লক্ষ্যে পৌঁছানোর প্রস্তুতি

শিক্ষাজীবনের শেষ সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে আছেন

শিউলী আহমেদ

শিক্ষাজীবনের শেষ সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে আছেন। পরীক্ষাটা শেষ হলেই শুরু হবে জীবনযুদ্ধ। জীবনযুদ্ধ না বলে বলা যায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার লড়াই। এবার প্রয়োজন সঠিক সিদ্ধান্ত, সঠিক প্রস্তুতি। এই ২৪/২৫ বছর ধরে যেমন পড়েছেন তেমন রেজাল্ট
হয়েছে। এখনও তাই, যেমন প্রস্তুতি নিয়েছেন বা নিচ্ছেন, তেমন ফল আসবে। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার প্রস্তুতি যে যতটা গুছিয়ে, ধৈর্য নিয়ে নিতে পারবেন, সে ততটা সফল হবেন। কারও ইচ্ছে থাকে সরকারী চাকরি, কারও বেসরকারী।

কেউ হতে চায় ব্যাংকার, কেউ বিসিএস। কারও পছন্দ এনজিও, কারো গার্মেন্টস। পছন্দ যেটাই হোক, প্রস্তুতি ঠিকমতো না হলে সব চলে যাবে ধরাছোঁয়ার বাইরে। তবে প্রয়োজনের তাগিদে যারা পড়াশোনার পাশাপাশি পার্টটাইম জব করেন তাদের জন্য একটু সুবিধা হয়, তা হচ্ছে বাড়তি অভিজ্ঞতা। আজকাল চাকরি মানেই অভিজ্ঞতা চায়। তবে তাদের জন্য দুটো একসঙ্গে ভাল করাটা কষ্টকরই হয়ে যায়। যাই করেন, নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে পড়ালেখাটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ভাল ডিগ্রী থাকলে ভাল চাকরি পাওয়া যায়। যারা লেখাপড়া শেষ করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান তাদের জন্য কিছু পরামর্শ—
দক্ষতা অর্জন করুন
অনার্স ফাইনাল পরীক্ষার পর যে সময়টুকু পাবেন তা কাজে লাগান। ইংরেজীতে দুর্বল থাকলে কোর্স করে নিতে পারেন। কোন স্বীকৃত কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার থেকে পছন্দ অনুযায়ী এবং যুগোপযোগী কোর্স করে নিতে পারেন। যা আপনার পছন্দের চাকরির ক্ষেত্রে অনেক সাহায্য করবে।
সঠিক প্ল্যান করুন
অনেকেই বিসিএস, ব্যাংক, শিক্ষক, মন্ত্রণালয়সহ সমস্ত পরীক্ষার জন্য একসঙ্গে পড়তে থাকে। ফলে কোন প্রস্তুতিই ভাল হয় না। আবার অনেকে মনে করেন বিসিএসের প্রস্তুতি নিলেই অন্য সব প্রস্তুতি হয়ে যাবে। এটা একেবারেই ভুল ধারণা। বিষয়টা হয়ে যায় সমুদ্র পাড়ি দিয়ে পুকুর পাড়ি দেয়ার মতো। তাই আগে সিদ্ধান্ত নিন কোনটা চান, সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিন।
পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিন
মাস্টার্সের পাশাপাশি ১/২ ঘণ্টা সময় ব্যয় করুন বিভিন্ন চাকরির প্রস্তুতিমূলক পড়াশোনার জন্য। রুটিন করে ভাগ করে নিন প্রতিদিনের সময়ের। কষ্ট হলেও রুটিন মেনে চলুন। এই কষ্ট আর ত্যাগই আপনাকে নিয়ে যাবে আপনার কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে। কোচিংও করতে পারেন যা আপনাকে এই প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হতে সাহায্য করবে।
সিভি তৈরি করুন
একটি সুন্দর ভাল মানের সিভি তৈরি করুন। যা সহজেই প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। নিজের ঢোল নিজেই পিটিয়ে তুলে ধরুন আপনার দক্ষতা আর অভিজ্ঞতা।
লিখিত পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হোন
শুধু সরকারী চাকরি না, কিছু বেসরকারী প্রতিষ্ঠানেও লিখিত পরীক্ষা হয়। যারা বেসরকারী চাকরি চান প্রস্তুত হন পছন্দের প্রতিষ্ঠানগুলোতে পরীক্ষা দিয়ে নিজের লক্ষ্য অর্জনের জন্য। প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানুন। নজর রাখুন তারা কবে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়। চিন্তামুক্ত হয়ে নিজেকে পরিপাটি করে অংশ নিন সেসব পরীক্ষায়।
ভাইবার জন্য তৈরি হোন
যখনই কোন ভাইবা দিতে যাবেন, সুন্দর পরিপাটি হয়ে যাবেন। পরীক্ষকরা প্রথমেই আপনার বাহ্যিক দিকটা দেখবে। প্রশ্নের উত্তর  দেবেন স্পষ্টভাবে। যা পারবেন না সুন্দর করে বলে দিবেন ‘দুঃখিত, পারব না। বা মনে করতে পারছি না’। ভুল উত্তর দিবেন না, ভাবতে গিয়ে সময় নষ্ট করবেন না।
নতুন কিছু শিখুন
আজকাল কোর্সের অভাব নেই। এনজিও, গার্মেন্টস, গ্রাফিকস ডিজাইনসহ চাকরি সংক্রান্ত বিভিন্ন রকম কোর্স আছে। বুঝেশুনে আপনার লক্ষ্যের সঙ্গে মিলে যায়, তেমন কোর্সও করে নিতে পারেন। যা আপনাকে কাজের গতি বাড়াতে আর অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করবে।
সরকারী চাকরির জন্য প্রস্তুতি
সবচেয়ে বেশি নিয়োগ হয় মন্ত্রণালয়ে। ৮০% যোগ্যতাই থাকে এইচএসসি। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর থেকেই প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়ার পাশাপাশি এসব চাকরির জন্যও প্রস্তুতি নিতে পারেন। ঘণ্টা দুয়েক সময় রাখুন এই পড়ার জন্য। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলেই আবেদন করুন। এখানে নিয়োগ প্রকাশের পর থেকে সমস্ত প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে এক বছরের মতো লেগে যায়। পরীক্ষা হয় বাংলা, অঙ্ক, ইংরেজী, সাধারণ জ্ঞানের ওপর।
