শিক্ষার বয়স থাকবে না, যেকোনো বয়সে ভর্তি হওয়া যাবে: শিক্ষামন্ত্রী

চাঁদপুর সরকারি কলেজ মাঠে মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী। ছবি: আজকের পত্রিকা

শিক্ষাব্যবস্থায় নানা পরিবর্তনের পাশাপাশি রূপান্তরেরও চেষ্টা করে যাচ্ছে সরকার। এর অংশ হিসেবেই নতুন শিক্ষাক্রম আনা হয়েছে। এ ছাড়া এখন আর শিক্ষার বয়স থাকবে না। যেকোনো বয়সে যে কেউ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে শিক্ষা নিতে পারবে, সেই সুযোগ তৈরির করার কথা ভাবছে সরকার।

আজ শুক্রবার দুপুরে চাঁদপুর সরকারি কলেজ মাঠে ঐতিহ্যবাহী নারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চাঁদপুর মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘আমরা দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় নানা পরিবর্তন নিয়ে আসার চেষ্টা করছিলাম দীর্ঘদিন ধরে। এখন শিক্ষাব্যবস্থায় শুধু পরিবর্তন নয়, রূপান্তরের কথা বলছি। কারণ এখন আর পরিবর্তন দিয়ে কোনো কাজ হবে না। আজকের দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে হলে শিক্ষাব্যবস্থায় একটা রূপান্তর ঘটাতে হবে। আর সেই রূপান্তর ঘটানোর জন্য আমরা নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে আসছি। আমাদের শিক্ষার্থীদের শিখন পদ্ধতিতে সম্পূর্ণ পরিবর্তন নিয়ে আসছি।’

মন্ত্রী বলেন, ‘এখন শিক্ষার্থীরা করে করে শিখবে, অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখন হবে, মূল্যায়ন পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভয় থাকবে না, আমরা চাই আনন্দময় শিক্ষা হবে। এর মধ্যে দিয়ে শুধু প্রযুক্তি ব্যবহার নয়, প্রযুক্তিতে দক্ষ হবে এবং তারা মানবিক ও সৃজনশীল মানুষ হবে। যেন তারা দেশের সুনাগরিক এবং বিশ্বনাগরিক হতে পারে।’

শিক্ষাগ্রহণে বয়সের সীমা উঠিয়ে দেওয়ার কথা উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এখন আর শিক্ষার বয়স থাকবে না। যেকোনো বয়সে একজন ব্যক্তি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এসে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে, এই সুযোগ আমরা করে দিতে চাই।’

দীপু মনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সরকার ও তাঁর সার্বিক নির্দেশনায় আমরা শিক্ষাব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে এসেছি। আমরা চাঁদপুরেও প্রযুক্তি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্য কয়েক দিন আগে উদ্যোগ নিয়েছি। এখানে পাইলট হিসেবে তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, এসব প্রতিষ্ঠানের ১০ জন করে ৩০ জন শিক্ষার্থীকে রোবটিকস শেখানো হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা যে সোনার বাংলা, অর্থাৎ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাই, তার সবই সম্ভব আমাদের এই শিক্ষার্থীদের সঠিকভাবে সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে। মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ই পারে সঠিকভাবে শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলতে। কারণ বিগত ১০০ বছরে এই প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা শেষ করে দেশ ও বিদেশে অনেকেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।’

বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক সখিনা খাতুনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান।

জাতীয় সংগীত পরিবেশন, জাতীয় পতাকা ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী। শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের কয়েক হাজার প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু, চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অসিত বরণ দাশ, পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার।

শিক্ষার বয়স থাকবে না, যেকোনো বয়সে ভর্তি হওয়া যাবে: শিক্ষামন্ত্রী

চাঁদপুর সরকারি কলেজ মাঠে মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী। ছবি: আজকের পত্রিকা

শিক্ষাব্যবস্থায় নানা পরিবর্তনের পাশাপাশি রূপান্তরেরও চেষ্টা করে যাচ্ছে সরকার। এর অংশ হিসেবেই নতুন শিক্ষাক্রম আনা হয়েছে। এ ছাড়া এখন আর শিক্ষার বয়স থাকবে না। যেকোনো বয়সে যে কেউ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে শিক্ষা নিতে পারবে, সেই সুযোগ তৈরির করার কথা ভাবছে সরকার।

আজ শুক্রবার দুপুরে চাঁদপুর সরকারি কলেজ মাঠে ঐতিহ্যবাহী নারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চাঁদপুর মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘আমরা দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় নানা পরিবর্তন নিয়ে আসার চেষ্টা করছিলাম দীর্ঘদিন ধরে। এখন শিক্ষাব্যবস্থায় শুধু পরিবর্তন নয়, রূপান্তরের কথা বলছি। কারণ এখন আর পরিবর্তন দিয়ে কোনো কাজ হবে না। আজকের দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে হলে শিক্ষাব্যবস্থায় একটা রূপান্তর ঘটাতে হবে। আর সেই রূপান্তর ঘটানোর জন্য আমরা নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে আসছি। আমাদের শিক্ষার্থীদের শিখন পদ্ধতিতে সম্পূর্ণ পরিবর্তন নিয়ে আসছি।’

মন্ত্রী বলেন, ‘এখন শিক্ষার্থীরা করে করে শিখবে, অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখন হবে, মূল্যায়ন পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভয় থাকবে না, আমরা চাই আনন্দময় শিক্ষা হবে। এর মধ্যে দিয়ে শুধু প্রযুক্তি ব্যবহার নয়, প্রযুক্তিতে দক্ষ হবে এবং তারা মানবিক ও সৃজনশীল মানুষ হবে। যেন তারা দেশের সুনাগরিক এবং বিশ্বনাগরিক হতে পারে।’

শিক্ষাগ্রহণে বয়সের সীমা উঠিয়ে দেওয়ার কথা উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এখন আর শিক্ষার বয়স থাকবে না। যেকোনো বয়সে একজন ব্যক্তি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এসে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে, এই সুযোগ আমরা করে দিতে চাই।’

দীপু মনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সরকার ও তাঁর সার্বিক নির্দেশনায় আমরা শিক্ষাব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে এসেছি। আমরা চাঁদপুরেও প্রযুক্তি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্য কয়েক দিন আগে উদ্যোগ নিয়েছি। এখানে পাইলট হিসেবে তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, এসব প্রতিষ্ঠানের ১০ জন করে ৩০ জন শিক্ষার্থীকে রোবটিকস শেখানো হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা যে সোনার বাংলা, অর্থাৎ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাই, তার সবই সম্ভব আমাদের এই শিক্ষার্থীদের সঠিকভাবে সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে। মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ই পারে সঠিকভাবে শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলতে। কারণ বিগত ১০০ বছরে এই প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা শেষ করে দেশ ও বিদেশে অনেকেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।’

বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক সখিনা খাতুনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান।

জাতীয় সংগীত পরিবেশন, জাতীয় পতাকা ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী। শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের কয়েক হাজার প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু, চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অসিত বরণ দাশ, পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার।