রাবি ক্যাম্পাসে অন্যরকম ‘গায়ে হলুদ’

রাবি প্রতিনিধি
বাঁশের ডালা, কুলা, চালুন ও মাটির সরা, ঘড়া, মটকা দিয়ে বিয়ের বাড়ির আমেজ তৈরি করা হয়েছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মাদারবখশ হলের পুকুরপাড়। নিজ ক্যাম্পাসে এভাবেই বর-কনের সাজে বসে আছেন আকিবুল ইসলাম ও সাদিয়া আফরোজ। তরুণ-তরুণীর হলদে শাড়ি ও পাঞ্জাবিতে চোখ আটকে যায় যে কারো।

শুক্রবার (২১ অক্টোবর) চিরাচরিত নিয়মেই আকিবুল ও সাদিয়াকে হলুদ-মেহেদি মাখিয়ে সকল আনুষ্ঠানিকতা করেন তাদের সহপাঠীরা। হলুদ, মেহেদি, মিষ্টান্ন, ফলমূলসহ কোনো কিছুরই কমতি ছিল না সেখানে। বন্ধুদের এমন আয়োজনে উচ্ছ্বসিত বর-কনে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়,  বর আকিবুল ইসলাম আকিব বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের মাস্টার্সে পড়ছেন। তার বাসা শেরপুরে। পড়াশোনা পাশাপাশি তিনি একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত। আকিবুল হাসান পড়াশোনার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে সক্রিয় ছিলেন। সর্বশেষ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স ক্লাবের সহ-সভাপতি হিসাবে দায়িত্বও পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি সংগঠনটির আজীবন সদস্য হিসাবে আছেন।

এদিকে কনে সাদিয়া আফরোজ শৈলী বিশ্ববিদ্যালয়ের একই বিভাগের মাস্টার্সে পড়ছেন।

তার বাসা রাজশাহীর পদ্মা আবাসিক এলাকায়। দুই পরিবারের সম্মতিতেই তাদের বিয়ে হচ্ছে বলে জানান তারা। বিয়েতে বড় ভাই, ক্যাম্পাসের বন্ধু-বান্ধব ও জুনিয়ররা উপস্থিত ছিলেন।

নিজ ক্যাম্পাসে ব্যতিক্রমী এই আয়োজন সম্পর্কে বর আকিবুল ইসলাম আকিব বলেন, ‘আমি অনেক আনন্দিত, কারণ আমার ইচ্ছে পূরণ হয়েছে। আমার খুব ইচ্ছে ছিল আমার বিয়ে ব্যতিক্রমী করতে। ক্যাম্পাসে গায়ে হলুদ করার ইচ্ছা ছিলো অনেক আগে থেকেই। বন্ধু-বান্ধব ও ছোটভাইরা মিলে আমার সেই আশা পূরণ করলো। সকলের এতো ব্যস্ততা থাকার পরেও এই আয়োজন উপলক্ষে এসেছে, আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞ। ক্যাম্পাসের সকলকে এক সাথে পেয়ে আমিই খুবই আনন্দিত। বাড়িতে হলে সকলকে একসাথে পাওয়া যেতো না।

অনুভূতির বিষয়ে কনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিজেকে খুবই সৌভাগ্যবতী মনে হচ্ছে। একজন মেয়ের কাছে তার গায়ে হলুদ অনেক বড় একটা মুহূর্ত। ক্যাম্পাসে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান হবে কখনও ভাবিনি। আমি অনেক বেশি আনন্দিত। আমাদের জন্য দোয়া করবেন।

এই অনুষ্ঠানের প্রধান আয়োজক বরের বন্ধু আবিদ হাসান বলেন, ‘বাড়ি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরত্ব অনেক বেশি হওয়ায় অনেক আত্মীয়ের বিয়েতে যাওয়া হয় না। বন্ধু আকিব যখন রাজশাহী বিয়ে করছে, আমরা সব বন্ধুরা মিলে আলোচনা করে আয়োজনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরেই করি। এরকম আয়োজন করার কোন অভিজ্ঞতা অতীতে আমাদের ছিলো না৷ এই আয়োজন ব্যতিক্রম এবং আনাড়ি হলেও বন্ধু, বড়ভাই ছোটভাই সকলের কাছে এর আনন্দ ছিলো সীমাহীন। স্মৃতিবিজড়িত এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান আমাদের মধ্যকার সৌহার্দ্যের ও ভালোবাসার প্রতিচ্ছবি।

এই গায়ে হলুদ প্রোগ্রামের অন্যতম আয়োজক ছিলেন বরের আরেক বন্ধু ইসতেহার আলি।
তিনি বলেন, ‘বন্ধুবান্ধব মিলে ক্যাম্পাসে গায়ে হলুদ করার মধ্যে একটা অন্যরকম আনন্দ আছে। ভালবাসার জায়গায় বন্ধুর গায়ে হলুদ হচ্ছে বলে ভালো লাগছে। তার দাম্পত্য জীবনের জন্য শুভ কামনা রইলো।

