শিক্ষা প্রকৌশলে হাসেম সরদারের সর্দারি

কালবেলা প্রতিবেদক

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ইইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবুল হাসেম সরদারের বিরুদ্ধে প্রায় ২০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ তদন্তে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) থেকে ইইডিতে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সরকারি বিধান অনুসারে একজন কর্মকর্তার একটির বেশি প্রকল্পের দায়িত্বে থাকার কথা নয়; কিন্তু আবুল হাসেম সরদার আছেন ১১টি প্রকল্প পরিচালকের (পিডি) দায়িত্বে। এর আর্থিক মূল্য ৩ হাজার ৫৯১ কোটি টাকার বেশি। শুধু তা-ই নয়, একই জায়গায় তিন বছরের বেশি থাকার সুযোগ না থাকলেও তিনি আছেন আট বছর ধরে।

দুদকের সহকারী পরিচালক (অনুসন্ধান ও তদন্ত-১) মাহবুবুল আলম স্বাক্ষরিত নোটিশে বলা হয়েছে, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২২ ধারা ও দুর্নীতি দমন কমিশন নীতিমালা-২০০৭-এর বিধি অনুযায়ী এ তদন্ত হবে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে মো. আবুল হাসেম সরদারসহ সহকারী প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম এবং দুই উপসহকারী প্রকৌশলী মো. জাফর আলী সিকদার ও মো. শাহজাহান আলীর বক্তব্য নেওয়া হবে।

জানা গেছে, সরকারি চাকরির নিয়ম অনুযায়ী একই জায়গায় কোনো কর্মকর্তার তিন বছরের বেশি থাকার সুযোগ নেই। কিন্তু ২০১৪ সালের ৯ ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় বছর আবুল হাসেম সরদার ইইডিতে আছেন। একই জায়গায় দীর্ঘদিন থাকার পেছনে সরকারের এক প্রভাবশালী মন্ত্রীর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন ইইডির একাধিক কর্মকর্তা। তারা জানান, শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন আবুল হাসেম সরদারসহ কয়েকজন কর্মকর্তা। এ সিন্ডিকেট ইইডির সব দরপত্র, দরপত্র পুনর্মূল্যায়ন ও সংশোধন এবং বদলি, পদোন্নতি, পদায়ন, কেনাকাটাসহ সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে। অন্য কর্মকর্তারা এসবের প্রতিবাদ করতে পারেন না।

এ ছাড়া ২০১৬ সালের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশিকা, ২০২২ সালের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সরকারি খাতে উন্নয়ন, প্রক্রিয়াকরণ, অনুমোদন ও সংশোধন পদ্ধতিসংক্রান্ত নির্দেশিকা এবং ২০২১ সালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চিঠি অনুযায়ী একাধিক প্রকল্পে এক কর্মকর্তাকে পিডি হিসেবে নিয়োগের সুযোগ নেই। কিন্তু আবুল হাসেম সরদার আছেন ১১টি প্রকল্পের পিডির দায়িত্বে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মো. আবুল হাসেম সরদার কালবেলাকে বলেন, ‘এটা তাদের (দুদক) বিষয়। যেহেতু অভিযোগ এসেছে, নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে তারা তদন্ত করবে। আমার কিছু বলার নেই।’ শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. দেলোয়ার হোসেন মজুমদার বরাবর দুদক নোটিশ দিয়েছে। কিন্তু তার পরও বিষয়টিকে একেবারেই ব্যক্তিগত বলছেন হাসেম। জানতে চাইলে তিনি কালবেলাকে বলেন, ‘এ চিঠি আপনি কোথায় পেয়েছেন? কে পাঠিয়েছে শুনি। এটা একটা ব্যক্তিগত চিঠি, আপনার কাছে কীভাবে গেল? আমার অনেক কাজ। ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আমি কোনো কথা বলব না। তবে মন্ত্রণালয় কোনো প্রশ্ন করলে আমি উত্তর দেব।’

