সিভাসু দেশের একমাত্র ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত
মো. আশিকুর রহমান
শিক্ষার গুণগতমান, উন্নত গবেষণা কার্যক্রম এবং দেশের আর্থসামাজিক চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৬ সালের ৭ আগস্ট সরকার চট্টগ্রাম সরকারি ভেটেরিনারি কলেজকে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় তথা চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) রূপান্তরিত করে। এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বর্তমানে স্নাতক, এমএস, এমপিএইচ ও পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান করা হচ্ছে। দেশের বিশেষায়িত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সিভাসু অন্যতম। বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
অনুষদ ও বিভাগসমূহ
বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ তিনটি অনুষদের অধীনে রয়েছে ১৮টি বিভাগ। অনুষদগুলো হলো-ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদ, ফুড সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদ, ফিশারিজ অনুষদ।
শিক্ষা কার্যক্রম
(ক) রিসার্চ অ্যান্ড ফার্ম বেইস্ড ক্যাম্পাস, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম মাঠ পর্যায়ে গবেষণা ও হাতে-কলমে প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস (রিসার্চ অ্যান্ড ফার্ম বেইস্ড ক্যাম্পাস) স্থাপন করা হয়েছে। প্রায় ২০ একর জমির ওপর স্থাপিত উক্ত ক্যাম্পাসে দুটি ইনস্টিটিউট, দুটি অনুষদ, গবেষণাকেন্দ্র ও ল্যাবরেটরি স্থাপনের কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। আগামী শিক্ষাবর্ষে দুটি অনুষদে ছাত্রছাত্রী ভর্তি করা হবে।
(খ) টিচিং অ্যান্ড ট্রেনিং পেট হসপিটাল ও রিসার্চ সেন্টার, পূর্বাচল, ঢাকা পোষা প্রাণীর যথাযথ চিকিৎসাসেবা প্রদান ও হাতে-কলমে জ্ঞান লাভের উদ্দেশে ঢাকার পূর্বাচলে টিচিং অ্যান্ড ট্রেনিং পেট হসপিটাল ও রিসার্চ সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। উক্ত ক্যাম্পাসে প্রতিদিন অসংখ্য পোষা প্রাণীর চিকিৎসাসেবা প্রদানের পাশাপাশি বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। এর ফলে দেশে দক্ষ ভেটেরিনারি গ্র্যাজুয়েট তৈরির দ্বার উন্মুক্ত হয়েছে। প্রাণীর চিকিৎসাসেবা প্রদানের বিনিময়ে অর্জিত অর্থ দ্বারাই উক্ত ক্যাম্পাসের যাবতীয় ব্যয় নির্বাহ করা হয়ে থাকে।
(গ) কোস্টাল বায়োডাইভার্সিটি, মেরিন ফিশারিজ অ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ রিসার্চ সেন্টার, কক্সবাজার কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন দরিয়ানগর এলাকায় কোস্টাল বায়োডাইভার্সিটি, মেরিন ফিশারিজ অ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ রিসার্চ সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। উক্ত ক্যাম্পাসে বঙ্গোপসাগরের নোনা পানি ব্যবহার করে ভেটকি মাছের পোনা উৎপাদনের লক্ষ্যে হ্যাচারি স্থাপন করা হয়েছে। মালয়েশিয়ান কারিগরি প্রযুক্তিতে তৈরি উক্ত হ্যাচারিতে পোনা উৎপাদন শুরু হলে দেশের মৎস্য ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হবে। ইতিমধ্যে এখানে নরম খোলসের কাঁকড়া চাষের পদ্ধতি উদ্ভাবন করে বিজ্ঞানীরা সাফল্য লাভ করেছেন।
