ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
১২ বছরে ৪৫ হাজার ল্যাপটপ বিতরণ
![](https://shikkha-shikkhangan.com/wp-content/uploads/2022/11/lap.jpg)
সাদ্দাম হোসেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে তিনি ‘ওয়ান স্টুডেন্ট ওয়ান ল্যাপটপ’ প্রজেক্টের আওতায় ল্যাপটপ গ্রহণ করেন। ল্যাপটপ পাওয়ার পর থেকেই তার চিন্তা ছিল কীভাবে এর যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং ক্যারিয়ারের উন্নয়ন ঘটানো যায়। যেই কথা সেই কাজ। তার তৈরি করা সামাজিক নিরাপত্তাজনিত ‘সেল্ফ প্রোটেক্ট-ইমার্জেন্সি সেফটি অ্যাপের’ জন্য তিনি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ থেকে জাতীয় পুরস্কার ও তহবিল অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি উইংকি টেক লিমিটেডের সিইও। তার প্রতিষ্ঠানে আরও অনেকেরই কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে।
শুধু সাদ্দাম হোসেন নয়, মাইনুল হাসান দুলন, শফিউল ইসলাম কিংবা আশরাফ আলী, তাদের মতো হাজারো শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত ল্যাপটপের যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে প্রযুক্তিগত দক্ষতা, ফ্রিলেন্সিং, নেটওয়ার্কিং, অনলাইন বিজনেস, ব্যাংক, সফটওয়্যার ফার্মসহ নানা ক্ষেত্রে নিজেকে উদ্যোক্তা অথবা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে সফল পর্যায়ে নিতে সক্ষম হয়েছেন। গুগল, ইয়াহু, ব্যাংকিং সেক্টর, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে উচ্চপর্যায়ে ড্যাফোডিল অ্যালামনাইরা দেশে বিদেশে অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে যোগ্যতা এবং দক্ষতার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন।
বিশ^বিদ্যালয় সূত্র জানায়, তথ্যপ্রযুক্তির ক্রমবিকাশমান ধারার সঙ্গে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে যুগোপযোগী করে তুলতে এবং প্রতিযোগিতামূলক চাকরি এবং উদ্যোক্তার বাজারে শিক্ষার্থীদের দক্ষ এবং যোগ্য করে গড়ে তুলতে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ ‘একজন ছাত্র একটি ল্যাপটপ’। ২০১১ সাল থেকে শুরু হয়ে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৫ হাজার ল্যাপটপ শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। এমনকি করোনাকালের কঠিন সময়েও এই ল্যাপটপ বিতরণ কার্যক্রম থেমে থাকেনি। সরকারি ট্যাক্স, ভ্যাট এবং দামের ঊর্ধ্বগতিসহ শত প্রতিকূলতা এবং প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে শিক্ষার্থীদের একটি অন্যতম শিক্ষা উপকরণ হিসেবে ল্যাপটপ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে। এর ফলে শিক্ষার্থীরা করোনাকালে নির্বিঘেœ এবং নিরবচ্ছিন্নভাবে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছেন।
জানা যায়, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের শুধু ল্যাপটপই প্রদান করে না, ল্যাপটপটি দেওয়ার পূর্বে ম্যানটরিং, মনিটরিং সিস্টেমের মাধ্যমে প্রতিটি শিক্ষার্থীর ওপর রিসার্চ করে শিক্ষার্থীদের ল্যাপটপটির কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করতে সহায়তা করে। প্রতিটি শিক্ষার্থীর ফল যাতে ভালো হয়, প্রতিনিয়ত সেই দিকে দৃষ্টি রাখা হয়। এ ছাড়াও শিক্ষার্থীদের পেশাগত এবং নৈতিক উন্নয়নের জন্য এমপ্লয়াবিলিটি ৩৬০ ডিগ্রি, আর্ট অব লিভিং, কম্পিউটার ফান্ডামেন্টাল, ক্যারিয়ার কাউন্সেলিংসহ নানা রকম কোর্স পরিচালনা করে বিশ্ববিদ্যালয়। যাতে শিক্ষার্থীদের চাকরির বাজারে কোনো রকম সুযোগ হাতছাড়া না হয়।
বিশ^বিদ্যালয় সূত্র জানায়, শিক্ষার্থীদের ল্যাপটপ পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেকগুলো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়, যেখানে ড্যাফোডিল পরিবারের আরেকটি প্রতিষ্ঠান ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স লিমিটেড সহযোগিতা করে আসছে। যেমনÑগুগল সাইট তৈরি করা, গোঅ্যাডুর বিভিন্ন কোর্স, ভিডিও রিজিউমিসহ শিক্ষার্থীদের টেকনোলজিক্যাল দক্ষতার বেসিক কোর্স করতে সহায়তা করে ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছেন, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অন্যতম লক্ষ্য। মূলত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত ল্যাপটপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা প্রযুক্তিগত বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষ হয়ে উঠছেন এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় আইটি উদ্যোক্তা এবং জব মার্কেটে ভালো করছেন।
