সাংস্কৃতিক উজ্জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে রবি: উপাচার্য

মঞ্চে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ।

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন ডেস্ক 

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত শাহজাদপুর রবীন্দ্র কাছারি বাড়ির মিলনায়তনে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মতবিনিময় সভা আজ সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শাহ্ আজম-এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক মেরিনা জাহান কবিতা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, অনুষ্ঠানকে ঘিরে রবীন্দ্র কাছারি বাড়িকে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ এবং শাহজাদপুরের বিভিন্ন স্তরের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সমাগমে মুখরিত হয়ে উঠেছিল কাছারি বাড়ি প্রাঙ্গণ। রবীন্দ্র সংগীতের অমিয় সুর আর নৃত্যের তালে মোহিত হয়ে উঠেছিল অনুষ্ঠানে উপস্থিত শত শত রবীন্দ্রপ্রেমী।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শাহ্ আজম।

সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শাহ্ আজম বলেন, কেবল পুঁথিবদ্ধ বিদ্যার মধ্য দিয়ে স্নাতক তৈরি নয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় দৃষ্টি দেয় শিক্ষার্থীদের সংবেদনশীলতার অনুশীলনে। তিনি বলেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সহশিক্ষামূলক সংগঠন শিক্ষার্থীদের মানবিক মননশীলতা গঠনে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে যাচ্ছে। তবে স্থায়ী ক্যাম্পাস না থাকায় সেসব কর্মকান্ড কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। খুব শীঘ্রই স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের প্রস্তাবনা সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলে পাঠাবে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামাঙ্কিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বিনামূল্যে কাছারিবাড়ি ব্যবহারের দাবি জানিয়ে উপাচার্য বলেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কাছারিবাড়ি প্রাঙ্গণ ব্যবহার করে শিক্ষা ও সংস্কৃতি চর্চা করলে রবীন্দ্রভাবনা ও সংস্কৃতি-প্রেমী শিক্ষার্থীরা এ দেশের সংস্কৃতি চর্চায় নেতৃত্ব দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত রবীন্দ্রপ্রেমীরা।

মতবিনিময়কালে প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জমিতেই শান্তিনিকেতনের আদলে বিশাল ক্যাম্পাস হবে যেখানে শিক্ষার্থীরা মুক্তবুদ্ধি ও সংস্কৃতির চর্চা করবে। তিনি আরও বলেন, আজ থেকে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে নির্বাধে কাছারি বাড়ি শিক্ষা ও সংস্কৃতির চর্চা করবে।

সংসদ সদস্য অধ্যাপক মেরিনা জাহান কবিতা বলেন, বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে উজ্জ্বীবিত করতে সংস্কৃতি চর্চার বিকল্প নেই। দেশের শিল্প ও সংস্কৃতির বিস্তারে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। রবীন্দ্র কাছারি বাড়ি হবে সেই চর্চার কেন্দ্রস্থল।

মতবিনিময় শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

এমবিএইচ/এসএস

সাংস্কৃতিক উজ্জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে রবি: উপাচার্য

মঞ্চে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ।

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন ডেস্ক 

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত শাহজাদপুর রবীন্দ্র কাছারি বাড়ির মিলনায়তনে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মতবিনিময় সভা আজ সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শাহ্ আজম-এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক মেরিনা জাহান কবিতা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, অনুষ্ঠানকে ঘিরে রবীন্দ্র কাছারি বাড়িকে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ এবং শাহজাদপুরের বিভিন্ন স্তরের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সমাগমে মুখরিত হয়ে উঠেছিল কাছারি বাড়ি প্রাঙ্গণ। রবীন্দ্র সংগীতের অমিয় সুর আর নৃত্যের তালে মোহিত হয়ে উঠেছিল অনুষ্ঠানে উপস্থিত শত শত রবীন্দ্রপ্রেমী।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শাহ্ আজম।

সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শাহ্ আজম বলেন, কেবল পুঁথিবদ্ধ বিদ্যার মধ্য দিয়ে স্নাতক তৈরি নয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় দৃষ্টি দেয় শিক্ষার্থীদের সংবেদনশীলতার অনুশীলনে। তিনি বলেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সহশিক্ষামূলক সংগঠন শিক্ষার্থীদের মানবিক মননশীলতা গঠনে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে যাচ্ছে। তবে স্থায়ী ক্যাম্পাস না থাকায় সেসব কর্মকান্ড কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। খুব শীঘ্রই স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের প্রস্তাবনা সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলে পাঠাবে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামাঙ্কিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বিনামূল্যে কাছারিবাড়ি ব্যবহারের দাবি জানিয়ে উপাচার্য বলেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কাছারিবাড়ি প্রাঙ্গণ ব্যবহার করে শিক্ষা ও সংস্কৃতি চর্চা করলে রবীন্দ্রভাবনা ও সংস্কৃতি-প্রেমী শিক্ষার্থীরা এ দেশের সংস্কৃতি চর্চায় নেতৃত্ব দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত রবীন্দ্রপ্রেমীরা।

মতবিনিময়কালে প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জমিতেই শান্তিনিকেতনের আদলে বিশাল ক্যাম্পাস হবে যেখানে শিক্ষার্থীরা মুক্তবুদ্ধি ও সংস্কৃতির চর্চা করবে। তিনি আরও বলেন, আজ থেকে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে নির্বাধে কাছারি বাড়ি শিক্ষা ও সংস্কৃতির চর্চা করবে।

সংসদ সদস্য অধ্যাপক মেরিনা জাহান কবিতা বলেন, বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে উজ্জ্বীবিত করতে সংস্কৃতি চর্চার বিকল্প নেই। দেশের শিল্প ও সংস্কৃতির বিস্তারে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। রবীন্দ্র কাছারি বাড়ি হবে সেই চর্চার কেন্দ্রস্থল।

মতবিনিময় শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

এমবিএইচ/এসএস