(ঘ) বিশেষায়িত গবেষণা তরি (রিসার্চ ভেসেল) নির্মাণ, কাপ্তাই লেক, রাঙামাটি জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে রাঙামাটির কাপ্তাই লেকে একটি বিশেষায়িত গবেষণা তরি (রিসার্চ ভেসেল) নির্মাণ করা হয়েছে। এই লেকের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে প্রয়োজন আধুনিক, সময়োপযোগী ও সমন্বিত প্রচেষ্টা; যাহা একমাত্র কার্যকরী গবেষণার মাধ্যমেই সম্ভব। গবেষণার মাধ্যমে মাছের প্রজননক্ষেত্রগুলো নির্ণয় করা এবং উৎপাদন ৫-১০ গুণ বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে মালয়েশিয়ার তেরেঙ্গানু বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুকরণে কাপ্তাই লেকে প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে ভ্রাম্যমাণ গবেষণা তরি।
(ঙ) ওয়ান হেল্থ ইনস্টিটিউট বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অনুমোদনক্রমে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ওয়ান হেল্থ ইনস্টিটিউট’ প্রতিষ্ঠা করা হইয়াছে। বর্তমানে উক্ত ইনস্টিটিউট থেকে মাস্টার্স ইন পাবলিক হেল্থ (এমপিএইচ) ডিগ্রি প্রদান করা হচ্ছে। এমবিবিএস ডিগ্রিধারী পেশাজীবী/শিক্ষার্থীরাই মূলত এই ইনস্টিটিউটে অধ্যয়ন করছেন। এই ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে জুনোটিক ডিজিজ বা সংক্রামক ব্যাধি নিয়ে উচ্চতর গবেষণা হবে। এখানে কোনো রাজস্ব বাজেট দেওয়া হয় না। নিজস্ব আয় হতে ব্যয় করা হয়ে থাকে।
(চ) পোলট্রি রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার (পিআরটিসি)বিশ্ববিদ্যালয়ের পোলট্রি রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারে “অ্যানিমেল ডিজিজ ডায়াগনস্টিক” এবং “ফিড অ্যানালাইসিস অ্যান্ড ফুড সেফটি” নামে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতিসমৃদ্ধ দুটি ল্যাবরেটরি স্থাপন করেছেন বর্তমান উপাচার্য। এই ল্যাবসমূহে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের মাধ্যমে আমদানিকৃত প্রাণী খাদ্যের গুণাগুণ পরীক্ষা এবং প্রাণীর রোগ নিরূপণে ডায়াগনস্টিক সেবা প্রদান করা হয়ে থাকে। উক্ত সেন্টারের মাধ্যমে খামারিদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ প্রদান করা হয়ে থাকে। মাস্টার্স ও পিএইচডি পর্যায়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরাও পিআরটিসির ল্যাবরেটরিতে গবেষণা করে থাকেন। এখানে করোনা-১৯ এর সংকটময় সময়ে আমদানিকৃত গুরুত্বপূর্ণ কাঁচামাল চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ছাড়করণের শর্ত হিসেবে নমুনা পরীক্ষা কার্যক্রম বিশেষ ব্যবস্থায় চালু ছিল।
আমাদের শিক্ষার্থীদের বিশ্বমানের ডিগ্রি প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ গ্র্যাজুয়েট হিসেবে তৈরি করতে চাই, যাতে তারা বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে টিকে থাকতে পারে এবং স্ব স্ব ক্ষেত্রে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করতে পারে। আর সে লক্ষ্যেই আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
বর্তমানে আমাদের শিক্ষার্থীদের শতভাগ বিদেশে ইন্টার্নশিপ করছে। যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের সঙ্গে যৌথ কল্যাবরেশনের মাধ্যমে আমরা শিক্ষা ও গবেষণা বিনিময় করছি। আমাদের আউটরিচ ক্যাম্পাসে ছাত্রছাত্রীরা হাতে-কলমে জ্ঞান অর্জনের সুযোগ পাচ্ছে। আর হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ, গবেষণা কর্মকাণ্ড ও নানামুখী উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার উপযোগী দক্ষ গ্র্যাজুয়েট হিসেবে গড়ে তোলার নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ, উপাচার্য, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়

