হাবিপ্রবির খোলা মাঠে প্রশান্তির ইফতার

নাঈম ইসলাম সংগ্রাম

ইফতার সামনে রেখে বসে আছেন শিক্ষার্থীরা।

রমজান, সংযম ও ভ্রাতৃত্বের মাস। আর এই ভ্রাতৃত্বের মাস কে উজ্জ্বীবিত রেখে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একাংশ শনিবার ৮ এপ্রিল, খোলা মাঠেই ইফতার পালন করেন।

মুসলমানদের অন্যতম গুরত্বপূর্ণ একটি মাস হলো রমজান। খোশ আমদেদ মাহে রমজান আল্লাহর নৈকট্য লাভের সর্বোত্তম মাস। যে মাসের ফজিলত অনেক, যে মাস আল্লাহর কাছে অধিক থেকে অধিকতর প্রিয়। সারা বিশ্বের মুসলমানরা এই মাসে সুবহে সাদিক থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত খালি পেটে রোজা রাখেন।

রমজান মাসে বেশিরভাগ মানুষ, পরিবারের সাথেই ইফতার করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন৷ কিন্তু নিজেকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে দেশ গড়ার মহৎ কাজে নিজেকে নিবেদিত করতে শিক্ষার্থীরা পাড়ি দেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে। পরিবার ছেড়ে এক সময়ের অচেনা মানুষগুলোর সাথেই অন্যরকম এক পরিবার বানান শিক্ষার্থীরা।

বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একমাত্র আবাসস্থল বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো। সিনিয়র জুনিয়র বিভিন্ন ব্যাচ মিলে হলগুলো হয়ে উঠে এক অন্য রকম পরিবার। ইফতারের সময় গুলোতে বয়সের তারতম্য ভুলে গিয়ে যে যেখানে যার সাথে পারেন, বসে পড়েন ইফতার করতে। এ যেনো এক অন্য রকম সংস্কৃতির বন্ধন। এখানে ভেদাভেদ নেই কোনো ধর্মের, নেই কোনো হিংসা। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধসহ নানান ধর্মের মানুষরা একসাথে বসে ইফতার করেন।

সম্প্রীতির এক অন্যরকম উদাহরণ যেনো হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। তারই ধারাবাহিকতায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ২০ ব্যাচের বিভিন্ন বিভাগ ও অনুষদের শিক্ষার্থীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় ইফতার মাহফিল।

ইফতারের কিছুক্ষণ আগে থেকেই মাঠে একে একে জড়ো হন সবাই। নিজ নিজ ব্যস্ততা ছাড়িয়ে খোলা মাঠেই বসেন এক পর্যায়ে। প্রকৃতির নির্মল বাতাসে পেছনে ছায়ার মতো দাঁড়িয়ে থাকা বঙ্গবন্ধু হলের সামনে বসেই দোয়ার কাজটা সেরে ফেলেন। আজানের সাথে সাথেই হিন্দু-মুসলমান বৈষম্য ভুলে মেতে উঠেন ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে। একসাথে করেন ইফতার।

এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শাহরিয়ার নাজিম শাহেদ বলেন, “এই যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন, এই বন্ধন বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষকে একত্রিত করে। সকলে মিলে নিজেরাই আমরা একটা পরিবার বানিয়ে ফেলি। সেহরি থেকে শুরু করে ইবাদত এবং ইফতার আমরা একই সাথে করি। পৃথিবীর কোনো দেশে এতো সুন্দর সংস্কৃতি আছে কিনা আমার জানা নেই।”

১৪ এপ্রিল থেকে রমজান এবং ঈদের ছুটিতে বাসায় ফিরতে শুরু করবেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। যার কারণে নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষার পাশাপাশি প্রতিদিনই থাকছে কোনো না কোনো বিভাগ, অনুষদ, এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের ইফতার। ফলে ব্যস্ততাতেই কাটছে শিক্ষার্থীদের রমজান।

