সরকারি প্রাইমারি শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্ট বিল সংসদে

সমকাল প্রতিবেদক

ফাইল ছবি

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও তাদের পোষ্যদের চিকিৎসা সহায়তা, শিক্ষা উপবৃত্তিসহ বিভিন্ন খাতে আর্থিক অনুদান প্রদানের বিধান রেখে সংসদে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্ট বিল ২০২২ সংসদে উঠেছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন আজ সোমবার সংসদে বিলটি উত্থাপন করলে তা পরীক্ষা করে ৬০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

এরশাদ সরকারের আমলে প্রণীত অধ্যাদেশটির আবশ্যকতা ও প্রাসঙ্গিকতা পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জন করে সরকার এই আইনটি প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিলের বিধান অনুযায়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক করা নিয়োগের ছয় মাসের মধ্যে ট্রাস্ট নির্ধারিত এককালীন অর্থ ও নির্ধারিত হারে বার্ষিক চাঁদা দেওয়া না হলে এই সুবিধা পাবেন না। বিদ্যমান আইনেও এই বিধানটি রয়েছে তবে সেখানে প্রাথমিক সদস্য ২০ টাকা ও বার্ষিক চাঁদা রয়েছে ২ টাকা। প্রস্ত্মাবিত আইনের চাঁদার পরিমাণ ট্রাস্ট নির্ধারণ করবে বলে বলা হয়েছে।

বিদ্যমান আইনের মত প্রস্তাবিত আইনেও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ট্রাস্টের চেয়ারম্যান হবেন। বিলের উদ্দেশ্য সম্পর্কিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও পোষ্যদের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সাহায্য দেওয়া এবং মৃত্যুবরণকৃত শিক্ষকের নাবালক/প্রতিবন্ধী/বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন সন্তান/তৃতীয় লিঙ্গের সন্তান/সন্তানাদি প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত লেখাপড়ার খরচ ট্রাস্টের তহবিল থেকে দিতে এই আইনটি প্রণয়ন করা হয়েছে।

প্রস্তাবিত আইনটি প্রণীত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পরিবার ও তাঁদের পোষ্যদের কল্যাণে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে বলে এতে উল্লেখ করা হয়।

একটি আইন বিলোপ ও একটি বিল প্রত্যাহার

সংসদের গত অধিবেশনে উত্থাপিত সরকারি চাকরি (সংশোধন) বিল-২০২২ প্রত্যাহার করা হয়েছে। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী সোমবার সংসদের কার্যপ্রণালী বিধির ৯৩ বিধি মোতাবেক বিলটি প্রত্যাহারের আবেদন করেন। পরে কণ্ঠভোটে বিল প্রস্তাবের প্রস্তাবটি পাস হয়।

এর আগে গত ২৯ আগস্ট জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বিলটি সংসদে তোলেন। পরে তা সংসদীয় কমিটিতে পাঠনো হয়। তবে বিলটি প্রত্যাহারের কোন কারণ বলেননি প্রতিমন্ত্রী। প্রসঙ্গত সরকারি চাকরি আইনের একাধিক ধারা নিয়ে বর্তমানে উচ্চ আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।

এদিকে সোমবার সংসদে ঢাকা, খুলনাসহ বিভিন্ন বিভাগের উন্নয়ন বোর্ডগুলো রহিতকরণে সংসদে বিল তোলা হয়েছে। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক উন্নয়ন বোর্ড আইনসমুহ (রহিতকরন) বিল ২০২২ উত্থাপন করলে তা আইন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।

এই রহিতকরণ বিল পাস হলে অনুযায়ী খুলনা বিভাগ উন্নয়ন বোর্ড, রাজশাহী বিভাগ উন্নয়ন বোর্ড, ঢাকা বিভাগ উন্নয়ন বোর্ড, চট্টগ্রাম বিভাগ উন্নয়ন বোর্ড, চট্টগ্রাম জেলা উন্নয়ন বোর্ড, কুমিল্লা, নোয়াখালী ও সিলেট উন্নয়ন বোর্ড এবং উন্নয়ন বোর্ড লজ (রহিতকরণ) বিলোপ হবে।