সিভাসু দেশের একমাত্র ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত
মো. আশিকুর রহমান
শিক্ষার গুণগতমান, উন্নত গবেষণা কার্যক্রম এবং দেশের আর্থসামাজিক চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৬ সালের ৭ আগস্ট সরকার চট্টগ্রাম সরকারি ভেটেরিনারি কলেজকে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় তথা চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) রূপান্তরিত করে। এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বর্তমানে স্নাতক, এমএস, এমপিএইচ ও পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান করা হচ্ছে। দেশের বিশেষায়িত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সিভাসু অন্যতম। বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
অনুষদ ও বিভাগসমূহ
বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ তিনটি অনুষদের অধীনে রয়েছে ১৮টি বিভাগ। অনুষদগুলো হলো-ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদ, ফুড সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদ, ফিশারিজ অনুষদ।
শিক্ষা কার্যক্রম
(ক) রিসার্চ অ্যান্ড ফার্ম বেইস্ড ক্যাম্পাস, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম মাঠ পর্যায়ে গবেষণা ও হাতে-কলমে প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস (রিসার্চ অ্যান্ড ফার্ম বেইস্ড ক্যাম্পাস) স্থাপন করা হয়েছে। প্রায় ২০ একর জমির ওপর স্থাপিত উক্ত ক্যাম্পাসে দুটি ইনস্টিটিউট, দুটি অনুষদ, গবেষণাকেন্দ্র ও ল্যাবরেটরি স্থাপনের কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। আগামী শিক্ষাবর্ষে দুটি অনুষদে ছাত্রছাত্রী ভর্তি করা হবে।
(খ) টিচিং অ্যান্ড ট্রেনিং পেট হসপিটাল ও রিসার্চ সেন্টার, পূর্বাচল, ঢাকা পোষা প্রাণীর যথাযথ চিকিৎসাসেবা প্রদান ও হাতে-কলমে জ্ঞান লাভের উদ্দেশে ঢাকার পূর্বাচলে টিচিং অ্যান্ড ট্রেনিং পেট হসপিটাল ও রিসার্চ সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। উক্ত ক্যাম্পাসে প্রতিদিন অসংখ্য পোষা প্রাণীর চিকিৎসাসেবা প্রদানের পাশাপাশি বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। এর ফলে দেশে দক্ষ ভেটেরিনারি গ্র্যাজুয়েট তৈরির দ্বার উন্মুক্ত হয়েছে। প্রাণীর চিকিৎসাসেবা প্রদানের বিনিময়ে অর্জিত অর্থ দ্বারাই উক্ত ক্যাম্পাসের যাবতীয় ব্যয় নির্বাহ করা হয়ে থাকে।
(গ) কোস্টাল বায়োডাইভার্সিটি, মেরিন ফিশারিজ অ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ রিসার্চ সেন্টার, কক্সবাজার কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন দরিয়ানগর এলাকায় কোস্টাল বায়োডাইভার্সিটি, মেরিন ফিশারিজ অ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ রিসার্চ সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। উক্ত ক্যাম্পাসে বঙ্গোপসাগরের নোনা পানি ব্যবহার করে ভেটকি মাছের পোনা উৎপাদনের লক্ষ্যে হ্যাচারি স্থাপন করা হয়েছে। মালয়েশিয়ান কারিগরি প্রযুক্তিতে তৈরি উক্ত হ্যাচারিতে পোনা উৎপাদন শুরু হলে দেশের মৎস্য ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হবে। ইতিমধ্যে এখানে নরম খোলসের কাঁকড়া চাষের পদ্ধতি উদ্ভাবন করে বিজ্ঞানীরা সাফল্য লাভ করেছেন।
