সার্টিফিকেট সর্বস্ব শিক্ষা নয়: রাষ্ট্রপতি
শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন ডেস্ক
বক্তব্য দিচ্ছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি)-এর ৬ষ্ঠ সমাবর্তন ২২ ফেব্রুয়ারি মিরপুর সেনানিবাসের বিইউপি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদ সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, এমপি।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, একটি জাতিকে গড়ে তোলার প্রথম সোপান হচ্ছে শিক্ষা। শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়ন নয়, বরং বুদ্ধিবৃত্তির উন্নয়ন, অসাম্প্রদায়িক জীবনবোধ, সর্বোপরি গভীর দেশপ্রেম জাগ্রত করার একমাত্র উপায় হচ্ছে মানসম্মত শিক্ষা। শিক্ষকদের দায়িত্ব শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানুষের প্রতি সুগভীর শ্রদ্ধা ও বিদ্যার প্রতি গৌরববোধ জাগ্রত করা। আমাদের শিক্ষকদের এ বিষয়টি মাথায় রেখে শিক্ষাদানের কাজে আত্ননিয়োগ করতে হবে। শিক্ষার সাথে আনন্দের সংযোগ ঘটাতে হবে। সার্টিফিকেট সর্বস্ব শিক্ষা নয়, নোট মুখস্থ করে পাস করার শিক্ষা নয়, আলোকিত মানুষ হওয়ার শিক্ষা প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, গ্র্যাজুয়েটরা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লালন করে সামনের দিকে অগ্রসর হবেন এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়ন তথা একটি সুখী, সমৃদ্ধ, স্বনির্ভর ও আত্নমর্যাদাশীল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রাখবেন।
রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে ক্রেস্ট গ্রহণ করছেন একজন।
সমাবর্তন বক্তা তাঁর ভাষণে সদ্য গ্র্যাজুয়েটদেরকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে দেশাত্ববোধ ও দেশপ্রেম সকলের চেতনা, মনন ও কর্মে স্থাপন করা অবশ্যক। তিনি গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশে আরও বলেন রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের জন্য সকলের অর্জিত প্রজ্ঞা ও জ্ঞান জনকল্যাণে ছড়িয়ে দিতে হবে।
উপাচার্য মেজর জেনারেল মো. মাহবুল উল আলম নতুন গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশে বলেন, শিক্ষার্থীরা ইতোমধ্যে যে সময়টা অতিক্রম করেছেন সামনের জীবনটা তার চেয়ে ব্যতিক্রমধর্মী চ্যালেঞ্জিং ও প্রতিযোগিতাপূর্ণ। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীরা যে শিক্ষা ও জ্ঞান অর্জন করেছেন, এর মাধ্যমে তাঁরা ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সক্ষম হবেন বলে তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন। তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন যে, একজন সুশৃঙ্খল, নৈতিকতা সম্পন্ন সুনাগরিক গড়ে তুলতে বিইউপি বদ্ধ পরিকার এবং সে লক্ষ্যেই প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে।
সমাবর্তনে অনবদ্য ফলাফলের জন্য ৩৬ জন শিক্ষার্থীকে চ্যান্সেলরস গোল্ড মেডেল এবং ২৯ জন শিক্ষার্থীকে ভাইস চ্যান্সেলরস গোল্ড মেডেল প্রদান করা হয়। সমাবর্তনে বিদেশি গ্র্যাজুয়েটসহ সর্বমোট ৪ হাজার ৮৮০ জন গ্র্যাজুয়েট সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করেন।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সম্মানীত মন্ত্রীবর্গ, ভারপ্রাপ্ত নৌ ও বিমানবাহিনী প্রধানগণ, সংসদ সদস্য, সচিব, গণমাধ্যম ব্যক্তিবর্গ, শিক্ষাবিদ, সমাজের বিভিন্নস্তরের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, বিইউপির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
এমবিএইচ/এসএস
