শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের ১৪৯তম জন্মবার্ষিকী পালন

শেরেবাংলার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূ্ঁইয়া।
শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন ডেস্ক 

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে, অবিভক্ত বাংলার প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও বাঙালি জাতীয়তাবাদের মহান নেতা শেরেবাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হকের ১৪৯তম জন্মবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়েছে।

আজ বুধবার (২৬ অক্টোবর) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে শেরেবাংলার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূ্ঁইয়া।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের  কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, পোস্ট গ্রাজুয়েট স্টাডিজের ডিন অধ্যাপক ড. অলোক কুমার পাল, গবেষণা পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, শরীর চর্চা ও শিক্ষা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. সেকেন্দার আলী, আইকিউএসি-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান খান, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেন, পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস দপ্তররর পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুল হক কাজল, এনিম্যাল সায়েন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. লাম-ইয়া আসাদ, প্রক্টর ড. মো. হারুন-উর-রশিদ, রেজিস্ট্রার শেখ রেজাউল করিম, পরিচালক, বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম মাসুদুর রহমান মিঠু, সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমানসহ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।

পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূ্ঁইয়া ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম।

বক্তব্য দিচ্ছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূ্ঁইয়া বলেন, “শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের নাম ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আজ শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের জন্মদিন। জন্মদিনে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। তাঁর হাত ধরেই ১৯৩৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় দেশের প্রথম কৃষি শিক্ষার প্রতিষ্ঠান ‘দি বেঙ্গল এগ্রিকালচারাল ইন্সটিটিউট’। যা আজকে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় নামে এগিয়ে চলছে। ১৯৩৮ সালের পূর্বে দেশে প্রতিবছরই খাদ্য সংকট দেখা দিতো, দুর্ভিক্ষ হতো। ব্রিটিশরা কখনোই এ দেশকে খাদ্য ও বিজ্ঞান চর্চায় অগ্রসর হতে দিতে চাইত না। অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে এ কে ফজলুল হক দায়িত্বে আসার পরে তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বেঙ্গল এগ্রিকালচারাল ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়। কারণ তিনি জানতেন একটি জাতিকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে অবশ্যই উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও গবেষণা দরকার। তিনি এতটাই জনপ্রিয় ছিলেন যে আজ প্রায় সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর নামে হল আছে, তার নামে মেডিকেল কলেজ আছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই নেতাকে সম্মান দেখিয়ে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় নামে এ প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করেন। বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে আমাদের শিক্ষা ও গবেষণায় এগিয়ে যেতে হবে। দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় কাজ করতে হবে। তাহলেই শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের স্বপ্ন পূরণ হবে।”

এরপর মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া মোনাজাত করা হয়।

শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক ১৮৭৩ সালের আজকের এই দিনে বরিশাল জেলার রাজাপুরের সাতুরিয়া গ্রামের মিয়া বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন।

লেখা ও ছবি: এ এইচ এম মোস্তফা কামাল, জনসংযোগ কর্মকর্তা, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

এমবিএইচ

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের ১৪৯তম জন্মবার্ষিকী পালন

শেরেবাংলার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূ্ঁইয়া।
শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন ডেস্ক 

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে, অবিভক্ত বাংলার প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও বাঙালি জাতীয়তাবাদের মহান নেতা শেরেবাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হকের ১৪৯তম জন্মবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়েছে।

আজ বুধবার (২৬ অক্টোবর) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে শেরেবাংলার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূ্ঁইয়া।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের  কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, পোস্ট গ্রাজুয়েট স্টাডিজের ডিন অধ্যাপক ড. অলোক কুমার পাল, গবেষণা পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, শরীর চর্চা ও শিক্ষা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. সেকেন্দার আলী, আইকিউএসি-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান খান, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেন, পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস দপ্তররর পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুল হক কাজল, এনিম্যাল সায়েন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. লাম-ইয়া আসাদ, প্রক্টর ড. মো. হারুন-উর-রশিদ, রেজিস্ট্রার শেখ রেজাউল করিম, পরিচালক, বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম মাসুদুর রহমান মিঠু, সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমানসহ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।

পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূ্ঁইয়া ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম।

বক্তব্য দিচ্ছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূ্ঁইয়া বলেন, “শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের নাম ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আজ শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের জন্মদিন। জন্মদিনে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। তাঁর হাত ধরেই ১৯৩৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় দেশের প্রথম কৃষি শিক্ষার প্রতিষ্ঠান ‘দি বেঙ্গল এগ্রিকালচারাল ইন্সটিটিউট’। যা আজকে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় নামে এগিয়ে চলছে। ১৯৩৮ সালের পূর্বে দেশে প্রতিবছরই খাদ্য সংকট দেখা দিতো, দুর্ভিক্ষ হতো। ব্রিটিশরা কখনোই এ দেশকে খাদ্য ও বিজ্ঞান চর্চায় অগ্রসর হতে দিতে চাইত না। অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে এ কে ফজলুল হক দায়িত্বে আসার পরে তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বেঙ্গল এগ্রিকালচারাল ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়। কারণ তিনি জানতেন একটি জাতিকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে অবশ্যই উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও গবেষণা দরকার। তিনি এতটাই জনপ্রিয় ছিলেন যে আজ প্রায় সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর নামে হল আছে, তার নামে মেডিকেল কলেজ আছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই নেতাকে সম্মান দেখিয়ে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় নামে এ প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করেন। বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে আমাদের শিক্ষা ও গবেষণায় এগিয়ে যেতে হবে। দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় কাজ করতে হবে। তাহলেই শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের স্বপ্ন পূরণ হবে।”

এরপর মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া মোনাজাত করা হয়।

শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক ১৮৭৩ সালের আজকের এই দিনে বরিশাল জেলার রাজাপুরের সাতুরিয়া গ্রামের মিয়া বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন।

লেখা ও ছবি: এ এইচ এম মোস্তফা কামাল, জনসংযোগ কর্মকর্তা, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

এমবিএইচ