ইবিহো/এসএস

হাবিপ্রবির খোলা মাঠে প্রশান্তির ইফতার

নাঈম ইসলাম সংগ্রাম

ইফতার সামনে রেখে বসে আছেন শিক্ষার্থীরা।

রমজান, সংযম ও ভ্রাতৃত্বের মাস। আর এই ভ্রাতৃত্বের মাস কে উজ্জ্বীবিত রেখে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একাংশ শনিবার ৮ এপ্রিল, খোলা মাঠেই ইফতার পালন করেন।

মুসলমানদের অন্যতম গুরত্বপূর্ণ একটি মাস হলো রমজান। খোশ আমদেদ মাহে রমজান আল্লাহর নৈকট্য লাভের সর্বোত্তম মাস। যে মাসের ফজিলত অনেক, যে মাস আল্লাহর কাছে অধিক থেকে অধিকতর প্রিয়। সারা বিশ্বের মুসলমানরা এই মাসে সুবহে সাদিক থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত খালি পেটে রোজা রাখেন।

রমজান মাসে বেশিরভাগ মানুষ, পরিবারের সাথেই ইফতার করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন৷ কিন্তু নিজেকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে দেশ গড়ার মহৎ কাজে নিজেকে নিবেদিত করতে শিক্ষার্থীরা পাড়ি দেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে। পরিবার ছেড়ে এক সময়ের অচেনা মানুষগুলোর সাথেই অন্যরকম এক পরিবার বানান শিক্ষার্থীরা।

বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একমাত্র আবাসস্থল বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো। সিনিয়র জুনিয়র বিভিন্ন ব্যাচ মিলে হলগুলো হয়ে উঠে এক অন্য রকম পরিবার। ইফতারের সময় গুলোতে বয়সের তারতম্য ভুলে গিয়ে যে যেখানে যার সাথে পারেন, বসে পড়েন ইফতার করতে। এ যেনো এক অন্য রকম সংস্কৃতির বন্ধন। এখানে ভেদাভেদ নেই কোনো ধর্মের, নেই কোনো হিংসা। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধসহ নানান ধর্মের মানুষরা একসাথে বসে ইফতার করেন।

সম্প্রীতির এক অন্যরকম উদাহরণ যেনো হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। তারই ধারাবাহিকতায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ২০ ব্যাচের বিভিন্ন বিভাগ ও অনুষদের শিক্ষার্থীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় ইফতার মাহফিল।

ইফতারের কিছুক্ষণ আগে থেকেই মাঠে একে একে জড়ো হন সবাই। নিজ নিজ ব্যস্ততা ছাড়িয়ে খোলা মাঠেই বসেন এক পর্যায়ে। প্রকৃতির নির্মল বাতাসে পেছনে ছায়ার মতো দাঁড়িয়ে থাকা বঙ্গবন্ধু হলের সামনে বসেই দোয়ার কাজটা সেরে ফেলেন। আজানের সাথে সাথেই হিন্দু-মুসলমান বৈষম্য ভুলে মেতে উঠেন ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে। একসাথে করেন ইফতার।

এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শাহরিয়ার নাজিম শাহেদ বলেন, “এই যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন, এই বন্ধন বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষকে একত্রিত করে। সকলে মিলে নিজেরাই আমরা একটা পরিবার বানিয়ে ফেলি। সেহরি থেকে শুরু করে ইবাদত এবং ইফতার আমরা একই সাথে করি। পৃথিবীর কোনো দেশে এতো সুন্দর সংস্কৃতি আছে কিনা আমার জানা নেই।”

১৪ এপ্রিল থেকে রমজান এবং ঈদের ছুটিতে বাসায় ফিরতে শুরু করবেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। যার কারণে নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষার পাশাপাশি প্রতিদিনই থাকছে কোনো না কোনো বিভাগ, অনুষদ, এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের ইফতার। ফলে ব্যস্ততাতেই কাটছে শিক্ষার্থীদের রমজান।

ইবিহো/এসএস