরাব আলী, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো. ফখরুল ইসলাম, সকল বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

এমবিএইচ/এসএস

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে বেগম রোকেয়া দিবস উদযাপন

অতিথিদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শাহ্ আজম। 

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন ডেস্ক 

নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার জন্মদিন উপলক্ষে গতকাল বেগম রোকেয়া দিবস উদযাপন কমিটির আয়োজনে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শাহ্ আজম। উপাচার্য বলেন, নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে গেলে নারীকে শুধুমাত্র অফিসের কাজ-কর্ম করার সুযোগ দিলেই হবে না, আমাদের মানসিকতারও পরিবর্তন করতে হবে।

বক্তব্য দিচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শাহ্ আজম। 

তিনি আরও বলেন, যে প্রাচীনত্ব ও হিংস্রতা আমাদের মধ্যে ছিল সেখান থেকে বের হয়ে এসে একটি দেশকে পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়া, রাষ্ট্রের নেতৃত্ব দেওয়া- সেই কাজটি বাংলাদেশ করতে পেরেছে, আর সেই কারণেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জননেত্রী হয়েছেন, তিনি অনন্য হয়েছেন। বিশ্বে তাঁর একটি সুনাম তৈরি হয়েছে, বিশ্বে তিনি একজন প্রভাবশালী নেতা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন। কারণ, তিনি বাংলাদেশের নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের একটি বিপুল পরিবর্তন করেছেন এবং নারীদের যে ক্ষমতায়ন সেই ক্ষমতায়নের একটি বিপ্লব ঘটিয়েছেন। এটি বাংলাদেশের একটি অর্জন এবং এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বিস্ময় সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশ যে প্রাচীনতা থেকে আধুনিক ধারায় গিয়েছে; আমাদের টেকনোলজিক্যাল ডেভেলপমেন্ট হয়েছে; আমাদের যে অর্থনৈতিক পরিবর্তন হচ্ছে, আমরা মধ্য আয়ের দেশে যাচ্ছি, তার থেকেও একটি বড় উন্নয়ন ঘটেছে সেটি হচ্ছে জননেত্রী শেখ হাসিনা নারীর ক্ষমতায়নে বিশেষ অবদান রেখেছেন। আমাদের বিশ্বাস রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ব্রত নেবে আজকের এই রোকেয়া দিবস থেকে আমরা নারীকে নারী নয় আমরা নারীকে সহকর্মী হিসেবে দেখতে চাই, নারীকে মানুষ হিসেবে দেখতে চাই, ব্যক্তি হিসেবে দেখতে চাই।

অতিথিকে ফুল দিয়ে বরণ করছেন উপাচার্য। 

আলোচক হিসেবে বেগম রোকেয়ার জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করেন নারী আন্দোলনের সংগঠক অ্যাডভোকেট দিল সিতারা বেগম (চুনি)।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শাহ্ আলীর পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় মহিলা ক্লাবের সভাপতি ড. নাসরিন লুবনা। সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, ৯৯ ভাগ নারী পেছনে পড়ে আছে। বেগম রোকেয়া বলেছেন, ‘আমরা সহযোগিতা না পেয়ে পশ্চাদগামী হয়েছি’। আমরা যদি সকলে এই শপথ করি যে, আজকে থেকে কন্যা শিশুর উন্নয়নের জন্য সমস্ত রকম সুবিধা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করব এবং শিশুর মাকে তার যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করব।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. সোহরাব আলী, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো. ফখরুল ইসলাম, সকল বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

এমবিএইচ/এসএস