ব্যাংকের জন্য প্রস্তুতি
ব্যাংকের জন্য সম্পূর্ণ আলাদাভাবে প্রস্তুতি নিতে হয়। এবং ইংরেজীতে পারদর্শী হতে হয়। কারণ ব্যাংকের পরীক্ষাগুলো ইংরেজীতে হয়। এর জন্য সিলেবাসের একটা করে অধ্যায় একদিনে শেষ করতে চেষ্টা করবেন। আর বিগত বছরের প্রশ্নগুলোও পড়ে নিতে হবে।
বিসিএস এর জন্য
আপনি যদি বিসিএস দিতে চান তবে আগে ভাবুন তার জন্য সেই পরিমাণ সময় দিতে পারবেন কিনা। বিসিএস বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পরীক্ষা। এটি ৪/৫ টি ধাপে সম্পন্ন হয়। তার চেয়ে বড় কথা এর জন্য প্রায় ২ বছর সময় নিয়ে অপেক্ষা করতে হবে। বুঁদ হয়ে ১০/১২ ঘণ্টা পড়তে হবে। অনেক পড়তে হবে অনেক মনে রাখতে হবে। অন্যান্য পরীক্ষায় কম পড়ে বেশি মনে রাখলেই হয়। সিলেবাস দেখুন। বিগত বছরের প্রশ্নগুলো পড়ুন। অধ্যায়গুলো সাজিয়ে নিন যাতে প্রতিদিন একটি করে অধ্যায় শেষ হয়। এমনভাবে পড়ুন যেন ভুলে না যান। সব শেষ হলে দেখুন কতটা মনে আছে। যেগুলো ভুলে গেছেন সেগুলোতে মন দিন।
শিক্ষক হতে চাইলে
এই পরীক্ষা সবচেয়ে বেশি প্রতিযোগিতামূলক। অনেকেই সহজ মনে করে হেলাফেলা করেন। কেউ আবার বাঁকা পথের চিন্তাও করেন। কিন্তু এখানে ৮০% নিয়োগই হয় মেধার ভিত্তিতে। শিক্ষক যেহেতু হবেন, নিজের আদর্শ না থাকলে ছাত্রদের কি শিখাবেন? তাই সিলেবাস আর বিগত বছরের প্রশ্নগুলো রুটিন করে ঠা-া মাথায় পড়ে শেষ করুন। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে ছেলেদের পেতে হয় ৬৫-৭০ মার্ক। আর মেয়েদের জন্য ৬০-৬৫ মার্ক।
প্রতিটি ক্ষেত্রের জন্যই পরিকল্পনা করে পড়লে পড়া সহজে শেষ হবে। তবে তার জন্য অবশ্যই প্রয়োজন অধ্যবসায়। রুটিন করে অধ্যায়গুলো ভাগ করে নিন। প্রতিটি অধ্যায় শেষ হলে নিজেই নিজের পরীক্ষা নিন। যে বিষয়গুলো মনে রাখতে পারছেন না সেগুলো বেশি করে পড়ুন। পড়ার পর লিখলে তা অনেকদিন মনে থাকে। তাই সুন্দর পরিকল্পনা করে ঠা-া মাথায় পড়ুন। চাকরি একটা বড় প্রতিযোগিতার বাজার। নিয়ম করে এর পিছনে অন্তত: ৬ মাস সময় দিন। সফলতা আপনাকে ধরা দেবেই। আপনি যদি নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে পারেন, তাহলে চাকরিই আপনাকে খুঁজবে।