সরকারি প্রাইমারি শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্ট বিল সংসদে

সমকাল প্রতিবেদক

ফাইল ছবি

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও তাদের পোষ্যদের চিকিৎসা সহায়তা, শিক্ষা উপবৃত্তিসহ বিভিন্ন খাতে আর্থিক অনুদান প্রদানের বিধান রেখে সংসদে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্ট বিল ২০২২ সংসদে উঠেছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন আজ সোমবার সংসদে বিলটি উত্থাপন করলে তা পরীক্ষা করে ৬০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

এরশাদ সরকারের আমলে প্রণীত অধ্যাদেশটির আবশ্যকতা ও প্রাসঙ্গিকতা পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জন করে সরকার এই আইনটি প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিলের বিধান অনুযায়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক করা নিয়োগের ছয় মাসের মধ্যে ট্রাস্ট নির্ধারিত এককালীন অর্থ ও নির্ধারিত হারে বার্ষিক চাঁদা দেওয়া না হলে এই সুবিধা পাবেন না। বিদ্যমান আইনেও এই বিধানটি রয়েছে তবে সেখানে প্রাথমিক সদস্য ২০ টাকা ও বার্ষিক চাঁদা রয়েছে ২ টাকা। প্রস্ত্মাবিত আইনের চাঁদার পরিমাণ ট্রাস্ট নির্ধারণ করবে বলে বলা হয়েছে।

বিদ্যমান আইনের মত প্রস্তাবিত আইনেও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ট্রাস্টের চেয়ারম্যান হবেন। বিলের উদ্দেশ্য সম্পর্কিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও পোষ্যদের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সাহায্য দেওয়া এবং মৃত্যুবরণকৃত শিক্ষকের নাবালক/প্রতিবন্ধী/বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন সন্তান/তৃতীয় লিঙ্গের সন্তান/সন্তানাদি প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত লেখাপড়ার খরচ ট্রাস্টের তহবিল থেকে দিতে এই আইনটি প্রণয়ন করা হয়েছে।

প্রস্তাবিত আইনটি প্রণীত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পরিবার ও তাঁদের পোষ্যদের কল্যাণে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে বলে এতে উল্লেখ করা হয়।

একটি আইন বিলোপ ও একটি বিল প্রত্যাহার

সংসদের গত অধিবেশনে উত্থাপিত সরকারি চাকরি (সংশোধন) বিল-২০২২ প্রত্যাহার করা হয়েছে। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী সোমবার সংসদের কার্যপ্রণালী বিধির ৯৩ বিধি মোতাবেক বিলটি প্রত্যাহারের আবেদন করেন। পরে কণ্ঠভোটে বিল প্রস্তাবের প্রস্তাবটি পাস হয়।

এর আগে গত ২৯ আগস্ট জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বিলটি সংসদে তোলেন। পরে তা সংসদীয় কমিটিতে পাঠনো হয়। তবে বিলটি প্রত্যাহারের কোন কারণ বলেননি প্রতিমন্ত্রী। প্রসঙ্গত সরকারি চাকরি আইনের একাধিক ধারা নিয়ে বর্তমানে উচ্চ আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।

এদিকে সোমবার সংসদে ঢাকা, খুলনাসহ বিভিন্ন বিভাগের উন্নয়ন বোর্ডগুলো রহিতকরণে সংসদে বিল তোলা হয়েছে। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক উন্নয়ন বোর্ড আইনসমুহ (রহিতকরন) বিল ২০২২ উত্থাপন করলে তা আইন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।

এই রহিতকরণ বিল পাস হলে অনুযায়ী খুলনা বিভাগ উন্নয়ন বোর্ড, রাজশাহী বিভাগ উন্নয়ন বোর্ড, ঢাকা বিভাগ উন্নয়ন বোর্ড, চট্টগ্রাম বিভাগ উন্নয়ন বোর্ড, চট্টগ্রাম জেলা উন্নয়ন বোর্ড, কুমিল্লা, নোয়াখালী ও সিলেট উন্নয়ন বোর্ড এবং উন্নয়ন বোর্ড লজ (রহিতকরণ) বিলোপ হবে।