হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়
১০ দফা দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীদের অবস্থান
নাঈম ইসলাম সংগ্রাম
![](https://shikkha-shikkhangan.com/wp-content/uploads/2023/07/IMG-20230716-WA0002.jpg)
১০ দফা দাবিতে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) নবনির্মিত ছাত্রী হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে তিনঘণ্টাব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে।
শনিবার (১৫ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ছাত্রী হলের ছাত্রীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দাবিসহ ১০ দফা দাবিতে মাঝরাত পর্যন্ত উপাচার্যের বাসভবনের সামনে নানান স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।
এসময় শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ‘গতকাল (শুক্রবার) রাত থেকে হলে বিদ্যুৎ নেই। সকালে কিছু সময়ের জন্য আসলেও আবার চলে যায়। পরে বিদ্যুৎ আসে। কিন্তু আজ (শনিবার) রাত থেকে আবার বিদ্যুৎ না থাকায় আমরা খাওয়া-দাওয়া, পড়াশোনাসহ নিত্যকার কাজকর্ম করতে অনেক ভোগান্তির শিকার হচ্ছি’।
শিক্ষার্থীরা ১০ দফা দাবির বিষয়ে বলেন, ‘নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে হবে, প্রতিটি ব্লকে হিটার দিতে হবে, প্রতিটি ফ্লোরে পানির সরাসরি লাইন দিতে হবে, বাথরুম ও করিডোরে পর্যাপ্ত লাইট ও থ্রি-প্লাগ সুইচ দিতে হবে, ডাইনিংয়ের খাবারের মান উন্নত করতে হবে, হলে প্রবেশের সর্বশেষ সময় রাত সাড়ে ৮টা করতে হবে, হিটার চেক করার নামে হেনস্তা করা যাবে না, গেস্ট এলাও এবং অভিভাবদেরকে যথেষ্ট সম্মান দিয়ে কথা বলতে হবে, লিফট ও রিডিংরুম দিতে হবে, বিশেষ কারণে রাতে হলে ফিরতে দেরি হলে অকথ্য ও অপমানসূচক ভাষায় কথা বলা যাবে না।’
এছাড়াও, নবনির্মিত ছাত্রী হলের একটি স্থায়ী নামকরণের দাবিও জানান শিক্ষার্থীরা।
এ ব্যাপারে নবনির্মিত ছাত্রী হলের হল সুপার অধ্যাপক ড. আফরোজা খাতুন বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো নিয়ে আমরা তাদের সাথে বসব। এরপর আমরা যৌক্তিক সিদ্ধন্তে উপনীত হব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মামুনুর রশীদ বলেন, বিদ্যুৎ বিভ্রাট সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের ১০ দফা দাবী থেকে যৌক্তিক দাবিগুলো নিয়ে আমরা পর্যালোচনা করব।
অভিযোগ রয়েছে, কনস্ট্রাকশনের সময় নিম্নমানের তার ব্যবহার করায় বিদ্যুতের লাইনের উপর চাপ পড়লে তা লোড নিতে পারছেনা। ফলে হঠাৎ করেই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হচ্ছে। হলের নির্মানকাজ শেষ হওয়ার পর কাজ ঠিকভাবে বুঝে না নিয়ে দ্রুততার সাথে হলে ছাত্রী উঠানোয় কিছু বিষয়ে অসংগতি থেকে গেছে।
উল্লেখ্য, দাবি আদায়ে রাত সাড়ে নয়টা থেকে ১টা পর্যন্ত উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। পরে হলে বিদ্যুৎ সংযোগ সচল এবং দাবি বাস্তবায়েনের প্রতিশ্রুতি পেলে তারা হলে ফিরে যান।
ইবিহো/এসএস
![](https://shikkha-shikkhangan.com/wp-content/uploads/2023/01/logo-removebg-preview-1.png)
হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়
১০ দফা দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীদের অবস্থান
নাঈম ইসলাম সংগ্রাম
![](https://shikkha-shikkhangan.com/wp-content/uploads/2023/07/IMG-20230716-WA0002.jpg)
১০ দফা দাবিতে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) নবনির্মিত ছাত্রী হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে তিনঘণ্টাব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে।
শনিবার (১৫ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ছাত্রী হলের ছাত্রীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দাবিসহ ১০ দফা দাবিতে মাঝরাত পর্যন্ত উপাচার্যের বাসভবনের সামনে নানান স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।
এসময় শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ‘গতকাল (শুক্রবার) রাত থেকে হলে বিদ্যুৎ নেই। সকালে কিছু সময়ের জন্য আসলেও আবার চলে যায়। পরে বিদ্যুৎ আসে। কিন্তু আজ (শনিবার) রাত থেকে আবার বিদ্যুৎ না থাকায় আমরা খাওয়া-দাওয়া, পড়াশোনাসহ নিত্যকার কাজকর্ম করতে অনেক ভোগান্তির শিকার হচ্ছি’।
শিক্ষার্থীরা ১০ দফা দাবির বিষয়ে বলেন, ‘নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে হবে, প্রতিটি ব্লকে হিটার দিতে হবে, প্রতিটি ফ্লোরে পানির সরাসরি লাইন দিতে হবে, বাথরুম ও করিডোরে পর্যাপ্ত লাইট ও থ্রি-প্লাগ সুইচ দিতে হবে, ডাইনিংয়ের খাবারের মান উন্নত করতে হবে, হলে প্রবেশের সর্বশেষ সময় রাত সাড়ে ৮টা করতে হবে, হিটার চেক করার নামে হেনস্তা করা যাবে না, গেস্ট এলাও এবং অভিভাবদেরকে যথেষ্ট সম্মান দিয়ে কথা বলতে হবে, লিফট ও রিডিংরুম দিতে হবে, বিশেষ কারণে রাতে হলে ফিরতে দেরি হলে অকথ্য ও অপমানসূচক ভাষায় কথা বলা যাবে না।’
এছাড়াও, নবনির্মিত ছাত্রী হলের একটি স্থায়ী নামকরণের দাবিও জানান শিক্ষার্থীরা।
এ ব্যাপারে নবনির্মিত ছাত্রী হলের হল সুপার অধ্যাপক ড. আফরোজা খাতুন বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো নিয়ে আমরা তাদের সাথে বসব। এরপর আমরা যৌক্তিক সিদ্ধন্তে উপনীত হব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মামুনুর রশীদ বলেন, বিদ্যুৎ বিভ্রাট সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের ১০ দফা দাবী থেকে যৌক্তিক দাবিগুলো নিয়ে আমরা পর্যালোচনা করব।
অভিযোগ রয়েছে, কনস্ট্রাকশনের সময় নিম্নমানের তার ব্যবহার করায় বিদ্যুতের লাইনের উপর চাপ পড়লে তা লোড নিতে পারছেনা। ফলে হঠাৎ করেই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হচ্ছে। হলের নির্মানকাজ শেষ হওয়ার পর কাজ ঠিকভাবে বুঝে না নিয়ে দ্রুততার সাথে হলে ছাত্রী উঠানোয় কিছু বিষয়ে অসংগতি থেকে গেছে।
উল্লেখ্য, দাবি আদায়ে রাত সাড়ে নয়টা থেকে ১টা পর্যন্ত উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। পরে হলে বিদ্যুৎ সংযোগ সচল এবং দাবি বাস্তবায়েনের প্রতিশ্রুতি পেলে তারা হলে ফিরে যান।
ইবিহো/এসএস