শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে সমস্যায় জর্জরিত পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশ

পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশ তাদের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে বহুমুখী সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। সম্প্রতি সিন্ধু হাইকোর্টে জমা দেওয়া একটি প্রতিবেদনে শিক্ষা সচিব আকবর লাঘারি এ কথা স্বীকার করেছেন।

দ্য সিন্ধু ন্যারেটিভের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিন্ধুতে ৫ থেকে ১৬ বছর বয়সী শিশুদের বিনামূল্যে শিক্ষা দেওয়ার ব্যাপারে শিক্ষা সচিব আকবর লাঘারি আদালতে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। ওই প্রতিবেদনে তিনি স্বীকার করেন, সিন্ধু প্রদেশ শিক্ষাব্যবস্থায় অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।

বন্যা পরিস্থিতিতে সিন্ধু প্রদেশের বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, গবাদি পশু মারা গেছে, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার অবনতি হয়েছে এবং শিক্ষার আরও বেশি অবনতি হয়েছে। তবে শিক্ষার এ অবনতি নিয়ে কর্তৃপক্ষের কোনো মাথাব্যথাই নেই। মিডিয়া এবং অ্যাক্টিভিস্টরা সিন্ধুর ক্রমবর্ধমান শিক্ষার অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

প্রতিবেদনটিতে লাঘারি স্কুল ভবন, শিক্ষকের অভাব, আসবাবপত্রের তীব্র ঘাটতি, পলাতক ও অনুপস্থিত শিক্ষক, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অসম অনুপাত এবং প্রশাসনিক সমস্যার মতো বিষয়গুলো তুলে ধরেন।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রদেশের ৪০ হাজার ৫২৯টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ৬৪০৭টিই ‘আশ্রয়হীন বা ছাদবিহীন’, যার ফলে এই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম। এ ছাড়া বর্তমান বার্ষিক প্রকল্পে ৬২২টি বিদ্যালয় নির্মাণাধীন রয়েছে। বাকি স্কুলগুলো আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে নির্মাণের কথা রয়েছে। তা ছাড়া ‘তীব্র শিক্ষক ঘাটতির’ কারণে ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে হাজার হাজার স্কুল বন্ধ রয়েছে।

দ্য প্রিন্টের খবরে বলা হয়েছে, ৩৫ হাজার ৪৮৭ জন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এখনো নিয়োগের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে এবং ৫৯৭০টি বিদ্যালয় আগেই শিক্ষকের অনুপস্থিতির কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। এরই মধ্যে ৩ হাজার ৪৮৪টি স্কুল এখন পুনরায় চালু করা হয়েছে।

আদালতে দেওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনেক বছর ধরে আসবাবপত্রের তীব্র ঘাটতি শিশুদের প্রায়ই স্কুল থেকে ঝরে পড়ার আরেকটি কারণ। এ ছাড়া প্রায় ৪ হাজার ৫৩৩ জন শিক্ষক বিদ্যালয়ে দায়িত্ব পালনে অনুপস্থিত রয়েছেন। ৪ হাজার ৪২৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তুলনায় ৩৬ হাজার ১০২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উপস্থিতি শিক্ষার অবস্থার অসম কাঠামোকে প্রদর্শন করে। বিদ্যালয়ের অসম কাঠামোর জন্য হাজার হাজার শিক্ষার্থী উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করতে পারে না।

প্রতিবেদনে শাসন-সংক্রান্ত বিষয়গুলোও তুলে ধরা হয়েছে। অধিকাংশ কর্মকর্তার ব্যবস্থাপনা দক্ষতার অভাব রয়েছে এবং শিক্ষা বিভাগ জেলা শিক্ষা অফিসারদের দ্বারা পরিচালিত হওয়ায় তারা আইনগতভাবে বা সঠিকভাবে বিষয়গুলো পরিচালনা করতে অক্ষম।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিশুর অনিচ্ছা, ব্যয়বহুল শিক্ষা, দারিদ্র্যের মতো অর্থনৈতিক অবস্থা, যা শিশুশ্রমের দিকে তাদের পরিচালিত করে এবং মেয়েদের জন্য সাংস্কৃতিক কারণ এবং আইনের সুষ্ঠু ব্যবহার না থাকায় শিশুরা স্কুলে আসতে চায় না। তা ছাড়া গ্রামীণ এলাকার শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অভিভাবকদের মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ায়।

আদালতে দাখিল করা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, স্কুলের বাইরে থাকা শিশুর সংখ্যা কমানোর পরিকল্পনা করছে সরকার। তবে প্রদেশ সরকারের পূর্ববর্তী রেকর্ড এবং বিশেষ করে সিন্ধু প্রদেশে বন্যার পরবর্তী পরিস্থিতির কারণে সরকারের এ পরিকল্পনা কয়েক বছর সময় নিতে পারে এমন সম্ভাবনাও রয়েছে।

শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে সমস্যায় জর্জরিত পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশ

পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশ তাদের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে বহুমুখী সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। সম্প্রতি সিন্ধু হাইকোর্টে জমা দেওয়া একটি প্রতিবেদনে শিক্ষা সচিব আকবর লাঘারি এ কথা স্বীকার করেছেন।

দ্য সিন্ধু ন্যারেটিভের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিন্ধুতে ৫ থেকে ১৬ বছর বয়সী শিশুদের বিনামূল্যে শিক্ষা দেওয়ার ব্যাপারে শিক্ষা সচিব আকবর লাঘারি আদালতে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। ওই প্রতিবেদনে তিনি স্বীকার করেন, সিন্ধু প্রদেশ শিক্ষাব্যবস্থায় অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।

বন্যা পরিস্থিতিতে সিন্ধু প্রদেশের বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, গবাদি পশু মারা গেছে, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার অবনতি হয়েছে এবং শিক্ষার আরও বেশি অবনতি হয়েছে। তবে শিক্ষার এ অবনতি নিয়ে কর্তৃপক্ষের কোনো মাথাব্যথাই নেই। মিডিয়া এবং অ্যাক্টিভিস্টরা সিন্ধুর ক্রমবর্ধমান শিক্ষার অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

প্রতিবেদনটিতে লাঘারি স্কুল ভবন, শিক্ষকের অভাব, আসবাবপত্রের তীব্র ঘাটতি, পলাতক ও অনুপস্থিত শিক্ষক, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অসম অনুপাত এবং প্রশাসনিক সমস্যার মতো বিষয়গুলো তুলে ধরেন।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রদেশের ৪০ হাজার ৫২৯টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ৬৪০৭টিই ‘আশ্রয়হীন বা ছাদবিহীন’, যার ফলে এই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম। এ ছাড়া বর্তমান বার্ষিক প্রকল্পে ৬২২টি বিদ্যালয় নির্মাণাধীন রয়েছে। বাকি স্কুলগুলো আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে নির্মাণের কথা রয়েছে। তা ছাড়া ‘তীব্র শিক্ষক ঘাটতির’ কারণে ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে হাজার হাজার স্কুল বন্ধ রয়েছে।

দ্য প্রিন্টের খবরে বলা হয়েছে, ৩৫ হাজার ৪৮৭ জন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এখনো নিয়োগের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে এবং ৫৯৭০টি বিদ্যালয় আগেই শিক্ষকের অনুপস্থিতির কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। এরই মধ্যে ৩ হাজার ৪৮৪টি স্কুল এখন পুনরায় চালু করা হয়েছে।

আদালতে দেওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনেক বছর ধরে আসবাবপত্রের তীব্র ঘাটতি শিশুদের প্রায়ই স্কুল থেকে ঝরে পড়ার আরেকটি কারণ। এ ছাড়া প্রায় ৪ হাজার ৫৩৩ জন শিক্ষক বিদ্যালয়ে দায়িত্ব পালনে অনুপস্থিত রয়েছেন। ৪ হাজার ৪২৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তুলনায় ৩৬ হাজার ১০২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উপস্থিতি শিক্ষার অবস্থার অসম কাঠামোকে প্রদর্শন করে। বিদ্যালয়ের অসম কাঠামোর জন্য হাজার হাজার শিক্ষার্থী উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করতে পারে না।

প্রতিবেদনে শাসন-সংক্রান্ত বিষয়গুলোও তুলে ধরা হয়েছে। অধিকাংশ কর্মকর্তার ব্যবস্থাপনা দক্ষতার অভাব রয়েছে এবং শিক্ষা বিভাগ জেলা শিক্ষা অফিসারদের দ্বারা পরিচালিত হওয়ায় তারা আইনগতভাবে বা সঠিকভাবে বিষয়গুলো পরিচালনা করতে অক্ষম।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিশুর অনিচ্ছা, ব্যয়বহুল শিক্ষা, দারিদ্র্যের মতো অর্থনৈতিক অবস্থা, যা শিশুশ্রমের দিকে তাদের পরিচালিত করে এবং মেয়েদের জন্য সাংস্কৃতিক কারণ এবং আইনের সুষ্ঠু ব্যবহার না থাকায় শিশুরা স্কুলে আসতে চায় না। তা ছাড়া গ্রামীণ এলাকার শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অভিভাবকদের মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ায়।

আদালতে দাখিল করা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, স্কুলের বাইরে থাকা শিশুর সংখ্যা কমানোর পরিকল্পনা করছে সরকার। তবে প্রদেশ সরকারের পূর্ববর্তী রেকর্ড এবং বিশেষ করে সিন্ধু প্রদেশে বন্যার পরবর্তী পরিস্থিতির কারণে সরকারের এ পরিকল্পনা কয়েক বছর সময় নিতে পারে এমন সম্ভাবনাও রয়েছে।