শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীকে ওয়েটারের মারধর, রেস্তোরাঁয় তালা
শাবিপ্রবি প্রতিনিধি

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থিত সবুজ বাংলা রেস্তোরাঁয় খাবার খেতে গিয়ে এক শিক্ষার্থী মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে ওয়েটারের বিরুদ্ধে।
মারধরের শিকার শিক্ষার্থীর নাম শৈশব আহমেদ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। এ ছাড়া তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক খলিলুর রহমানের অনুসারী ও সৈয়দ মুজতবা আলী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বুধবার (২ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে খাবার খেতে রেস্তোরাঁয় যান ওই শিক্ষার্থী। এ সময় জহির নামের এক ওয়েটারের অসৌজন্যমূলক আচরণের শিকার হন তিনি। পরবর্তী সময়ে ওয়েটারের সঙ্গে ওই শিক্ষার্থীর বাগবিতণ্ডা হয়। এ সময় ওয়েটারের মারধরের শিকার হন শিক্ষার্থী শৈশব আহমেদ। পরে খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাৎক্ষণিক জড়ো হয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করেন ও রেস্তোরাঁ বন্ধ করার দাবি জানান। একই সঙ্গে অভিযুক্ত ওয়েটারকে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গণমাধ্যমে শিক্ষার্থী শৈশব আহমেদ বলেন, ‘সন্ধ্যার দিকে আমি সবুজ বাংলায় ভাত খাইতে যাই। চেয়ারে বসার পর ওয়েটারকে অনেকবার ডাকলেও আমার কথা শোনেনি। পরে আমার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে ওয়েটার। একপর্যায়ে সে আমার গালে থাপ্পড় মারে। ’
এদিকে ঘটনা জানাজানির পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা করেন।
বিষয়টি মীমাংসা না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উপস্থিতিতে রেস্তোরাঁটিতে তালা মারে পুলিশ। একই সঙ্গে এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রেস্টুরেন্টের ছয় কর্মীকে জালালাবাদ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে হোটেল মালিক সদস্য আবুল হোসেনকে কল দিলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা খান বলেন, ‘বিষয়টি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমরা ছয়জন কর্মচারীকে থানায় নিয়ে এসেছি। সিসি ফুটেজ দেখে ঘটনাটি তদন্ত করা হবে। আপাতত কারো বিরুদ্ধে মামলা করা হয়নি। আমরা হোটেল সিলগালা করতে পারি না। তবে বিষয়টি মীমাংসা করা পর্যন্ত হোটেল তালা মারা থাকবে। যার চাবি আমাদের হেফাজতে আছে। ’

শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীকে ওয়েটারের মারধর, রেস্তোরাঁয় তালা
শাবিপ্রবি প্রতিনিধি

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থিত সবুজ বাংলা রেস্তোরাঁয় খাবার খেতে গিয়ে এক শিক্ষার্থী মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে ওয়েটারের বিরুদ্ধে।
মারধরের শিকার শিক্ষার্থীর নাম শৈশব আহমেদ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। এ ছাড়া তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক খলিলুর রহমানের অনুসারী ও সৈয়দ মুজতবা আলী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বুধবার (২ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে খাবার খেতে রেস্তোরাঁয় যান ওই শিক্ষার্থী। এ সময় জহির নামের এক ওয়েটারের অসৌজন্যমূলক আচরণের শিকার হন তিনি। পরবর্তী সময়ে ওয়েটারের সঙ্গে ওই শিক্ষার্থীর বাগবিতণ্ডা হয়। এ সময় ওয়েটারের মারধরের শিকার হন শিক্ষার্থী শৈশব আহমেদ। পরে খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাৎক্ষণিক জড়ো হয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করেন ও রেস্তোরাঁ বন্ধ করার দাবি জানান। একই সঙ্গে অভিযুক্ত ওয়েটারকে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গণমাধ্যমে শিক্ষার্থী শৈশব আহমেদ বলেন, ‘সন্ধ্যার দিকে আমি সবুজ বাংলায় ভাত খাইতে যাই। চেয়ারে বসার পর ওয়েটারকে অনেকবার ডাকলেও আমার কথা শোনেনি। পরে আমার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে ওয়েটার। একপর্যায়ে সে আমার গালে থাপ্পড় মারে। ’
এদিকে ঘটনা জানাজানির পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা করেন।
বিষয়টি মীমাংসা না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উপস্থিতিতে রেস্তোরাঁটিতে তালা মারে পুলিশ। একই সঙ্গে এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রেস্টুরেন্টের ছয় কর্মীকে জালালাবাদ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে হোটেল মালিক সদস্য আবুল হোসেনকে কল দিলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা খান বলেন, ‘বিষয়টি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমরা ছয়জন কর্মচারীকে থানায় নিয়ে এসেছি। সিসি ফুটেজ দেখে ঘটনাটি তদন্ত করা হবে। আপাতত কারো বিরুদ্ধে মামলা করা হয়নি। আমরা হোটেল সিলগালা করতে পারি না। তবে বিষয়টি মীমাংসা করা পর্যন্ত হোটেল তালা মারা থাকবে। যার চাবি আমাদের হেফাজতে আছে। ’