লক্ষ্যে পৌঁছানোর প্রস্তুতি

শিক্ষাজীবনের শেষ সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে আছেন

শিউলী আহমেদ

শিক্ষাজীবনের শেষ সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে আছেন। পরীক্ষাটা শেষ হলেই শুরু হবে জীবনযুদ্ধ। জীবনযুদ্ধ না বলে বলা যায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার লড়াই। এবার প্রয়োজন সঠিক সিদ্ধান্ত, সঠিক প্রস্তুতি। এই ২৪/২৫ বছর ধরে যেমন পড়েছেন তেমন রেজাল্ট
হয়েছে। এখনও তাই, যেমন প্রস্তুতি নিয়েছেন বা নিচ্ছেন, তেমন ফল আসবে। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার প্রস্তুতি যে যতটা গুছিয়ে, ধৈর্য নিয়ে নিতে পারবেন, সে ততটা সফল হবেন। কারও ইচ্ছে থাকে সরকারী চাকরি, কারও বেসরকারী।

কেউ হতে চায় ব্যাংকার, কেউ বিসিএস। কারও পছন্দ এনজিও, কারো গার্মেন্টস। পছন্দ যেটাই হোক, প্রস্তুতি ঠিকমতো না হলে সব চলে যাবে ধরাছোঁয়ার বাইরে। তবে প্রয়োজনের তাগিদে যারা পড়াশোনার পাশাপাশি পার্টটাইম জব করেন তাদের জন্য একটু সুবিধা হয়, তা হচ্ছে বাড়তি অভিজ্ঞতা। আজকাল চাকরি মানেই অভিজ্ঞতা চায়। তবে তাদের জন্য দুটো একসঙ্গে ভাল করাটা কষ্টকরই হয়ে যায়। যাই করেন, নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে পড়ালেখাটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ভাল ডিগ্রী থাকলে ভাল চাকরি পাওয়া যায়। যারা লেখাপড়া শেষ করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান তাদের জন্য কিছু পরামর্শ—
দক্ষতা অর্জন করুন
অনার্স ফাইনাল পরীক্ষার পর যে সময়টুকু পাবেন তা কাজে লাগান। ইংরেজীতে দুর্বল থাকলে কোর্স করে নিতে পারেন। কোন স্বীকৃত কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার থেকে পছন্দ অনুযায়ী এবং যুগোপযোগী কোর্স করে নিতে পারেন। যা আপনার পছন্দের চাকরির ক্ষেত্রে অনেক সাহায্য করবে।
সঠিক প্ল্যান করুন
অনেকেই বিসিএস, ব্যাংক, শিক্ষক, মন্ত্রণালয়সহ সমস্ত পরীক্ষার জন্য একসঙ্গে পড়তে থাকে। ফলে কোন প্রস্তুতিই ভাল হয় না। আবার অনেকে মনে করেন বিসিএসের প্রস্তুতি নিলেই অন্য সব প্রস্তুতি হয়ে যাবে। এটা একেবারেই ভুল ধারণা। বিষয়টা হয়ে যায় সমুদ্র পাড়ি দিয়ে পুকুর পাড়ি দেয়ার মতো। তাই আগে সিদ্ধান্ত নিন কোনটা চান, সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিন।
পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিন
মাস্টার্সের পাশাপাশি ১/২ ঘণ্টা সময় ব্যয় করুন বিভিন্ন চাকরির প্রস্তুতিমূলক পড়াশোনার জন্য। রুটিন করে ভাগ করে নিন প্রতিদিনের সময়ের। কষ্ট হলেও রুটিন মেনে চলুন। এই কষ্ট আর ত্যাগই আপনাকে নিয়ে যাবে আপনার কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে। কোচিংও করতে পারেন যা আপনাকে এই প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হতে সাহায্য করবে।
সিভি তৈরি করুন
একটি সুন্দর ভাল মানের সিভি তৈরি করুন। যা সহজেই প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। নিজের ঢোল নিজেই পিটিয়ে তুলে ধরুন আপনার দক্ষতা আর অভিজ্ঞতা।
লিখিত পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হোন
শুধু সরকারী চাকরি না, কিছু বেসরকারী প্রতিষ্ঠানেও লিখিত পরীক্ষা হয়। যারা বেসরকারী চাকরি চান প্রস্তুত হন পছন্দের প্রতিষ্ঠানগুলোতে পরীক্ষা দিয়ে নিজের লক্ষ্য অর্জনের জন্য। প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানুন। নজর রাখুন তারা কবে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়। চিন্তামুক্ত হয়ে নিজেকে পরিপাটি করে অংশ নিন সেসব পরীক্ষায়।
