শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিকল্পিতভাবে এনার্জি ব্যবহারের আহবান শিক্ষা উপমন্ত্রীর

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন ডেস্ক
শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী

দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিকল্পিতভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহারের আহবান জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী।  তিনি ৯ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত বাংলাদেশ সাসটেনেবল এনার্জি উইক-২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহবান জানান।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে উপমন্ত্রী বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে প্রকৌশলী, বিজ্ঞানী, ব্যবস্থাপক তৈরি হবে। স্মার্ট সিটিজেন হতে হলে স্মার্টি এনার্জি ইউজার হতে হবে। প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে হবে, বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে। এই রুমের মধ্যেও অনেক বেশি ইলেকট্রিসিটি ব্যবহার করছি বলে আমার মনে হচ্ছে। গরমের মধ্যে রুমে যদি ঠাণ্ডা লাগে তাহলে নিশ্চয় কোনো গলদ আছে। আমাদের শিক্ষকরা ভেবে দেখতে পারেন-এতোগুলো এয়ারকন্ডিশন প্রয়োজন আছে কিনা? সানলাইট ঢোকার কোনো ব্যবস্থা নেই। সুতরাং বেশি গরম হওয়ার ব্যবস্থা খুব কম।  এনার্জি ব্যবহার কীভাবে কমাতে পারি সেগুলো বিবেচনা করে দেখতে পারি।’

উপমন্ত্রী বলেন, গ্রামেগঞ্জে সর্বত্র বিদ্যুতের অপ্রয়োজনীয়  ব্যবহারের একটি বিষয় আসছে। শুনতে হয়ত আপত্তিজনক শুনাবে, কোনো পরিকল্পনা ছাড়া মসজিদের মধ্যে যত্রতত্র এয়ার কন্ডিশন লাগিয়ে নিচ্ছি। এটা তো স্বাস্থ্যের  জন্য খারাপ প্রভাব রয়েছে। মসজিদের মধ্যে একসঙ্গে অনেক মানুষ নামাজ পড়ে, সেখানে এয়ার ফ্লো খুব গুরুত্বপুর্ণ। তারা শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছে, সেটা যদি বদ্ধ করে ফেলে, তাহলে নানান ধরনের রোগ একে অপর থেকে ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকে। তাছাড়া চিন্তা করছি না বিলটা কে দেবে? অনেক জনের বিল আটকে আছে, আমাদের কাছে এসেছে, বিল মওকুফ করার জন্য। এইভাবে করে আমরা আনসাটেনেবল এনার্জি ইউজার হয়ে যাচ্ছি। তোমরা (শিক্ষার্থীরা) আগামী দিনগুলোতে মানুষকে সচেতন করবে। সচেতন করতে হবে একজস্ট ফ্যান লাগানো অনেক বেশি সাসটেনেইবল এনার্জি ইজস। এয়ারকন্ডিশন সাটটেনেবলি ব্যবহার করা অনেক বেশি কঠিন। তারচেয়ে প্রাকৃতিক উপায়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।  এয়ার-কন্ডিশনে ইলেকটিসিটি কনজামশন অনেক বেশি। এই চিন্তা এই প্রজন্মের মধ্যে আসতে হবে। আমরা জাপানে দেখছি তারা এনার্জি ব্যবহার পরিবর্তন করছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. হাফিজ মো. হাসান বাবু। অনুষ্ঠানে ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশের কার্যকরী সদস্য আদেলুর রহমান, পাওয়ার সেলের ডিরেক্টর জেনারেল মোহাম্মদ হোসেন, বিইএসআরএ প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার নুরুল আকতারসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

এমবিএইচ/এসএস

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিকল্পিতভাবে এনার্জি ব্যবহারের আহবান শিক্ষা উপমন্ত্রীর

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন ডেস্ক
শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী

দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিকল্পিতভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহারের আহবান জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী।  তিনি ৯ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত বাংলাদেশ সাসটেনেবল এনার্জি উইক-২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহবান জানান।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে উপমন্ত্রী বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে প্রকৌশলী, বিজ্ঞানী, ব্যবস্থাপক তৈরি হবে। স্মার্ট সিটিজেন হতে হলে স্মার্টি এনার্জি ইউজার হতে হবে। প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে হবে, বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে। এই রুমের মধ্যেও অনেক বেশি ইলেকট্রিসিটি ব্যবহার করছি বলে আমার মনে হচ্ছে। গরমের মধ্যে রুমে যদি ঠাণ্ডা লাগে তাহলে নিশ্চয় কোনো গলদ আছে। আমাদের শিক্ষকরা ভেবে দেখতে পারেন-এতোগুলো এয়ারকন্ডিশন প্রয়োজন আছে কিনা? সানলাইট ঢোকার কোনো ব্যবস্থা নেই। সুতরাং বেশি গরম হওয়ার ব্যবস্থা খুব কম।  এনার্জি ব্যবহার কীভাবে কমাতে পারি সেগুলো বিবেচনা করে দেখতে পারি।’

উপমন্ত্রী বলেন, গ্রামেগঞ্জে সর্বত্র বিদ্যুতের অপ্রয়োজনীয়  ব্যবহারের একটি বিষয় আসছে। শুনতে হয়ত আপত্তিজনক শুনাবে, কোনো পরিকল্পনা ছাড়া মসজিদের মধ্যে যত্রতত্র এয়ার কন্ডিশন লাগিয়ে নিচ্ছি। এটা তো স্বাস্থ্যের  জন্য খারাপ প্রভাব রয়েছে। মসজিদের মধ্যে একসঙ্গে অনেক মানুষ নামাজ পড়ে, সেখানে এয়ার ফ্লো খুব গুরুত্বপুর্ণ। তারা শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছে, সেটা যদি বদ্ধ করে ফেলে, তাহলে নানান ধরনের রোগ একে অপর থেকে ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকে। তাছাড়া চিন্তা করছি না বিলটা কে দেবে? অনেক জনের বিল আটকে আছে, আমাদের কাছে এসেছে, বিল মওকুফ করার জন্য। এইভাবে করে আমরা আনসাটেনেবল এনার্জি ইউজার হয়ে যাচ্ছি। তোমরা (শিক্ষার্থীরা) আগামী দিনগুলোতে মানুষকে সচেতন করবে। সচেতন করতে হবে একজস্ট ফ্যান লাগানো অনেক বেশি সাসটেনেইবল এনার্জি ইজস। এয়ারকন্ডিশন সাটটেনেবলি ব্যবহার করা অনেক বেশি কঠিন। তারচেয়ে প্রাকৃতিক উপায়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।  এয়ার-কন্ডিশনে ইলেকটিসিটি কনজামশন অনেক বেশি। এই চিন্তা এই প্রজন্মের মধ্যে আসতে হবে। আমরা জাপানে দেখছি তারা এনার্জি ব্যবহার পরিবর্তন করছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. হাফিজ মো. হাসান বাবু। অনুষ্ঠানে ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশের কার্যকরী সদস্য আদেলুর রহমান, পাওয়ার সেলের ডিরেক্টর জেনারেল মোহাম্মদ হোসেন, বিইএসআরএ প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার নুরুল আকতারসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

এমবিএইচ/এসএস