(ঘ) বিশেষায়িত গবেষণা তরি (রিসার্চ ভেসেল) নির্মাণ, কাপ্তাই লেক, রাঙামাটি জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে রাঙামাটির কাপ্তাই লেকে একটি বিশেষায়িত গবেষণা তরি (রিসার্চ ভেসেল) নির্মাণ করা হয়েছে। এই লেকের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে প্রয়োজন আধুনিক, সময়োপযোগী ও সমন্বিত প্রচেষ্টা; যাহা একমাত্র কার্যকরী গবেষণার মাধ্যমেই সম্ভব। গবেষণার মাধ্যমে মাছের প্রজননক্ষেত্রগুলো নির্ণয় করা এবং উৎপাদন ৫-১০ গুণ বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে মালয়েশিয়ার তেরেঙ্গানু বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুকরণে কাপ্তাই লেকে প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে ভ্রাম্যমাণ গবেষণা তরি।
(ঙ) ওয়ান হেল্থ ইনস্টিটিউট বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অনুমোদনক্রমে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ওয়ান হেল্থ ইনস্টিটিউট’ প্রতিষ্ঠা করা হইয়াছে। বর্তমানে উক্ত ইনস্টিটিউট থেকে মাস্টার্স ইন পাবলিক হেল্থ (এমপিএইচ) ডিগ্রি প্রদান করা হচ্ছে। এমবিবিএস ডিগ্রিধারী পেশাজীবী/শিক্ষার্থীরাই মূলত এই ইনস্টিটিউটে অধ্যয়ন করছেন। এই ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে জুনোটিক ডিজিজ বা সংক্রামক ব্যাধি নিয়ে উচ্চতর গবেষণা হবে। এখানে কোনো রাজস্ব বাজেট দেওয়া হয় না। নিজস্ব আয় হতে ব্যয় করা হয়ে থাকে।
(চ) পোলট্রি রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার (পিআরটিসি)বিশ্ববিদ্যালয়ের পোলট্রি রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারে “অ্যানিমেল ডিজিজ ডায়াগনস্টিক” এবং “ফিড অ্যানালাইসিস অ্যান্ড ফুড সেফটি” নামে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতিসমৃদ্ধ দুটি ল্যাবরেটরি স্থাপন করেছেন বর্তমান উপাচার্য। এই ল্যাবসমূহে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের মাধ্যমে আমদানিকৃত প্রাণী খাদ্যের গুণাগুণ পরীক্ষা এবং প্রাণীর রোগ নিরূপণে ডায়াগনস্টিক সেবা প্রদান করা হয়ে থাকে। উক্ত সেন্টারের মাধ্যমে খামারিদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ প্রদান করা হয়ে থাকে। মাস্টার্স ও পিএইচডি পর্যায়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরাও পিআরটিসির ল্যাবরেটরিতে গবেষণা করে থাকেন। এখানে করোনা-১৯ এর সংকটময় সময়ে আমদানিকৃত গুরুত্বপূর্ণ কাঁচামাল চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ছাড়করণের শর্ত হিসেবে নমুনা পরীক্ষা কার্যক্রম বিশেষ ব্যবস্থায় চালু ছিল।
আমাদের শিক্ষার্থীদের বিশ্বমানের ডিগ্রি প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ গ্র্যাজুয়েট হিসেবে তৈরি করতে চাই, যাতে তারা বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে টিকে থাকতে পারে এবং স্ব স্ব ক্ষেত্রে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করতে পারে। আর সে লক্ষ্যেই আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
বর্তমানে আমাদের শিক্ষার্থীদের শতভাগ বিদেশে ইন্টার্নশিপ করছে। যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের সঙ্গে যৌথ কল্যাবরেশনের মাধ্যমে আমরা শিক্ষা ও গবেষণা বিনিময় করছি। আমাদের আউটরিচ ক্যাম্পাসে ছাত্রছাত্রীরা হাতে-কলমে জ্ঞান অর্জনের সুযোগ পাচ্ছে। আর হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ, গবেষণা কর্মকাণ্ড ও নানামুখী উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার উপযোগী দক্ষ গ্র্যাজুয়েট হিসেবে গড়ে তোলার নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ, উপাচার্য, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়