![](https://shikkha-shikkhangan.com/wp-content/uploads/2023/01/logo-removebg-preview-1.png)
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
১২ বছরে ৪৫ হাজার ল্যাপটপ বিতরণ
![](https://shikkha-shikkhangan.com/wp-content/uploads/2022/11/lap.jpg)
সাদ্দাম হোসেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে তিনি ‘ওয়ান স্টুডেন্ট ওয়ান ল্যাপটপ’ প্রজেক্টের আওতায় ল্যাপটপ গ্রহণ করেন। ল্যাপটপ পাওয়ার পর থেকেই তার চিন্তা ছিল কীভাবে এর যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং ক্যারিয়ারের উন্নয়ন ঘটানো যায়। যেই কথা সেই কাজ। তার তৈরি করা সামাজিক নিরাপত্তাজনিত ‘সেল্ফ প্রোটেক্ট-ইমার্জেন্সি সেফটি অ্যাপের’ জন্য তিনি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ থেকে জাতীয় পুরস্কার ও তহবিল অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি উইংকি টেক লিমিটেডের সিইও। তার প্রতিষ্ঠানে আরও অনেকেরই কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে।
শুধু সাদ্দাম হোসেন নয়, মাইনুল হাসান দুলন, শফিউল ইসলাম কিংবা আশরাফ আলী, তাদের মতো হাজারো শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত ল্যাপটপের যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে প্রযুক্তিগত দক্ষতা, ফ্রিলেন্সিং, নেটওয়ার্কিং, অনলাইন বিজনেস, ব্যাংক, সফটওয়্যার ফার্মসহ নানা ক্ষেত্রে নিজেকে উদ্যোক্তা অথবা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে সফল পর্যায়ে নিতে সক্ষম হয়েছেন। গুগল, ইয়াহু, ব্যাংকিং সেক্টর, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে উচ্চপর্যায়ে ড্যাফোডিল অ্যালামনাইরা দেশে বিদেশে অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে যোগ্যতা এবং দক্ষতার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন।
বিশ^বিদ্যালয় সূত্র জানায়, তথ্যপ্রযুক্তির ক্রমবিকাশমান ধারার সঙ্গে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে যুগোপযোগী করে তুলতে এবং প্রতিযোগিতামূলক চাকরি এবং উদ্যোক্তার বাজারে শিক্ষার্থীদের দক্ষ এবং যোগ্য করে গড়ে তুলতে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ ‘একজন ছাত্র একটি ল্যাপটপ’। ২০১১ সাল থেকে শুরু হয়ে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৫ হাজার ল্যাপটপ শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। এমনকি করোনাকালের কঠিন সময়েও এই ল্যাপটপ বিতরণ কার্যক্রম থেমে থাকেনি। সরকারি ট্যাক্স, ভ্যাট এবং দামের ঊর্ধ্বগতিসহ শত প্রতিকূলতা এবং প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে শিক্ষার্থীদের একটি অন্যতম শিক্ষা উপকরণ হিসেবে ল্যাপটপ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে। এর ফলে শিক্ষার্থীরা করোনাকালে নির্বিঘেœ এবং নিরবচ্ছিন্নভাবে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছেন।
জানা যায়, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের শুধু ল্যাপটপই প্রদান করে না, ল্যাপটপটি দেওয়ার পূর্বে ম্যানটরিং, মনিটরিং সিস্টেমের মাধ্যমে প্রতিটি শিক্ষার্থীর ওপর রিসার্চ করে শিক্ষার্থীদের ল্যাপটপটির কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করতে সহায়তা করে। প্রতিটি শিক্ষার্থীর ফল যাতে ভালো হয়, প্রতিনিয়ত সেই দিকে দৃষ্টি রাখা হয়। এ ছাড়াও শিক্ষার্থীদের পেশাগত এবং নৈতিক উন্নয়নের জন্য এমপ্লয়াবিলিটি ৩৬০ ডিগ্রি, আর্ট অব লিভিং, কম্পিউটার ফান্ডামেন্টাল, ক্যারিয়ার কাউন্সেলিংসহ নানা রকম কোর্স পরিচালনা করে বিশ্ববিদ্যালয়। যাতে শিক্ষার্থীদের চাকরির বাজারে কোনো রকম সুযোগ হাতছাড়া না হয়।
বিশ^বিদ্যালয় সূত্র জানায়, শিক্ষার্থীদের ল্যাপটপ পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেকগুলো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়, যেখানে ড্যাফোডিল পরিবারের আরেকটি প্রতিষ্ঠান ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স লিমিটেড সহযোগিতা করে আসছে। যেমনÑগুগল সাইট তৈরি করা, গোঅ্যাডুর বিভিন্ন কোর্স, ভিডিও রিজিউমিসহ শিক্ষার্থীদের টেকনোলজিক্যাল দক্ষতার বেসিক কোর্স করতে সহায়তা করে ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছেন, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অন্যতম লক্ষ্য। মূলত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত ল্যাপটপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা প্রযুক্তিগত বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষ হয়ে উঠছেন এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় আইটি উদ্যোক্তা এবং জব মার্কেটে ভালো করছেন।