শিক্ষার্থীদের নির্যাতন, সাত ঘণ্টা অবরুদ্ধ প্রধান শিক্ষক

গাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুরের কালীগঞ্জে পুনসহি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের নির্যাতন ও অভিভাবকদের সঙ্গে অশালীন আচরণের অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী ওই প্রধান শিক্ষককে দীর্ঘ সাত ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখার পাশাপাশি তার অপসারণ দাবি করেছেন। গত বুধবার রাতে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে মুক্ত হন তিনি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির কক্ষে সিসি ক্যামেরা ও ফ্লোরের টাইল্স ভাঙচুরের জেরে শিক্ষার্থীদের বইপত্র রেখে স্কুল থেকে বের করে দেন প্রধান শিক্ষক হারুন। পরে বুধবার সকালে শিক্ষার্থীরা স্কুলে গেলে বইপুস্তক না দিয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের আটক করে রাখেন। শিক্ষার্থীদের আটকের বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে ওই প্রধান শিক্ষকের বিচার ও অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদে ফেটে পড়েন। এ সময় স্থানীয়রা প্রধান শিক্ষককে স্কুলের ভেতরেই অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে স্থানীয় সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকি এমপি’র সহযোগিতায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বুধবার রাত ১১টায় ওই প্রধান শিক্ষক অবমুক্ত হন।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাহমুদুল হাসান সজীবও শিক্ষার্থী আটকের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, শ্রেণিকক্ষে থাকা সিসি ক্যামেরা ও ফ্লোর টাইলস ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করার জন্য স্থানীয় মেম্বার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের জিজ্ঞসাবাদ করা হয়েছে। ইতিপূর্বে স্কুলের সিকিউরিটি লাইট, সিসি ক্যামেরা, পানির ট্যাপ ভাঙচুর করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করা হয়েছে।

কালীগঞ্জ থানার সেকেন্ড অফিসার মশিউর রহমান খান বলেন, অবরুদ্ধের বিষয়টি জানার পর স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে বুধবার রাত ১১টায় প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদকে উদ্ধার করা হয়েছে।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রেবেকা সুলতানা বলেন, এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। আপনাদের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারলাম। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শিক্ষার্থীদের নির্যাতন, সাত ঘণ্টা অবরুদ্ধ প্রধান শিক্ষক

গাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুরের কালীগঞ্জে পুনসহি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের নির্যাতন ও অভিভাবকদের সঙ্গে অশালীন আচরণের অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী ওই প্রধান শিক্ষককে দীর্ঘ সাত ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখার পাশাপাশি তার অপসারণ দাবি করেছেন। গত বুধবার রাতে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে মুক্ত হন তিনি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির কক্ষে সিসি ক্যামেরা ও ফ্লোরের টাইল্স ভাঙচুরের জেরে শিক্ষার্থীদের বইপত্র রেখে স্কুল থেকে বের করে দেন প্রধান শিক্ষক হারুন। পরে বুধবার সকালে শিক্ষার্থীরা স্কুলে গেলে বইপুস্তক না দিয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের আটক করে রাখেন। শিক্ষার্থীদের আটকের বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে ওই প্রধান শিক্ষকের বিচার ও অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদে ফেটে পড়েন। এ সময় স্থানীয়রা প্রধান শিক্ষককে স্কুলের ভেতরেই অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে স্থানীয় সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকি এমপি’র সহযোগিতায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বুধবার রাত ১১টায় ওই প্রধান শিক্ষক অবমুক্ত হন।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাহমুদুল হাসান সজীবও শিক্ষার্থী আটকের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, শ্রেণিকক্ষে থাকা সিসি ক্যামেরা ও ফ্লোর টাইলস ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করার জন্য স্থানীয় মেম্বার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের জিজ্ঞসাবাদ করা হয়েছে। ইতিপূর্বে স্কুলের সিকিউরিটি লাইট, সিসি ক্যামেরা, পানির ট্যাপ ভাঙচুর করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করা হয়েছে।

কালীগঞ্জ থানার সেকেন্ড অফিসার মশিউর রহমান খান বলেন, অবরুদ্ধের বিষয়টি জানার পর স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে বুধবার রাত ১১টায় প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদকে উদ্ধার করা হয়েছে।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রেবেকা সুলতানা বলেন, এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। আপনাদের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারলাম। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।