শাবিপ্রবির আন্দোলনে অর্থ দেওয়ার মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন সাবেক ৫ শিক্ষার্থী
শাবিপ্রবি প্রতিনিধি

উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে গত জানুয়ারিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। ফাইল ছবি
উপাচার্য বিরোধী আন্দোলনে অর্থ দিয়ে আন্দোলনকারীদের সহায়তা করার অভিযোগে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সাবেক পাঁচ শিক্ষার্থীকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
মামলাটি করেছিলেন সিলেট জেলা তাঁতী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. লায়েক আহমদ। ঘটনার প্রায় আটমাস পর তাঁদের মামলা থেকে অব্যাহতি দিলেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জালালাবাদ থানার এসআই আবু খালেদ মামুন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এসআই আবু খালেদ বলেন, ‘আজ সকাল ১১টায় সিলেট মেট্রোপলিটন আদালত-২–এর সুমন ভূঁইয়ার আদালতে শাবিপ্রবির উপাচার্য–বিরোধী আন্দোলনে অর্থ দেওয়ার অভিযোগে সাবেক পাঁচ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে করা মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আসামিদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।’
অব্যাহতিপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের ২০১১-১২ সেশনের শিক্ষার্থী ফয়সাল আহমেদ, ২০১২-১৩ সেশনের হাবিবুর রহমান, ২০০৬-০৭ সেশনের এ এফ এম নাজমুস সাকিব, আর্কিটেকচার বিভাগের ২০০৯-১০ সেশনের রেজা নূর মঈন, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০১২-১৩ সেশনের শিক্ষার্থী একেএম মারুফ হোসেন।
শাবিপ্রবিতে উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনে অর্থ যোগানসহ আন্দোলনে সহযোগিতা করার অপরাধে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক পাঁচজন শিক্ষার্থীকে আসামি করে গত ২৫ জানুয়ারি এসএমপির জালালাবাদ থানায় মামলা করেন সিলেট জেলা তাঁতী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. লায়েক আহমদ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলে প্রভোস্ট কমিটির পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে গত ১৩ জানুয়ারি রাতে আন্দোলনে নামেন ওই হলের শিক্ষার্থীরা। ১৬ জানুয়ারি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আইসিটি ভবনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করলে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে। এরপর ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করা হলে প্রতিবাদ জানায় শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিপেটা করে, কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দিলেও তা উপেক্ষা করে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। পরে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অনশনে বসেন তাঁরা। কিছুদিন পরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ড. জাফর ইকবালের অনুরোধে অনশন ভাঙেন শিক্ষার্থীরা।

শাবিপ্রবির আন্দোলনে অর্থ দেওয়ার মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন সাবেক ৫ শিক্ষার্থী
শাবিপ্রবি প্রতিনিধি

উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে গত জানুয়ারিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। ফাইল ছবি
উপাচার্য বিরোধী আন্দোলনে অর্থ দিয়ে আন্দোলনকারীদের সহায়তা করার অভিযোগে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সাবেক পাঁচ শিক্ষার্থীকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
মামলাটি করেছিলেন সিলেট জেলা তাঁতী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. লায়েক আহমদ। ঘটনার প্রায় আটমাস পর তাঁদের মামলা থেকে অব্যাহতি দিলেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জালালাবাদ থানার এসআই আবু খালেদ মামুন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এসআই আবু খালেদ বলেন, ‘আজ সকাল ১১টায় সিলেট মেট্রোপলিটন আদালত-২–এর সুমন ভূঁইয়ার আদালতে শাবিপ্রবির উপাচার্য–বিরোধী আন্দোলনে অর্থ দেওয়ার অভিযোগে সাবেক পাঁচ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে করা মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আসামিদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।’
অব্যাহতিপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের ২০১১-১২ সেশনের শিক্ষার্থী ফয়সাল আহমেদ, ২০১২-১৩ সেশনের হাবিবুর রহমান, ২০০৬-০৭ সেশনের এ এফ এম নাজমুস সাকিব, আর্কিটেকচার বিভাগের ২০০৯-১০ সেশনের রেজা নূর মঈন, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০১২-১৩ সেশনের শিক্ষার্থী একেএম মারুফ হোসেন।
শাবিপ্রবিতে উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনে অর্থ যোগানসহ আন্দোলনে সহযোগিতা করার অপরাধে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক পাঁচজন শিক্ষার্থীকে আসামি করে গত ২৫ জানুয়ারি এসএমপির জালালাবাদ থানায় মামলা করেন সিলেট জেলা তাঁতী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. লায়েক আহমদ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলে প্রভোস্ট কমিটির পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে গত ১৩ জানুয়ারি রাতে আন্দোলনে নামেন ওই হলের শিক্ষার্থীরা। ১৬ জানুয়ারি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আইসিটি ভবনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করলে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে। এরপর ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করা হলে প্রতিবাদ জানায় শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিপেটা করে, কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দিলেও তা উপেক্ষা করে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। পরে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অনশনে বসেন তাঁরা। কিছুদিন পরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ড. জাফর ইকবালের অনুরোধে অনশন ভাঙেন শিক্ষার্থীরা।