সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজের অধ্যক্ষকে অব্যাহতি

প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কানিজ মাহমুদা আক্তার।

আর্থিক অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির অভিযোগে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কানিজ মাহমুদা আক্তারকে অব্যাহতির নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। তবে নতুন অধ্যক্ষ নির্বাচনের আগ পর্যন্ত তিনি অতিরিক্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করবেন।

গতকাল সোমবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কলেজ পরিদর্শক ফাহিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে কলেজটির গভর্নিং বডির সভাপতিকে জ্যেষ্ঠ পাঁচ শিক্ষকের মধ্যে একজনকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দিতে বলা হয়েছে।

দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে অধ্যক্ষ কানিজ মাহমুদা আক্তারের বিরুদ্ধে কলেজের ফুট ওভারব্রিজ তৈরিতে দুর্নীতি, তহবিলের অর্থ ইচ্ছেমতো ব্যবহার, স্বজনপ্রীতি, নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত চলমান রয়েছে। নিয়োগ বাণিজ্যের বিরুদ্ধে একটি রিটও হয়েছে হাইকোর্টে। এ অবস্থায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অব্যাহতির এই চিঠি দেয়া হয়েছে।

গভর্নিং বডির সভাপতির কাছে পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ের শিক্ষক কানিজ মাহমুদা আক্তারকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো। বিধি অনুযায়ী জ্যেষ্ঠ পাঁচজন শিক্ষকের মধ্য থেকে একজনকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রদান করতে কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতিকে অনুরোধ করা হলো।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, অনতিবিলম্বে অধ্যক্ষ নিয়োগের কার্যক্রম গ্রহণ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে অবহিত করতে হবে। এ ছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চিঠি পাওয়ার পর কানিজ মাহমুদা আক্তারের কাছ থেকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে স্বাক্ষরিত কোনো প্রকার কাগজপত্র বা আবেদন বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রহণ করা হবে না।

অধ্যক্ষের কাছে আরেকটি চিঠিতে বলা হয়েছে, কলেজের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে অব্যাহত রাখার স্বার্থে অ্যাডহক কমিটির মেয়াদ ২১ অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের ২০ এপ্রিল পর্যন্ত ছয় মাস বৃদ্ধি করা হলো। এই সময়ের মধ্যে নিয়মিত গর্ভনিং বডি গঠনের কার্যক্রম অবশ্যই সম্পন্ন করতে হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘সিদ্ধেশ্বরী কলেজে তিনি অতিরিক্ত অধ্যক্ষের দায়িত্বে আছেন, তবে অধ্যক্ষ হিসেবে নেই। সে কারণে আমরা সিদ্ধেশ্বরী কলেজের নতুন অধ্যক্ষ নির্বাচনে চিঠি দিয়েছি। এ ছাড়া অন্য যেসব কলেজে এমন অধ্যক্ষ আছেন, সবাইকে ধাপে ধাপে চিঠি দেয়া হবে। গভর্নিং বডির কাজ হবে নতুন অধ্যক্ষ নেয়া।’

সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজের অধ্যক্ষকে অব্যাহতি

প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কানিজ মাহমুদা আক্তার।

আর্থিক অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির অভিযোগে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কানিজ মাহমুদা আক্তারকে অব্যাহতির নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। তবে নতুন অধ্যক্ষ নির্বাচনের আগ পর্যন্ত তিনি অতিরিক্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করবেন।

গতকাল সোমবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কলেজ পরিদর্শক ফাহিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে কলেজটির গভর্নিং বডির সভাপতিকে জ্যেষ্ঠ পাঁচ শিক্ষকের মধ্যে একজনকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দিতে বলা হয়েছে।

দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে অধ্যক্ষ কানিজ মাহমুদা আক্তারের বিরুদ্ধে কলেজের ফুট ওভারব্রিজ তৈরিতে দুর্নীতি, তহবিলের অর্থ ইচ্ছেমতো ব্যবহার, স্বজনপ্রীতি, নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত চলমান রয়েছে। নিয়োগ বাণিজ্যের বিরুদ্ধে একটি রিটও হয়েছে হাইকোর্টে। এ অবস্থায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অব্যাহতির এই চিঠি দেয়া হয়েছে।

গভর্নিং বডির সভাপতির কাছে পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ের শিক্ষক কানিজ মাহমুদা আক্তারকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো। বিধি অনুযায়ী জ্যেষ্ঠ পাঁচজন শিক্ষকের মধ্য থেকে একজনকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রদান করতে কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতিকে অনুরোধ করা হলো।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, অনতিবিলম্বে অধ্যক্ষ নিয়োগের কার্যক্রম গ্রহণ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে অবহিত করতে হবে। এ ছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চিঠি পাওয়ার পর কানিজ মাহমুদা আক্তারের কাছ থেকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে স্বাক্ষরিত কোনো প্রকার কাগজপত্র বা আবেদন বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রহণ করা হবে না।

অধ্যক্ষের কাছে আরেকটি চিঠিতে বলা হয়েছে, কলেজের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে অব্যাহত রাখার স্বার্থে অ্যাডহক কমিটির মেয়াদ ২১ অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের ২০ এপ্রিল পর্যন্ত ছয় মাস বৃদ্ধি করা হলো। এই সময়ের মধ্যে নিয়মিত গর্ভনিং বডি গঠনের কার্যক্রম অবশ্যই সম্পন্ন করতে হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘সিদ্ধেশ্বরী কলেজে তিনি অতিরিক্ত অধ্যক্ষের দায়িত্বে আছেন, তবে অধ্যক্ষ হিসেবে নেই। সে কারণে আমরা সিদ্ধেশ্বরী কলেজের নতুন অধ্যক্ষ নির্বাচনে চিঠি দিয়েছি। এ ছাড়া অন্য যেসব কলেজে এমন অধ্যক্ষ আছেন, সবাইকে ধাপে ধাপে চিঠি দেয়া হবে। গভর্নিং বডির কাজ হবে নতুন অধ্যক্ষ নেয়া।’