সার্টিফিকেট সর্বস্ব শিক্ষা নয়: রাষ্ট্রপতি
শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন ডেস্ক
বক্তব্য দিচ্ছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি)-এর ৬ষ্ঠ সমাবর্তন ২২ ফেব্রুয়ারি মিরপুর সেনানিবাসের বিইউপি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদ সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, এমপি।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, একটি জাতিকে গড়ে তোলার প্রথম সোপান হচ্ছে শিক্ষা। শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়ন নয়, বরং বুদ্ধিবৃত্তির উন্নয়ন, অসাম্প্রদায়িক জীবনবোধ, সর্বোপরি গভীর দেশপ্রেম জাগ্রত করার একমাত্র উপায় হচ্ছে মানসম্মত শিক্ষা। শিক্ষকদের দায়িত্ব শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানুষের প্রতি সুগভীর শ্রদ্ধা ও বিদ্যার প্রতি গৌরববোধ জাগ্রত করা। আমাদের শিক্ষকদের এ বিষয়টি মাথায় রেখে শিক্ষাদানের কাজে আত্ননিয়োগ করতে হবে। শিক্ষার সাথে আনন্দের সংযোগ ঘটাতে হবে। সার্টিফিকেট সর্বস্ব শিক্ষা নয়, নোট মুখস্থ করে পাস করার শিক্ষা নয়, আলোকিত মানুষ হওয়ার শিক্ষা প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, গ্র্যাজুয়েটরা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লালন করে সামনের দিকে অগ্রসর হবেন এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়ন তথা একটি সুখী, সমৃদ্ধ, স্বনির্ভর ও আত্নমর্যাদাশীল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রাখবেন।
রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে ক্রেস্ট গ্রহণ করছেন একজন।
সমাবর্তন বক্তা তাঁর ভাষণে সদ্য গ্র্যাজুয়েটদেরকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে দেশাত্ববোধ ও দেশপ্রেম সকলের চেতনা, মনন ও কর্মে স্থাপন করা অবশ্যক। তিনি গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশে আরও বলেন রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের জন্য সকলের অর্জিত প্রজ্ঞা ও জ্ঞান জনকল্যাণে ছড়িয়ে দিতে হবে।
উপাচার্য মেজর জেনারেল মো. মাহবুল উল আলম নতুন গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশে বলেন, শিক্ষার্থীরা ইতোমধ্যে যে সময়টা অতিক্রম করেছেন সামনের জীবনটা তার চেয়ে ব্যতিক্রমধর্মী চ্যালেঞ্জিং ও প্রতিযোগিতাপূর্ণ। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীরা যে শিক্ষা ও জ্ঞান অর্জন করেছেন, এর মাধ্যমে তাঁরা ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সক্ষম হবেন বলে তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন। তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন যে, একজন সুশৃঙ্খল, নৈতিকতা সম্পন্ন সুনাগরিক গড়ে তুলতে বিইউপি বদ্ধ পরিকার এবং সে লক্ষ্যেই প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে।
সমাবর্তনে অনবদ্য ফলাফলের জন্য ৩৬ জন শিক্ষার্থীকে চ্যান্সেলরস গোল্ড মেডেল এবং ২৯ জন শিক্ষার্থীকে ভাইস চ্যান্সেলরস গোল্ড মেডেল প্রদান করা হয়। সমাবর্তনে বিদেশি গ্র্যাজুয়েটসহ সর্বমোট ৪ হাজার ৮৮০ জন গ্র্যাজুয়েট সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করেন।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সম্মানীত মন্ত্রীবর্গ, ভারপ্রাপ্ত নৌ ও বিমানবাহিনী প্রধানগণ, সংসদ সদস্য, সচিব, গণমাধ্যম ব্যক্তিবর্গ, শিক্ষাবিদ, সমাজের বিভিন্নস্তরের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, বিইউপির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
এমবিএইচ/এসএস