ঘুস গ্রহণের অভিযোগ প্রমাণিত

হবিগঞ্জে বহাল তবিয়তে শিক্ষা কর্মকর্তা

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

হবিগঞ্জ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল্লাহর বিরুদ্ধে শিক্ষকদের কাছে থেকে ঘুস গ্রহণের অভিযোগ তদন্ত পর্যন্তই আটকে আছে। তদন্তের সত্যতা মিললেও এখনও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। দুই বছর ধরে আটকে আছে ফাইল। এমনকি তার বিরুদ্ধে শিক্ষকদের সঙ্গে অশোভন আচরণেরও অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষকদের মধ্যে দ্বন্দ্বও সৃষ্টি করেছেন। এতে শিক্ষার পরিবেশ মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত হচ্ছে। এ নিয়ে ক্ষোভের শেষ নেই শিক্ষকদের মাঝে। ক্ষোভ প্রকাশ করে বানিয়াচং উপজেলার রত্না উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু তাহের যুগান্তরকে বলেন, শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুস গ্রহণের অভিযোগ। তদন্ত পর্যন্তই আটকে গেছে। জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে প্রতিবেদন দেয়া হয়।

পরে এটি মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে আর তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। দুই বছর ধরে এটি সেখানে পড়ে আছে। উপরন্তু তাকে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। তিনি প্রতিটি স্কুল থেকে যে কোনো কাজের জন্য গেলেই টাকা নিচ্ছেন। এটি অপেন সিক্রেট। এখন শিক্ষকরা চান কত দ্রুত তিনি এখান থেকে বদলি হবেন। সদর উপজেলার রামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এমএ মতিন বলেন, একটি ফাইলও তিনি টাকা ছাড়া ছাড় দেন না। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল্লাহ বলেন, অভিযোগগুলো ভুয়া ছিল। এটি সঠিক নয়। আমি সবার ফাইলই ছেড়েছি। এটিতো অনেক আগের ঘটনা, এখন কেন এসব নিয়ে কথা হচ্ছে। তবে ঘুস গ্রহণের অভিযোগের বিষয় বার বারই তিনি এড়িয়ে গিয়ে তার অফিসে যেতে বলেন। মোবাইল ফোনে এ জাতীয় কথা বলতে চাই না বলে তিনি উল্লেখ করেন। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায় তবে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ঘুস গ্রহণের অভিযোগ প্রমাণিত

হবিগঞ্জে বহাল তবিয়তে শিক্ষা কর্মকর্তা

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

হবিগঞ্জ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল্লাহর বিরুদ্ধে শিক্ষকদের কাছে থেকে ঘুস গ্রহণের অভিযোগ তদন্ত পর্যন্তই আটকে আছে। তদন্তের সত্যতা মিললেও এখনও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। দুই বছর ধরে আটকে আছে ফাইল। এমনকি তার বিরুদ্ধে শিক্ষকদের সঙ্গে অশোভন আচরণেরও অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষকদের মধ্যে দ্বন্দ্বও সৃষ্টি করেছেন। এতে শিক্ষার পরিবেশ মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত হচ্ছে। এ নিয়ে ক্ষোভের শেষ নেই শিক্ষকদের মাঝে। ক্ষোভ প্রকাশ করে বানিয়াচং উপজেলার রত্না উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু তাহের যুগান্তরকে বলেন, শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুস গ্রহণের অভিযোগ। তদন্ত পর্যন্তই আটকে গেছে। জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে প্রতিবেদন দেয়া হয়।

পরে এটি মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে আর তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। দুই বছর ধরে এটি সেখানে পড়ে আছে। উপরন্তু তাকে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। তিনি প্রতিটি স্কুল থেকে যে কোনো কাজের জন্য গেলেই টাকা নিচ্ছেন। এটি অপেন সিক্রেট। এখন শিক্ষকরা চান কত দ্রুত তিনি এখান থেকে বদলি হবেন। সদর উপজেলার রামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এমএ মতিন বলেন, একটি ফাইলও তিনি টাকা ছাড়া ছাড় দেন না। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল্লাহ বলেন, অভিযোগগুলো ভুয়া ছিল। এটি সঠিক নয়। আমি সবার ফাইলই ছেড়েছি। এটিতো অনেক আগের ঘটনা, এখন কেন এসব নিয়ে কথা হচ্ছে। তবে ঘুস গ্রহণের অভিযোগের বিষয় বার বারই তিনি এড়িয়ে গিয়ে তার অফিসে যেতে বলেন। মোবাইল ফোনে এ জাতীয় কথা বলতে চাই না বলে তিনি উল্লেখ করেন। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায় তবে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।