কুবি প্রক্টরের বিপক্ষে ছাত্রলীগের একাংশ, পক্ষে সাধারণ শিক্ষার্থীরা

জাভেদ রায়হান

শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন।

প্রক্টরের পদত্যাগসহ শিক্ষার্থীর উপর হামলার বিচার চেয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শাখা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির একাংশের মানববন্ধনের পর এবার আবাসিক ছাত্রী হলে ছাত্রী কর্তৃক প্রভোস্টকে লাঞ্ছনা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে মিথ্যা অপবাদ ও মানহানিকর মন্তব্যের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১৩ মার্চ) সকাল ১১টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্যের নিচে এই মানববন্ধন হয়।

মানববন্ধনে ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী সাবরিনা আলম বলেন, ‘আমাদের ডিপার্টমেন্টের শিক্ষক সাহেদ স্যারকে নিয়ে বলা হয়েছে, তিনি অনুমতি ব্যতীত মেয়েদের রুমে ঢুকে যান। মেয়েদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র হাত দেন অভিযোগটি মিথ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বানোয়াট। কারণ আমরা জানি স্যার মেয়েদের ব্যাপারে কতটা সেনসিটিভ। আর গতকাল প্রক্টর স্যারকে ব্যঙ্গ করে যে কার্টুন অঙ্কণ করা হয়েছে, তা স্যারের জন্য মানহানিকর। মানুষ মাত্রই ভুল, স্যাররা যদি কোনো ভুল করে থাকে, তাহলে আপনারা প্রমাণ দেখান আমরাই স্যারদের পদত্যাগের জন্য আন্দোলন করবো। কিন্তু প্রমাণহীন, ভিত্তিহীন কোনো অভিযোগকে আমরা প্রশ্রয় দিবো না।’

এছাড়াও ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী রিয়াদ শেখ বলেন, ‘একটা কুচক্রীমহল আমাদের ডিপার্টমেন্টের স্যারদের পিছনে লেগেছে, তারা ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছে। কারণ যে মেয়েটি হলে স্যারকে অপবাদ দিয়েছে, তার বিগত রেকর্ড ভালো না। সে বাসে, ক্যাম্পাসে বিভিন্নভাবে মানুষকে হেনস্থা করার চেষ্টা করেছে, তার যথাযথ প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। আর প্রক্টর স্যারের বিরুদ্ধে বানোয়াট সব অভিযোগ যারা তুলেছে, আমরা তাদের উপযুক্ত শাস্তি চাই। স্যাররা ভুল করতেই পারে স্যারের পদত্যাগ আপনারা চাইতেই পারেন। কিন্তু অবশ্যই প্রমাণসহ যৌক্তিক কারণ হতে হবে, অযৌক্তিকভাবে প্রমাণ ছাড়া কারো ব্যাপারে মিথ্যার প্রচার আপনারা করতে পারেন না।’

গত ৪ মার্চ আবাসিক ছাত্রী কর্তৃক হেনস্তার শিকার হন শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট মো. সাহেদুর রহমান এবং গত ১২ মার্চ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের ব্যানারে শাখা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির একাংশের মানববন্ধনে প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী’র ছবিকে ব্যঙ্গ করা হয়।

এমবিএইচ/এসএস

কুবি প্রক্টরের বিপক্ষে ছাত্রলীগের একাংশ, পক্ষে সাধারণ শিক্ষার্থীরা

জাভেদ রায়হান

শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন।

প্রক্টরের পদত্যাগসহ শিক্ষার্থীর উপর হামলার বিচার চেয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শাখা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির একাংশের মানববন্ধনের পর এবার আবাসিক ছাত্রী হলে ছাত্রী কর্তৃক প্রভোস্টকে লাঞ্ছনা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে মিথ্যা অপবাদ ও মানহানিকর মন্তব্যের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১৩ মার্চ) সকাল ১১টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্যের নিচে এই মানববন্ধন হয়।

মানববন্ধনে ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী সাবরিনা আলম বলেন, ‘আমাদের ডিপার্টমেন্টের শিক্ষক সাহেদ স্যারকে নিয়ে বলা হয়েছে, তিনি অনুমতি ব্যতীত মেয়েদের রুমে ঢুকে যান। মেয়েদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র হাত দেন অভিযোগটি মিথ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বানোয়াট। কারণ আমরা জানি স্যার মেয়েদের ব্যাপারে কতটা সেনসিটিভ। আর গতকাল প্রক্টর স্যারকে ব্যঙ্গ করে যে কার্টুন অঙ্কণ করা হয়েছে, তা স্যারের জন্য মানহানিকর। মানুষ মাত্রই ভুল, স্যাররা যদি কোনো ভুল করে থাকে, তাহলে আপনারা প্রমাণ দেখান আমরাই স্যারদের পদত্যাগের জন্য আন্দোলন করবো। কিন্তু প্রমাণহীন, ভিত্তিহীন কোনো অভিযোগকে আমরা প্রশ্রয় দিবো না।’

এছাড়াও ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী রিয়াদ শেখ বলেন, ‘একটা কুচক্রীমহল আমাদের ডিপার্টমেন্টের স্যারদের পিছনে লেগেছে, তারা ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছে। কারণ যে মেয়েটি হলে স্যারকে অপবাদ দিয়েছে, তার বিগত রেকর্ড ভালো না। সে বাসে, ক্যাম্পাসে বিভিন্নভাবে মানুষকে হেনস্থা করার চেষ্টা করেছে, তার যথাযথ প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। আর প্রক্টর স্যারের বিরুদ্ধে বানোয়াট সব অভিযোগ যারা তুলেছে, আমরা তাদের উপযুক্ত শাস্তি চাই। স্যাররা ভুল করতেই পারে স্যারের পদত্যাগ আপনারা চাইতেই পারেন। কিন্তু অবশ্যই প্রমাণসহ যৌক্তিক কারণ হতে হবে, অযৌক্তিকভাবে প্রমাণ ছাড়া কারো ব্যাপারে মিথ্যার প্রচার আপনারা করতে পারেন না।’

গত ৪ মার্চ আবাসিক ছাত্রী কর্তৃক হেনস্তার শিকার হন শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট মো. সাহেদুর রহমান এবং গত ১২ মার্চ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের ব্যানারে শাখা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির একাংশের মানববন্ধনে প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী’র ছবিকে ব্যঙ্গ করা হয়।

এমবিএইচ/এসএস