শিক্ষা প্রকৌশলে হাসেম সরদারের সর্দারি

কালবেলা প্রতিবেদক

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ইইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবুল হাসেম সরদারের বিরুদ্ধে প্রায় ২০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ তদন্তে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) থেকে ইইডিতে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সরকারি বিধান অনুসারে একজন কর্মকর্তার একটির বেশি প্রকল্পের দায়িত্বে থাকার কথা নয়; কিন্তু আবুল হাসেম সরদার আছেন ১১টি প্রকল্প পরিচালকের (পিডি) দায়িত্বে। এর আর্থিক মূল্য ৩ হাজার ৫৯১ কোটি টাকার বেশি। শুধু তা-ই নয়, একই জায়গায় তিন বছরের বেশি থাকার সুযোগ না থাকলেও তিনি আছেন আট বছর ধরে।

দুদকের সহকারী পরিচালক (অনুসন্ধান ও তদন্ত-১) মাহবুবুল আলম স্বাক্ষরিত নোটিশে বলা হয়েছে, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২২ ধারা ও দুর্নীতি দমন কমিশন নীতিমালা-২০০৭-এর বিধি অনুযায়ী এ তদন্ত হবে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে মো. আবুল হাসেম সরদারসহ সহকারী প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম এবং দুই উপসহকারী প্রকৌশলী মো. জাফর আলী সিকদার ও মো. শাহজাহান আলীর বক্তব্য নেওয়া হবে।

জানা গেছে, সরকারি চাকরির নিয়ম অনুযায়ী একই জায়গায় কোনো কর্মকর্তার তিন বছরের বেশি থাকার সুযোগ নেই। কিন্তু ২০১৪ সালের ৯ ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় বছর আবুল হাসেম সরদার ইইডিতে আছেন। একই জায়গায় দীর্ঘদিন থাকার পেছনে সরকারের এক প্রভাবশালী মন্ত্রীর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন ইইডির একাধিক কর্মকর্তা। তারা জানান, শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন আবুল হাসেম সরদারসহ কয়েকজন কর্মকর্তা। এ সিন্ডিকেট ইইডির সব দরপত্র, দরপত্র পুনর্মূল্যায়ন ও সংশোধন এবং বদলি, পদোন্নতি, পদায়ন, কেনাকাটাসহ সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে। অন্য কর্মকর্তারা এসবের প্রতিবাদ করতে পারেন না।

এ ছাড়া ২০১৬ সালের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশিকা, ২০২২ সালের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সরকারি খাতে উন্নয়ন, প্রক্রিয়াকরণ, অনুমোদন ও সংশোধন পদ্ধতিসংক্রান্ত নির্দেশিকা এবং ২০২১ সালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চিঠি অনুযায়ী একাধিক প্রকল্পে এক কর্মকর্তাকে পিডি হিসেবে নিয়োগের সুযোগ নেই। কিন্তু আবুল হাসেম সরদার আছেন ১১টি প্রকল্পের পিডির দায়িত্বে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মো. আবুল হাসেম সরদার কালবেলাকে বলেন, ‘এটা তাদের (দুদক) বিষয়। যেহেতু অভিযোগ এসেছে, নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে তারা তদন্ত করবে। আমার কিছু বলার নেই।’ শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. দেলোয়ার হোসেন মজুমদার বরাবর দুদক নোটিশ দিয়েছে। কিন্তু তার পরও বিষয়টিকে একেবারেই ব্যক্তিগত বলছেন হাসেম। জানতে চাইলে তিনি কালবেলাকে বলেন, ‘এ চিঠি আপনি কোথায় পেয়েছেন? কে পাঠিয়েছে শুনি। এটা একটা ব্যক্তিগত চিঠি, আপনার কাছে কীভাবে গেল? আমার অনেক কাজ। ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আমি কোনো কথা বলব না। তবে মন্ত্রণালয় কোনো প্রশ্ন করলে আমি উত্তর দেব।’