হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয় : কর্মচারীর হামলায় গুরুতর আহত পাঁচ শিক্ষক

হাবিপ্রবি প্রতিনিধি

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।পুরোনো ছবি

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৫ জন শিক্ষকের ওপর হামলা চালিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের এক কর্মচারী। এ ঘটনায় গুরুতর আহত শিক্ষকরা দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ।

গতকাল বুধবার সকালে ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অফিস কক্ষে ঢুকে ধারালো অস্ত্র ও কাচ দিয়ে উপস্থিত বিভাগীয় শিক্ষকদের ওপর হামলা করেন একই বিভাগের অফিস সহায়ক মো. তাজুল ইসলাম। আহত শিক্ষকরা হলেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. বেলাল হোসাইন, সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় চেয়ারম্যান মো. রোকনুজ্জামান, প্রভাষক নির্মল চন্দ্র রায়, প্রভাষক হারুন আর রশিদ ও নবনিযুক্ত প্রভাষক মো. মাহবুবুর রহমান।

আহত সহযোগী অধ্যাপক বেলাল হোসেন বলেন, মাঝে মধ্যেই শিক্ষকদের সঙ্গে এমন রূঢ আচরণ করতেন তাজুল। কিন্তু আমরা আমলে নিতাম না। আজকে (বুধবার) আমিসহ ৫ জন শিক্ষক আমার চেম্বারে ছিলাম। তাজুল অফিসে দেরি করে আসায় আমি তার কাছে দেরি হওয়ার কারণ জানতে চাই। এসময় তিনি আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে কথা বলেন এবং চিৎকার করতে থাকেন। এর আগেও তিনি নানা সময়ে এমন আচরণ করেছে বলে আমরা প্রশাসন বরাবর উনার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগপত্র লেখার সিদ্ধান্ত নিলে তিনি অফিস থেকে মগ নিয়ে এসে সদ্য যোগ দেওয়া প্রভাষক মাহবুবুর রহমানের মাথায় প্রথমে আঘাত করেন। পরে প্রভাষক নির্মল বাধা দিতে গেলে তাকেও আঘাত করেন। এরপর একে একে প্রভাষক হারুন, আমাকে ও সবশেষে সহকারী অধ্যাপক রনিকেও আঘাত করেন তাজুল। এরপর আমাদের সবাইকে মেরে ফেলবে বলে পেছনে ধাওয়া করতে থাকে। পরে অনুষদের অন্য স্যারদের সহযোগিতায় আমাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এদিকে এ খবর জানাজানি হলে ক্ষোভে ফেটে পড়ে অনুষদের শিক্ষার্থীরা। ঘটনার পর তাজুলকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের গাড়িতে নিয়ে যাওয়ার সময় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গাড়ি ঘেরাও করে এবং উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে সেখানে অবস্থান নেয়। সেইসঙ্গে অনুষদের একাডেমিক ভবনেও তালা মেরে দেয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সমঝোতার মাধ্যমে অভিযুক্ত কর্মচারীকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।

এই ঘটনায় তৎক্ষণাৎ বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী অভিযুক্ত কর্মচারী তাজুলকে চাকরি থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে প্রশাসন। পরে তদন্ত করে তিন দিনের মধ্যে অভিযুক্ত কর্মচারীকে স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাজ্জাত হোসাইন সরকার।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মামুনুর রশিদ বলেন, আমরা তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ পরিমাণ শাস্তির ব্যবস্থা করব।’ হাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম কামরুজ্জামান বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী সম্ভাব্য সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।

হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয় : কর্মচারীর হামলায় গুরুতর আহত পাঁচ শিক্ষক

হাবিপ্রবি প্রতিনিধি

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।পুরোনো ছবি

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৫ জন শিক্ষকের ওপর হামলা চালিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের এক কর্মচারী। এ ঘটনায় গুরুতর আহত শিক্ষকরা দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ।

গতকাল বুধবার সকালে ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অফিস কক্ষে ঢুকে ধারালো অস্ত্র ও কাচ দিয়ে উপস্থিত বিভাগীয় শিক্ষকদের ওপর হামলা করেন একই বিভাগের অফিস সহায়ক মো. তাজুল ইসলাম। আহত শিক্ষকরা হলেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. বেলাল হোসাইন, সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় চেয়ারম্যান মো. রোকনুজ্জামান, প্রভাষক নির্মল চন্দ্র রায়, প্রভাষক হারুন আর রশিদ ও নবনিযুক্ত প্রভাষক মো. মাহবুবুর রহমান।

আহত সহযোগী অধ্যাপক বেলাল হোসেন বলেন, মাঝে মধ্যেই শিক্ষকদের সঙ্গে এমন রূঢ আচরণ করতেন তাজুল। কিন্তু আমরা আমলে নিতাম না। আজকে (বুধবার) আমিসহ ৫ জন শিক্ষক আমার চেম্বারে ছিলাম। তাজুল অফিসে দেরি করে আসায় আমি তার কাছে দেরি হওয়ার কারণ জানতে চাই। এসময় তিনি আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে কথা বলেন এবং চিৎকার করতে থাকেন। এর আগেও তিনি নানা সময়ে এমন আচরণ করেছে বলে আমরা প্রশাসন বরাবর উনার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগপত্র লেখার সিদ্ধান্ত নিলে তিনি অফিস থেকে মগ নিয়ে এসে সদ্য যোগ দেওয়া প্রভাষক মাহবুবুর রহমানের মাথায় প্রথমে আঘাত করেন। পরে প্রভাষক নির্মল বাধা দিতে গেলে তাকেও আঘাত করেন। এরপর একে একে প্রভাষক হারুন, আমাকে ও সবশেষে সহকারী অধ্যাপক রনিকেও আঘাত করেন তাজুল। এরপর আমাদের সবাইকে মেরে ফেলবে বলে পেছনে ধাওয়া করতে থাকে। পরে অনুষদের অন্য স্যারদের সহযোগিতায় আমাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এদিকে এ খবর জানাজানি হলে ক্ষোভে ফেটে পড়ে অনুষদের শিক্ষার্থীরা। ঘটনার পর তাজুলকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের গাড়িতে নিয়ে যাওয়ার সময় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গাড়ি ঘেরাও করে এবং উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে সেখানে অবস্থান নেয়। সেইসঙ্গে অনুষদের একাডেমিক ভবনেও তালা মেরে দেয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সমঝোতার মাধ্যমে অভিযুক্ত কর্মচারীকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।

এই ঘটনায় তৎক্ষণাৎ বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী অভিযুক্ত কর্মচারী তাজুলকে চাকরি থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে প্রশাসন। পরে তদন্ত করে তিন দিনের মধ্যে অভিযুক্ত কর্মচারীকে স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাজ্জাত হোসাইন সরকার।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মামুনুর রশিদ বলেন, আমরা তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ পরিমাণ শাস্তির ব্যবস্থা করব।’ হাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম কামরুজ্জামান বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী সম্ভাব্য সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।