রাবি ক্যাম্পাসে অন্যরকম ‘গায়ে হলুদ’

রাবি প্রতিনিধি
বাঁশের ডালা, কুলা, চালুন ও মাটির সরা, ঘড়া, মটকা দিয়ে বিয়ের বাড়ির আমেজ তৈরি করা হয়েছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মাদারবখশ হলের পুকুরপাড়। নিজ ক্যাম্পাসে এভাবেই বর-কনের সাজে বসে আছেন আকিবুল ইসলাম ও সাদিয়া আফরোজ। তরুণ-তরুণীর হলদে শাড়ি ও পাঞ্জাবিতে চোখ আটকে যায় যে কারো।

শুক্রবার (২১ অক্টোবর) চিরাচরিত নিয়মেই আকিবুল ও সাদিয়াকে হলুদ-মেহেদি মাখিয়ে সকল আনুষ্ঠানিকতা করেন তাদের সহপাঠীরা। হলুদ, মেহেদি, মিষ্টান্ন, ফলমূলসহ কোনো কিছুরই কমতি ছিল না সেখানে। বন্ধুদের এমন আয়োজনে উচ্ছ্বসিত বর-কনে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়,  বর আকিবুল ইসলাম আকিব বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের মাস্টার্সে পড়ছেন। তার বাসা শেরপুরে। পড়াশোনা পাশাপাশি তিনি একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত। আকিবুল হাসান পড়াশোনার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে সক্রিয় ছিলেন। সর্বশেষ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স ক্লাবের সহ-সভাপতি হিসাবে দায়িত্বও পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি সংগঠনটির আজীবন সদস্য হিসাবে আছেন।

এদিকে কনে সাদিয়া আফরোজ শৈলী বিশ্ববিদ্যালয়ের একই বিভাগের মাস্টার্সে পড়ছেন।

তার বাসা রাজশাহীর পদ্মা আবাসিক এলাকায়। দুই পরিবারের সম্মতিতেই তাদের বিয়ে হচ্ছে বলে জানান তারা। বিয়েতে বড় ভাই, ক্যাম্পাসের বন্ধু-বান্ধব ও জুনিয়ররা উপস্থিত ছিলেন।

নিজ ক্যাম্পাসে ব্যতিক্রমী এই আয়োজন সম্পর্কে বর আকিবুল ইসলাম আকিব বলেন, ‘আমি অনেক আনন্দিত, কারণ আমার ইচ্ছে পূরণ হয়েছে। আমার খুব ইচ্ছে ছিল আমার বিয়ে ব্যতিক্রমী করতে। ক্যাম্পাসে গায়ে হলুদ করার ইচ্ছা ছিলো অনেক আগে থেকেই। বন্ধু-বান্ধব ও ছোটভাইরা মিলে আমার সেই আশা পূরণ করলো। সকলের এতো ব্যস্ততা থাকার পরেও এই আয়োজন উপলক্ষে এসেছে, আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞ। ক্যাম্পাসের সকলকে এক সাথে পেয়ে আমিই খুবই আনন্দিত। বাড়িতে হলে সকলকে একসাথে পাওয়া যেতো না।

অনুভূতির বিষয়ে কনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিজেকে খুবই সৌভাগ্যবতী মনে হচ্ছে। একজন মেয়ের কাছে তার গায়ে হলুদ অনেক বড় একটা মুহূর্ত। ক্যাম্পাসে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান হবে কখনও ভাবিনি। আমি অনেক বেশি আনন্দিত। আমাদের জন্য দোয়া করবেন।

এই অনুষ্ঠানের প্রধান আয়োজক বরের বন্ধু আবিদ হাসান বলেন, ‘বাড়ি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরত্ব অনেক বেশি হওয়ায় অনেক আত্মীয়ের বিয়েতে যাওয়া হয় না। বন্ধু আকিব যখন রাজশাহী বিয়ে করছে, আমরা সব বন্ধুরা মিলে আলোচনা করে আয়োজনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরেই করি। এরকম আয়োজন করার কোন অভিজ্ঞতা অতীতে আমাদের ছিলো না৷ এই আয়োজন ব্যতিক্রম এবং আনাড়ি হলেও বন্ধু, বড়ভাই ছোটভাই সকলের কাছে এর আনন্দ ছিলো সীমাহীন। স্মৃতিবিজড়িত এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান আমাদের মধ্যকার সৌহার্দ্যের ও ভালোবাসার প্রতিচ্ছবি।

এই গায়ে হলুদ প্রোগ্রামের অন্যতম আয়োজক ছিলেন বরের আরেক বন্ধু ইসতেহার আলি।
তিনি বলেন, ‘বন্ধুবান্ধব মিলে ক্যাম্পাসে গায়ে হলুদ করার মধ্যে একটা অন্যরকম আনন্দ আছে। ভালবাসার জায়গায় বন্ধুর গায়ে হলুদ হচ্ছে বলে ভালো লাগছে। তার দাম্পত্য জীবনের জন্য শুভ কামনা রইলো।