ভাইবার জন্য তৈরি হোন
যখনই কোন ভাইবা দিতে যাবেন, সুন্দর পরিপাটি হয়ে যাবেন। পরীক্ষকরা প্রথমেই আপনার বাহ্যিক দিকটা দেখবে। প্রশ্নের উত্তর  দেবেন স্পষ্টভাবে। যা পারবেন না সুন্দর করে বলে দিবেন ‘দুঃখিত, পারব না। বা মনে করতে পারছি না’। ভুল উত্তর দিবেন না, ভাবতে গিয়ে সময় নষ্ট করবেন না।
নতুন কিছু শিখুন
আজকাল কোর্সের অভাব নেই। এনজিও, গার্মেন্টস, গ্রাফিকস ডিজাইনসহ চাকরি সংক্রান্ত বিভিন্ন রকম কোর্স আছে। বুঝেশুনে আপনার লক্ষ্যের সঙ্গে মিলে যায়, তেমন কোর্সও করে নিতে পারেন। যা আপনাকে কাজের গতি বাড়াতে আর অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করবে।
সরকারী চাকরির জন্য প্রস্তুতি
সবচেয়ে বেশি নিয়োগ হয় মন্ত্রণালয়ে। ৮০% যোগ্যতাই থাকে এইচএসসি। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর থেকেই প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়ার পাশাপাশি এসব চাকরির জন্যও প্রস্তুতি নিতে পারেন। ঘণ্টা দুয়েক সময় রাখুন এই পড়ার জন্য। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলেই আবেদন করুন। এখানে নিয়োগ প্রকাশের পর থেকে সমস্ত প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে এক বছরের মতো লেগে যায়। পরীক্ষা হয় বাংলা, অঙ্ক, ইংরেজী, সাধারণ জ্ঞানের ওপর।
ব্যাংকের জন্য প্রস্তুতি
ব্যাংকের জন্য সম্পূর্ণ আলাদাভাবে প্রস্তুতি নিতে হয়। এবং ইংরেজীতে পারদর্শী হতে হয়। কারণ ব্যাংকের পরীক্ষাগুলো ইংরেজীতে হয়। এর জন্য সিলেবাসের একটা করে অধ্যায় একদিনে শেষ করতে চেষ্টা করবেন। আর বিগত বছরের প্রশ্নগুলোও পড়ে নিতে হবে।
বিসিএস এর জন্য
আপনি যদি বিসিএস দিতে চান তবে আগে ভাবুন তার জন্য সেই পরিমাণ সময় দিতে পারবেন কিনা। বিসিএস বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পরীক্ষা। এটি ৪/৫ টি ধাপে সম্পন্ন হয়। তার চেয়ে বড় কথা এর জন্য প্রায় ২ বছর সময় নিয়ে অপেক্ষা করতে হবে। বুঁদ হয়ে ১০/১২ ঘণ্টা পড়তে হবে। অনেক পড়তে হবে অনেক মনে রাখতে হবে। অন্যান্য পরীক্ষায় কম পড়ে বেশি মনে রাখলেই হয়। সিলেবাস দেখুন। বিগত বছরের প্রশ্নগুলো পড়ুন। অধ্যায়গুলো সাজিয়ে নিন যাতে প্রতিদিন একটি করে অধ্যায় শেষ হয়। এমনভাবে পড়ুন যেন ভুলে না যান। সব শেষ হলে দেখুন কতটা মনে আছে। যেগুলো ভুলে গেছেন সেগুলোতে মন দিন।
শিক্ষক হতে চাইলে
এই পরীক্ষা সবচেয়ে বেশি প্রতিযোগিতামূলক। অনেকেই সহজ মনে করে হেলাফেলা করেন। কেউ আবার বাঁকা পথের চিন্তাও করেন। কিন্তু এখানে ৮০% নিয়োগই হয় মেধার ভিত্তিতে। শিক্ষক যেহেতু হবেন, নিজের আদর্শ না থাকলে ছাত্রদের কি শিখাবেন? তাই সিলেবাস আর বিগত বছরের প্রশ্নগুলো রুটিন করে ঠা-া মাথায় পড়ে শেষ করুন। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে ছেলেদের পেতে হয় ৬৫-৭০ মার্ক। আর মেয়েদের জন্য ৬০-৬৫ মার্ক।
প্রতিটি ক্ষেত্রের জন্যই পরিকল্পনা করে পড়লে পড়া সহজে শেষ হবে। তবে তার জন্য অবশ্যই প্রয়োজন অধ্যবসায়। রুটিন করে অধ্যায়গুলো ভাগ করে নিন। প্রতিটি অধ্যায় শেষ হলে নিজেই নিজের পরীক্ষা নিন। যে বিষয়গুলো মনে রাখতে পারছেন না সেগুলো বেশি করে পড়ুন। পড়ার পর লিখলে তা অনেকদিন মনে থাকে। তাই সুন্দর পরিকল্পনা করে ঠা-া মাথায় পড়ুন। চাকরি একটা বড় প্রতিযোগিতার বাজার। নিয়ম করে এর পিছনে অন্তত: ৬ মাস সময় দিন। সফলতা আপনাকে ধরা দেবেই। আপনি যদি নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে পারেন, তাহলে চাকরিই আপনাকে খুঁজবে।